TMC MLA: বড় খবর! আর্থিক প্রতারণায় তৃণমূলের তারকা বিধায়ক সোহমের আপ্ত সহায়ক গ্রেফতার

Soham Chakrabarty: সোহমের একটি গাড়ি সজল ব্যবহার করতেন। পরে সেটি সোহমকে ফিরিয়ে দিতেও অস্বীকার করেন তিনি।

TMC MLA: বড় খবর! আর্থিক প্রতারণায় তৃণমূলের তারকা বিধায়ক সোহমের আপ্ত সহায়ক গ্রেফতার
চণ্ডীপুরের বিধায়ক সোহম চক্রবর্তী। ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 14, 2022 | 10:35 PM

পূর্ব মেদিনীপুর: অভিনেতা তথা চণ্ডীপুরের তৃণমূল (Trinamool Congress) বিধায়ক সোহম চক্রবর্তীর (Soham Chakrabarty) আপ্ত সহায়ককে গ্রেফতার করল পুলিশ। সূত্রের খবর, সোমবার বিকেলে সোহমের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে সজল মুখোপাধ্যায় নামে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পূর্ব মেদিনীপুরের চণ্ডীপুর থানার পুলিশ। সজলের বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার তাঁকে তমলুক মহকুমা আদালতে তোলা হবে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। এদিকে এই গ্রেফতারি নিয়ে একটি ভিডিয়ো বার্তা দেন সোহম। সেখানে তিনি জানান, কাজের জন্য তাঁকে যখন চণ্ডীপুরের বাইরে থাকতে হোত, অফিসের সমস্ত ভার সজলের হাতেই থাকত। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়েই বহু মানুষের কাছ থেকে সজল টাকা নেন। কখনও চাকরি পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাস, আবার কখনও উঁচু পদে বসিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে টাকা নিতেন লোকের কাছ থেকে বলে দাবি সোহমের। এমনকী বিষয়টি সোহম জেনে গেলে তাঁকেও সজল ব্ল্যাকমেল করতেন বলেই অভিযোগ করেছেন চণ্ডীপুরের বিধায়ক। সোহমের একটি গাড়ি সজল ব্যবহার করতেন। পরে সেটি সোহমকে ফিরিয়ে দিতেও অস্বীকার করেন তিনি। গাড়ির চাবি হস্তান্তরের জন্য ৪ লক্ষ টাকাও চান সোহমের আপ্ত সহায়ক। এরপরই সোহম প্রশাসনের দ্বারস্থ হন।

সোহম ভিডিয়ো বার্তায় বলেন, “ভোটের সময় থেকে আমার যিনি আপ্ত সহায়ক ছিলেন সজল মুখোপাধ্যায়, তাঁর প্রতি অগাধ আস্থা, বিশ্বাস রেখেই একটার পর একটা কাজ করা, সময় কাটানো। বিভিন্নভাবে তিনি মানুষের সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছিলেন। প্রত্যেকটা মানুষও আমার মুখের দিকে চেয়েই ওনার প্রতি আস্থা রেখেছিলেন। বিভিন্ন ক্ষেত্রে দলের নির্দেশে আমাকে জেলার বাইরে এদিক ওদিক যেতে হয়। কখনও রাজ্যের বাইরেও যেতে হয়। আমি চেষ্টা করেছি চণ্ডীপুরে দু’দিন বা তিনদিন থাকার। যে সময়টা পারিনি চেষ্টা করেছি সজল মুখোপাধ্যায় যেন অফিসে থাকেন। আরও অফিসে তিনজন আছেন। কিন্তু সজল মুখোপাধ্যায় আমার নাম নিয়ে বহু মানুষকে প্রতারণা করতে শুরু করেন।”

সোহমের কথায়,  “বহু মানুষকে চাকরি দেওয়ার নাম করে বা পদে বসানোর নাম করে টাকা তোলেন। আমার কানে ধীরে ধীরে বিষয়টি আসছিল। কংক্রিট প্রমাণ পাচ্ছিলাম না। পরে দেখলাম কেউ হয়ত লিখিত দেয়নি ঠিকই, কিন্তু যে মানুষগুলো এতদিন ধরে প্রতারিত হচ্ছেন তাঁদের কোথাও না কোথাও দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছে। তাঁরা বাধ্য হয়ে আমাকে জানান। আমি তখনই পাল্টা প্রশ্ন করি, এতদিন জানাননি কেন? তাঁরা অবশ্য বলেছেন আমার আপ্ত সহায়ক বলে ওনারা ব্যাপারটা এত গভীর ভাবতে পারেননি।”

একইসঙ্গে সোহমের দাবি, এই বিষয়ে তিনি তাঁর আপ্ত সহায়ককে বললে পাল্টা তাঁর উপরই চোটপাট শুরু করেন সজল। হুমকি দেন, সোহমের সমস্ত কিছু ফাঁস করে দেবেন। যদিও কী ফাঁস করবেন, তা সোহমের কাছেও স্পষ্ট নয় বলেই দাবি করেছেন তিনি। সোহম জানান, কাজের সুবিধার জন্য সজলকে নিজের একটি গাড়ি দিয়েছিলেন। পরে সেই গাড়ি ফেরানোর জন্য চার লক্ষ টাকা চান সোহমের কাছ থেকে। এমনকী সেই গাড়ি চেপে মদ খেয়ে ফিরতেন সজল। পুলিশ ধরলে সোহমের পরিচয় ভাঙিয়ে নিজেকে ছাড়িয়ে নিতেন। সোহম চক্রবর্তী বলেন, প্রশাসনকে তিনি সমস্তটাই জানিয়েছেন। আইন এবার আইনের পথেই চলবে।

আরও পড়ুন: নির্দলদের ৪৮ ঘণ্টা সময় দিল তৃণমূল, এরপরই দল থেকে বহিষ্কার!