AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Pallavi Dey Death: গলার দড়ির দাগ ঠিক কতটা? কী জানা গেল পল্লবীর ময়নাতদন্তের রিপোর্টে?

Pallavi Dey Death: গড়ফার গাঙ্গুলিপুকুরের ফ্ল্যাট থেকে রবিবার দুপুরে উদ্ধার হয় পল্লবীর ঝুলন্ত দেহ। লিভ-ইন সঙ্গী সাগ্নিকই প্রথম ওই অবস্থায় দেখতে পান পল্লবীকে।

Pallavi Dey Death: গলার দড়ির দাগ ঠিক কতটা? কী জানা গেল পল্লবীর ময়নাতদন্তের রিপোর্টে?
সাগ্নিকের বিরুদ্ধেই অভিযোগ এনেছে পল্লবীর পরিবার
| Edited By: | Updated on: May 23, 2022 | 12:22 PM
Share

কলকাতা : বিনোদন দুনিয়ার চোখ ঝলসে যাওয়া আলোর আড়ালেও যে অনেক অন্ধকার লুকিয়ে থাকে, এ কথা বারবার প্রমাণিত হয়েছে। অভিনেত্রী পল্লবীর মৃত্যুর মতো ঘটনা আগেও ঘটেছে কলকাতা বা মুম্বইয়ের মতো শহরে। সামনে অনেক সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও কেন এ ভাবে চলে যেতে হয় তাঁদের, অনেক সময়ই মেলে না সেই উত্তর। আর পল্লবীর মৃত্যু কেন হল, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট নিয়ে সেই উত্তর খোঁজার চেষ্টা করছে কলকাতা পুলিশ। প্রাথমিক রিপোর্টে পল্লবীর আত্মহত্যার তত্ত্ব সামনে এলেও অভিনেত্রীর লিভ-ইন সঙ্গীর দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলছেন অভিনেত্রীর পরিবার। সাগ্নিকই পল্লবীকে আত্মহত্যার প্ররোচনা দিয়েছিল বলে দাবি করেছেন পরিবারের সদস্যরা। তবে এখনও পর্যন্ত কোনও অভিযোগ দায়ের করেননি তাঁরা।

খুঁটিয়ে দেখা হয়েছে পল্লবীর গলায় থাকা দড়ির দাগ। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, পল্লবীর গলায় রয়েছে নন কন্টিনিউওয়াস লিগেচার মার্ক। অভিজ্ঞ পুলিশ আধিকারিকদের দাবি, কেউ অন্য কারও গলায় ফাঁস লাগিয়ে দিলে সে ক্ষেত্রে পুরো গলা জুড়ে দাগ (কন্টিনিউওয়াস লিগেচার মার্ক) পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আর কেউ যদি নিজে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন, তাহলে তাঁর থুতনির দিকেই শুধু থাকে দড়ির দাগ, আর তাকেই বলা হয় নন কন্টিনিউওয়াস লিগেচার মার্ক। অর্থাৎ সে ক্ষেত্রে পল্লবীর মৃত্যুতে খুনের তত্ত্ব খারিজ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকছে।

ঝুলেই যে পল্লবীর মৃত্যু হয়েছে, সেটা পুলিশের তদন্তে আগেই সামনে এসেছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে বলা হয়েছে, বিছানার চাদর ফ্যানের সঙ্গে লাগিয়ে গলায় ফাঁস দিয়েছেন পল্লবী। তবে আত্মহত্যা করলে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই বেরিয়ে আসে জিভ, লালারস পড়তেও দেখা যায়। কিন্তু পল্লবীর ক্ষেত্রে তেমনটা হয়নি। সঙ্গী সাগ্নিক দাবি করেছেন তিনি ধূমপান করতে বাইরে গিয়েছিলেন, তার মধ্যেই এই ঘটনা ঘটে যায়। তাই পল্লবী বেশিক্ষণ ঝুলন্ত অবস্থায় ছিলেন না বলেই পুলিশের অনুমান। সে ক্ষেত্রে জিভ বা লালারস বেরনোর সম্ভাবনাও কম।

রবিবার দুপুরে গড়ফার গাঙ্গুলিপুকুরের ফ্ল্যাট থেকে টলি অভিনেত্রী পল্লবীর দেহ উদ্ধার হয়। তাঁর মৃত্য়ু ঘিরে উঠেছে নানা প্রশ্ন। তাঁর প্রেমিক সাগ্নিককে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। তাঁর ফোনও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। পল্লবী হোয়াটসঅ্যাপ বা অন্য কোনও মাধ্যমে কাউকে কিছু জানিয়েছিলেন কি না, তা খতিয়ে দেখার চেষ্টা করছে পুলিশ। সাগ্নিকের উপস্থিতিতে কী ভাবে পল্লবী এই কাজ করলেন, তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।