সাসপেন্ড কোচবিহারের এসপি, একসঙ্গে ২৭ আইপিএস বদলের নির্দেশ নবান্নর, ঝড়ের গতিতে রদবদল

নতুন পুলিশ সুপার নিয়োগ করা হয়েছে কোচবিহারে। এই জেলার শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে ৪ জনের মৃত্যু হওয়ার পর তৎকালীন এসপির রিপোর্ট নিয়ে জলঘোলা হয়েছিল রাজ্য রাজনীতিতে।

সাসপেন্ড কোচবিহারের এসপি, একসঙ্গে ২৭ আইপিএস বদলের নির্দেশ নবান্নর, ঝড়ের গতিতে রদবদল
ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Updated on: May 12, 2021 | 6:38 PM

কলকাতা: তৃতীয়বার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পদে বসার পরই শুরু হল ঝড়ের গতিঝড়ের গতিতে রদবদল, একসঙ্গে ২৭ আইপিএস বদলি নবান্নর, নতুন এসপি পাচ্ছে কোচবিহারতে রদবদল। প্রশাসনিক পদে নানা পদে এ দিন একাধিক রদবদল করা হয়েছে নবান্নর তরফে। প্রথমে রাজ্য পুলিশের ডিজি ও এডিজি আইনশৃঙ্খলা ও দুই জেলার জেলাশাসক বদলি করা হয়েছিল। এ বার এক ধাক্কায় ২৭ জন আইপিএস অফিসারকেও বদলি করল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। তাৎপর্যপূর্ণভাবে, নতুন পুলিশ সুপার নিয়োগ করা হয়েছে কোচবিহারে। এই জেলার শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে ৪ জনের মৃত্যু হওয়ার পর তৎকালীন এসপির রিপোর্ট নিয়ে জলঘোলা হয়েছিল রাজ্য রাজনীতিতে।

নবান্নের তরফে বুধবার এক নির্দেশিকা করে জানানো হয়, মোট ২৭ জন আইপিএস অফিসারকে বদলি করা হচ্ছে। সেই তালিকায় দেখা যাচ্ছে, রাজ্যের ডিরেক্টর অব সিকিওরিটি পদে ফিরিয়ে আনা হয়েছে আইপিএস বিবেক সহায়কে। নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আঘাত পাওয়ার পর নিরাপত্তায় গাফিলতির অভিযোগে তাঁকে বদলি করেছিল কমিশন। সশস্ত্র পুলিশের অতিরিক্ত ডিরেক্টর পদে ফিরিয়ে আনা হয়েছে আইপিএস জ্ঞানবন্ত সিংকেও। এ ছাড়াও শিলিগুড়ি, আসানসোল দুর্গাপুর এবং চন্দননগর পুলিশ কমিশনটারেটের পুলিশ কমিশনার বদলি করেছে রাজ্য।

পুরুলিয়া, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, বারুইপুর পুলিশ জেলা, হাওড়া (গ্রামীণ), পূর্ব মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, দক্ষিণ দিনাজপুর ছাড়া আরও একাধিক জেলায় বদল করা হয়েছে পুলিশ সুপারদের। তবে সবার মধ্যে আলাদা করে কোচবিহারের পুলিশ সুপার নজর কেড়েছে ওয়াকিবহাল মহলের। নির্বাচনের সময় কমিশন দ্বারা নিয়োজিত পুলিশ সুপার দেবাশীষ ধরকে সাসপেন্ড করে সেই জেলায় আইপিএস কে কাননকে নিয়োগ করেছে রাজ্য। শীতলকুচির গুলি চালানোর ঘটনায় সিআইডি তদন্ত করবে বলে জানিয়েছে রাজ্য।

আরও পড়ুন: শপথ নেওয়ার ১২ ঘণ্টার মধ্যে কী কী কাজ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়?

যদিও প্রশাসনিক পদে এই বিস্তর রদবদল একদমই প্রত্যাশিত বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ নির্বাচনের দিন ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে প্রশাসনিক পদে একগুচ্ছ পরিবর্তন করেছিল কমিশম। যা স্বভাবতই ছিল রাজ্যের শাসকদলের ইচ্ছার পরিপন্থী। তৃতীয়বার ক্ষমতায় ফিরে এখন নিজের মতো করেই প্রশাসনের খুঁটিনাটি সাজিয়ে ফেলছেন তৃণমূল সুপ্রিমো।

আরও পড়ুন: অবিলম্বে হিংসা বন্ধ না হলে কড়া পদক্ষেপের ইঙ্গিত, রাজ্যকে স্বরাষ্ট্র দফতরের চিঠি