অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে এ বার কাদের মন্ত্রী করতে চলেছেন মমতা? রইল সম্ভাব্য তালিকা
আগামী ৯ মে শপথ নেবেন নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যরা। মমতাও চাইছেন, মন্ত্রিসভাকে ঢেলে সাজিয়ে নতুনভাবে আগামী পাঁচ বছরের জন্য সরকার পরিচালনা করতে।
কলকাতা: তৃতীয়বারের জন্য শপথ নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্নে প্রবেশ করেছেন বুধবার সকালে। এ বার গোটা রাজ্যবাসীর নজর তাঁর নতুন মন্ত্রিসভার দিকে। মমতার নতুন মন্ত্রিসভায় কারা জায়গা পেতে চলেছেন, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই জল্পনা তুঙ্গে উঠেছে রাজনৈতিক মহলে। যেহেতু এ বার প্রচুর নতুন মুখকে মমতা প্রার্থী করেছিলেন এবং তাঁদের মধ্যে অধিকাংশই জয়লাভ করেছেন, ফলে মন্ত্রিসভাতেও একাধিক নতুন মুখ থাকার সম্ভাবনাও যথেষ্ট উজ্জ্বল। আগামী ৯ মে শপথ নেবেন নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যরা। মমতাও চাইছেন, মন্ত্রিসভাকে ঢেলে সাজিয়ে নতুনভাবে আগামী পাঁচ বছরের জন্য সরকার পরিচালনা করতে।
সূত্রের খবর, রাজ্যে অর্থ দফতর নিজের হাতেই রাখতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে সেই মন্ত্রকে একজন প্রতিমন্ত্রী নিয়োগ করা হতে পারে, এমন সঙ্কেত পাওয়া যাচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচনের আগেই ঘোষণা করেছিলেন, রাজ্য স্তরে প্ল্যানিং কমিশনের ধাঁচে একটি যোজনা কমিশন তৈরি করবেন। সেক্ষেত্রে এই প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান করা হতে পারে রাজ্যের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী ডঃ অমিত মিত্রকে।
রিক্সা চালিয়ে মনোনয়ন জমা দিতে আসা বলাগড়ের বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারীকে অনগ্রসর শ্রেণী কল্যাণ মন্ত্রী করা হতে পারে বলে খবর। উত্তরবঙ্গ থেকে মন্ত্রিত্ব পেতে পারেন পরেশ চন্দ্র অধিকারী। রবীন্দ্রনাথ ঘোষ এবং গৌতম দেবের মতো দুই বর্ষীয়ান নেতা ভোটে পরাজিত হওয়ায় বিশেষভাবে উঠে এসেছে পরেশের নাম। উত্তরবঙ্গ থেকে আরও একটি নাম মন্ত্রিসভায় থাকতে পারে বলে ঘুরপাক খাচ্ছে, তা হল বিপ্লব মিত্র। রাজ্যের পরিবহন দফতর ফের ফিরে পেতে পারেন কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র।
তৃণমূল সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, চন্দননগরের বিধায়ক ইন্দ্রনীল সেনকে এ বার পর্যটন দফতরের পূর্ণমন্ত্রী করতে পারেন মমতা। পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন মন্ত্রী হতে পারেন বিরবাহা হাঁসদা। পুরুলিয়ার বর্ষীয়ান কংগ্রেস বিধায়ক নেপাল মাহাতোকে পরাজিত করা সুশান্ত মাহাতো আসতে পারেন মন্ত্রিসভায়। শিক্ষা দফতর কার হাতে যাবে এই নিয়েও জল্পনা ছিল। সূত্রের খবর, সেই দফতর ফের একবার ফিরে পেতে পারেন অধ্যাপক ব্রাত্য বসু। এও শোনা যাচ্ছে, শিক্ষা দফতরের কাজে আরও স্বচ্ছতা আনতে উচ্চশিক্ষা এবং স্কুল শিক্ষা দফতর দু’টিকে দু’ভাগে ভাগ করে পৃথক দুই মন্ত্রীর কাঁধে দায়িত্ব তুলে দিতে পারেন নেত্রী।
আরও পড়ুন: ‘ভোল পাল্টাচ্ছে ভাইরাস, তৃতীয় ঢেউ আসছেই’, চরম সতর্কতা বিজ্ঞানীদের
এ ছাড়াও নৈহাটির বিধায়ক পার্থ ভৌমিক আসতে পারেন মন্ত্রিসভায়। মেদিনীপুরে অধিকারীদের প্রধান বিরোধী অখিল গিরি মন্ত্রিত্ব পেতে পারেন। বাংলা রঞ্জি দলের প্রাক্তন অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারিকে দেওয়া হতে পারে ক্রীড়া দফতরের প্রতিমন্ত্রক। হুগলির বিধায়ক তথা প্রাক্তন সংসদ রত্না দে নাগ হতে পারেন স্বাস্থ্য দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী। রাজ্যের সেচ মন্ত্রীর দায়িত্ব পেতে পারেন ডা. মানস রঞ্জন ভুঁইয়া। ২০১১ সালেও এই দফতরের দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।
কৃষি মন্ত্রী হতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কৃষি উপদেষ্টা প্রদীপ মজুমদার। সিঙ্গুর জমি আন্দোলনের অন্যতম নেতা তথা সিঙ্গুরের বিধায়ক বেচারাম মান্নাও মন্ত্রিসভায় আসতে পারেন। হাওড়া থেকে অরূপ রায়ের পাশাপশি মন্ত্রিসভায় আসার সম্ভাবনা রয়েছে পুলক রায়ের। মালদার সুজাপুর আসনের বিধায়ক আবদুল গনি পেতে পারেন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। কলকাতায় দেবাশীষ কুমার ও দেবব্রত মজুমদারে মধ্যে একজন হতে পারেন প্রতিমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: ঝড়ের গতিতে রদবদল, একসঙ্গে ২৭ আইপিএস বদলি নবান্নর, নতুন এসপি পাচ্ছে কোচবিহার