Rachana Banerjee: রচনা লড়ছেন ভোটে, ‘দিদি নম্বর ওয়ানে’ এবার কোন মুখ? দেখুন ভিডিয়ো
Rachana Banerjee: তিনি তো রাজনীতির ময়দানে, তাহলে 'দিদি নম্বর ওয়ান'- জনপ্রিয় শোটির ভবিষ্যৎ কী হতে চলেছে? TV9 বাংলার এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে সবটা জানালেন রচনা।
রচনা বললেন, “মহিলাদের জন্য আমি সব সময়েই ভাবি। মহিলারা জানেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় মানেই, তিনি মহিলাদের পাশে দাঁড়াবেন। আমি এটাও বলেছিলাম, আমাকে প্রচারে যেতে সবসময়ে রাজি। দিদি নম্বর ওয়ান চলবে।” তবে তিনি এটাও বলেন, “তবে একটু এফেক্টেড হবে। ওই রাজনীতি মানে প্রচারের ফাঁকে ফাঁকে এসে আমাকে রাতে এসে শুটিং করতে হবে।”
রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়! একটা মুখ, যাঁকে অভিনয়ের জগতের বাইরেও মানুষ চেনে জনপ্রিয় টেলিভিশন শো ‘দিদি নম্বর ওয়ানে’র প্ল্যাটফর্মে। যে শোয়ের জনপ্রিয়তা বাংলার গণ্ডি পেরিয়ে ভিন রাজ্যের বাঙালি মহিলাদের কাছেও মারাত্মক। কিছুদিন আগেই যখন এই স্টেজে বাংলার ‘দিদি’ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গিয়েছিলেন, তখন থেকেই জল্পনা ছড়িয়েছিল রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হয়তো এবার দেখা যাবে অন্য আঙ্গিকে। প্রমাণ মিলল ১০ মার্চ তৃণমূলের ‘জনগর্জন সভায়’। রচনা র্যাম্পে হাঁটলেন। তবে ‘দিদি নম্বর ওয়ান’ হিসাবে নয়। তৃণমূল প্রার্থী হিসাবে। হুগলি লোকসভা কেন্দ্র থেকে তিনি শাসকদলের টিকিটে এবার লড়ছেন।
রাজনীতি তাঁর কাছে নতুন। তাই এবিষয়ে তাঁকে একটু বেশিই হোম-ওয়ার্ক করতে হচ্ছে। রচনা বললেন, “একদমই নতুন অভিজ্ঞতা। কিচ্ছু জানি না। শুধু এটুকুই জানি মানুষ ভীষণ ভালোবাসে আমাকে।” লোকসভায় রচনাকে প্রার্থী করাটা কি তৃণমূল সুপ্রিমোর পূর্ব পরিকল্পতি? রচনা জানালেন, “দিদিও প্রথমে তেমনটা ভাবেননি। ওঁ ভেবেছিলেন, রচনা একদম নতুন। রচনা আরও একটু কাজ করুক।”
তবে কথায় কথায় রচনা ফাঁস করলেও আরও একটি তথ্য। এই প্রথম নয়, বিরোধী রাজনৈতিক দলের তরফে বেশ কয়েক বছর আগে তাঁর কাছে প্রার্থী হওয়ার প্রস্তাব এসেছিল। কিন্তু তিনি তখন তাতে সাড়া দেননি। তিনি বলেন, “সত্যি কথা বলতে আমি বরাবরই দিদির ফ্যান। আমি অন্য দলের কথা ভাবিইনি।”
কিন্তু এর আগেও শাসকদলের তারকা-প্রার্থী করার প্রবণতা প্রথম নয়। এর আগেও একাধিক অভিনেতাকে প্রার্থী করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁরা জয়ীও হয়েছেন। কিন্তু বিরোধীদের তরফ থেকে মাঝেমধ্যেই প্রশ্ন তোলা হয়, তারকাপ্রার্থী আদতে মানুষের কাছে পৌঁছতে পারেন না। অভিযোগ ওঠে, তারকারা আদতে তাঁদের রঙিন জীবন, ক্যামেরা-লাইটের দুনিয়াতেই ব্যস্ত থাকেন। রচনা এখন অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি শো-র সঞ্চালক। এই শোতে মূলত গ্রাম বাংলার মেয়েদের জীবন সংগ্রাম তুলে ধরা হয়, আর সঙ্গে মনোরঞ্জনের জন্য বিভিন্ন খেলা। তবে কি ভোট মিটলে তিনিও শো-টেলিভিশনে পর্দায় ব্যস্ত হয়ে পড়বেন? সে বিষয়ে রচনার স্পষ্ট বক্তব্য, ” আমি রাজনীতিতে আসব বলে কখনও ভাবিনি। তবে একন আমি সাধারণ মানুষের সঙ্গে একশো শতাংশ দেব। অনেক সময়েই অভিযোগ ওঠে অভিনেত্রীরা সময় দেন না। তাঁদের নিজস্ব কী সুবিধা অসুবিধা- সে ব্যাপারে তো মন্তব্য করতে পারি না। কারণ সবার লাইফে কিছু না কিছু সমস্যা আছে। প্রয়োজনে আমি সন্দেশখালিও যাব। ” আজ মহিলাদের প্রতিনিধিত্ব করতেই রাজনীতির ময়দানে ‘দিদি নম্বর ওয়ান’।
হুগলিতে লড়ছেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তার বিপক্ষে আরও এক অভিনেতা তাঁরই একসময়ের সহকর্মী লকেট চট্টোপাধ্যায়। তিনি অবশ্য রাজনীতির আঙিনায় পা রেখেছেন অনেক আগেই। কেমন হবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা? রচনা বললেন, ‘ভীষণ টাফ লড়াই।’