R G Kar: জুনিয়র চিকিৎসকদের মিছিলে ‘কাশ্মীর মাঙ্গে আজাদি’ স্লোগান, তুঙ্গে রাজনৈতিক বিতর্ক
R G Kar: আসল ঘটনা থেকে দৃষ্টি ঘোরাতে এই ধরনের চেষ্টা চলছে বলে পাল্টা দাবি তুলেছে বিজেপি। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, "প্রথম থেকেই বলছি, এই আন্দোলনটাকে হাইজ্যাক করার চেষ্টা চলছে।"
কলকাতা: তিলোত্তমার বিচার চেয়ে মিছিলে ‘কাশ্মীর মাঙ্গে আজাদি স্লোগান’! যাদবপুর থেকে যে মিছিল বেরিয়েছিল,সেই মিছিলে ছিলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। তাতে এই স্লোগান ঘিরে এখন চরম বিতর্ক। প্রশ্ন উঠছে, তিলোত্তমার বিচার চেয়ে মিছিলে কেন এই ধরনের স্লোগান? আর তা নিয়েই তোপ দেগেছেন তৃণমূল-বিজেপি।
তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ প্রশ্ন তুলেছেন। বামেদেরকে তোপ দেগে তিনি বলেছেন, ‘মুখোশের আড়ালে অরাজকতা বন্ধ হোক।’ তৃণমূলের মুখপাত্র কৃশানু মিত্র বলেন, “এই অসভ্যতামোর আন্দোলন, বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলনকে আজকে নৈতিক আইনি সমর্থন জানাবার কথা যাঁরা বলছেন, তাঁদেরকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখাতে চাই, তাঁরা কী উদ্দেশ্যে এটা করছেন?”
আসল ঘটনা থেকে দৃষ্টি ঘোরাতে এই ধরনের চেষ্টা চলছে বলে পাল্টা দাবি তুলেছে বিজেপি। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “প্রথম থেকেই বলছি, এই আন্দোলনটাকে হাইজ্যাক করার চেষ্টা চলছে। সেটা অতি বামেরা করছে। উদ্দেশ্য একটাই। আর সেটা করছে মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের অঙ্গুলি হেলনেই। তাঁরা জানেন, এই স্লোগানগুলো উঠলে, সাধারণ মানুষ পিছিয়ে আসবেন। কারণ সাধারণ মানুষ কাশ্মীরের আজাদি চান না। ভারতবর্ষকে নিয়ে সাধারণ মানুষ খুশিই রয়েছেন।”
যদিও সে প্রসঙ্গে সিপিএম নেতা সৃজন ভট্টাচার্য বলেন, ” এই স্লোগান যখন বিশ্ববিদ্য়ালয়ে ব্যবহৃত হত, যাঁরা এই স্লোগান দিতেন, তাঁরা মূলত বেকারত্বের থেকে আজাদি, মূল্যবৃদ্ধির থেকে আজাদি, তাঁরা ধর্ষণের থেকে আজাদি, পুরুষতন্ত্রের থেকে আজাদি এসব কথা বলতেন। সেখানে কিছু লোক ঢুকে পড়ে কাশ্মীর মাঙ্গে আজাদি স্লোগান দিতেন। কিন্তু সেই মুখগুলোকে বিচ্ছিন্ন করুন। আমরা কেউ ভারতকে ভাগ করার কথা বলছি না।”
রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে চিকিৎসক সুবর্ণ গোস্বামী বলেন, ” যে যার নিজের স্লোগান দিচ্ছে, তাতে আমাদের কিছু বলার থাকে না। কিন্তু এই ধরনের বিভিন্ন জিনিস তুলে এনে আপত্তি জানাবেন। আন্দোলনকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করছেন।”