‘রাজনৈতিক হিংসার রিপোর্ট পৌঁছয়নি দিল্লিতে’, ফের রাজ্যে এল স্বরাষ্ট মন্ত্রকের চিঠি
দ্রুত রিপোর্ট না পাঠালে বিষয়টা গুরুত্ব দিয়ে ভাবা হবে। রাজ্যের মুখ্যসচিবকে চিঠিতে এমনটাই জানালেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব
নয়া দিল্লি: রাজনৈতিক হিংসার ঘটনায় কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তাই ফের একবার রাজ্যকে চিঠি পাঠাল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার বার্তা দেওয়া হয়েছে সেই চিঠিতে। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘বাংলায় রাজনৈতিক হিংসার রিপোর্ট দ্রুত না পেলে বিষয়টি এবার গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে।’ আজ, বুধবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব এই চিঠি দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যসচিবকে।
দিন তিনেক আগে বাংলার মুখ্য সচিবকে একটি চিঠি লিখে পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক হিংসা নিয়ে একটি রিপোর্ট তলব করেছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। সেই চিঠির উত্তর এখনও কেন দেওয়া হয়নি, তার জবাব চেয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব। তিনি চিঠিতে জানতে চেয়েছেন, ‘বাংলায় এখনও রাজনৈতিক হিংসা অব্যাহত, এই নিয়ে এখনও পর্যন্ত কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে?’ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব অজয় ভাল্লা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলেছেন, ‘বাংলায় রাজনৈতিক হিংসার রিপোর্ট না পাওয়া গেলে বিষয়টা গভীরভাবে ভাবা হবে।’
রাজ্যের বিধানসভা ভোটের ফল প্রকাশের পরের দিনই নবান্নের কাছে বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়ে পাঠায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। ভোটের ফলাফল প্রকাশ হতেই বিরোধী দলের রাজনৈতিক দলের উপর কেন হামলা? বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়ে পাঠানো হয়। আর তার কোনও জবাব দেওয়া হয়নি রাজ্যের তরফে।
আরও পড়ুন: বৃহস্পতিবার থেকে সম্পূর্ণ বন্ধ লোকাল ট্রেন, গণ-পরিবহণ ও মেট্রোর ক্ষেত্রে কী সিদ্ধান্ত মমতার?
বুধবার মমতার শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের পর মমতাকে শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে ভোট পরবর্তী হিংসার কথা উঠে আসে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের মুখে। তিনি বলেন, ‘এই মুহূর্তে রাজ্যে অহেতুক হিংসা বন্ধ করাই প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচিত। কারণ এর ফলে সমাজের উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।’ যদিও এই প্রসঙ্গে দায় এড়িয়ে মমতা বলেন, মমতা বলেন, ‘রাজ্যে ভোট চলায় তিন মাস আমার হাতে ক্ষমতা ছিল না। সকলকে বলব, শান্তি, শৃঙ্খলা এবং সংহতি বজায় রাখুন। ভোটের পর কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্ত ঘটনা ঘটে। আজ থেকে আইনশৃঙ্খলা আমার হাতে। কঠোর হাতে এই অশান্তির মোকাবিলা করব। ফিরে গিয়ে যেখানে যেখানে যাদের পোস্টিং করার করব।’ উল্লেখ্য ইতিমধ্যেই একাধিক আইপিএস-কে পুরনো পদে ফিরিয়ে এনেছেন মমতা।