Rajanya Halder: এবার সিনেমা! হবু বরের ছবিতে অভিনয় রাজন্যার, রাজনীতি কি ছেড়ে দিচ্ছেন?
Rajanya Haldar's Movie: রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের সিনেমায় আসা নতুন নয়। কয়েকদিন আগেই বড় পর্দায় দেখা মিলেছিল মদন মিত্রের। সেই ছবিতে ও লাভলি ডায়লগও ছিল বিধায়কের মুখে। খোদ মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গান লেখেন-সুর দেন। এছাড়াও একাধিক সৃজনশীল কাজ করেন। তাই সিনেমায় বেশি মন দিলে রাজনীতিতে প্রভাব পড়বে বলে মনে করেন না রাজন্যা।
কলকাতা: দিনটা ছিল ‘একুশে জুলাই’। তৃণমূলের সভামঞ্চে ঝাঁঝাল বক্তব্য রেখেছিলেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেত্রী রাজন্যা হালদার। সেদিনের তাঁর বক্তৃতা শোরগোল ফেলেছিল রাজনীতির ময়দানে। চর্চা হয়েছিল বিরোধী শিবিরেও। এবার আরও একবার সংবাদ শিরোনামে তৃণমূল যুব নেত্রী। কারণ রাজনীতির ময়দান ছাপিয়ে রুপোলি পর্দায় ধরা দেবেন তিনি।
মূলত, একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে লাইম লাইটে এসেছিলেন রাজন্যা। তারপর রাজনীতিতে পরিচিতি পেয়েছেন প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের এই প্রাক্তনী। জানা গিয়েছে, সিনেমার পরিচালক তাঁরই হবু বর তথা তৃণমূল নেতা প্রান্তিক চক্রবর্তী। মাস কয়েক আগেই তাঁর সঙ্গে আংটি বদল সেরেছেন রাজন্যা। প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন মুক্তি পাবে ছবিটি।
জানা গিয়েছে, পাহাড়ের স্বাধীনতা সংগ্রামের গল্প। সেখানে পুতলি তামাংয়ের ভূমিকায় অভিনয় করতে দেখা যাবে রাজন্যাকে। ছবির সিংহভাগের শুটিং হয়েছে পাহাড়ে। ‘ভারত ছাড়ো’ আন্দোলনে পাহাড়ের ভূমিকা উঠে আসবে এই ছবিতে। তবে শুধু অভিনয় নয়, এই ছবিতে নিজের সুরে গানও গেয়েছেন তৃণমূল যুব নেত্রী।
এর আগে রাজন্যার কিছু নাচের ভিডিয়ো ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। যা নিয়ে জলঘোলা হলেও বিষয়টি পরোয়া করেননি নেত্রী। পরিষ্কার জানিয়েছিলেন, কে কী বলছে তাতে কিছু এসে যায় না। এর কয়েকমাস পরই এবার সুখবর দিলেন রাজন্যা। ইদানিং রাজনৈতিক মঞ্চে সক্রিয় হতে দেখা যাচ্ছে না তাঁকে। প্রশ্ন উঠছিল তাহলে কি রাজনীতি ছাড়ছেন। নাকি নিছকই ছবির জন্য সময় কম দিচ্ছেন? প্রশ্ন শুনে রাজন্যার উত্তর, ছবির জন্য সময় দিতে হয়েছে। তবে মাঠে ময়দানে তিনি ছিলেনই। তবে হবু বরের সিনেমা বলেই ‘হ্যাঁ’ বলে দেননি রাজন্যা। তাঁর কথায়,”ছবির গল্প ও চরিত্র ভাল লেগেছিল বলেই হ্যাঁ বলা। ভবিষ্যতে অন্য কোনও পরিচালকের গল্প ভাল লাগলে তখনও রাজি হবো।”
রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের সিনেমায় আসা নতুন নয়। কয়েকদিন আগেই বড় পর্দায় দেখা মিলেছিল মদন মিত্রের। সেই ছবিতে ও লাভলি ডায়লগও ছিল বিধায়কের মুখে। খোদ মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গান লেখেন-সুর দেন। এছাড়াও একাধিক সৃজনশীল কাজ করেন। তাই সিনেমায় বেশি মন দিলে রাজনীতিতে প্রভাব পড়বে বলে মনে করেন না রাজন্যা।
তবে অভিনেতা খুঁজতে বেগ পেতে হয়েছে হবু স্বামী-স্ত্রী দুজনকেই। কারণ, এই ছবির সহ পরিচালকও রাজন্যাই। ছবিটি তৈরি হচ্ছে নেপালি ভাষায়। প্রান্তিক অবশ্য আশ্বাস দিয়েছেন, “সিনেমার কোনও ভাষা হয় না। আর সাবটাইটেল তো আছেই, তাই বুঝতে কোনও অসুবিধা হবে না।” এই গল্প নাকি অনেকেরই অজানা বলেও দাবি তাঁর। তিনি বলেছেন,”উত্তরও নয় দক্ষিণও নয়, পশ্চিমবঙ্গের বার্তা এই ছবি থেকে পাওয়া যাবে। এই গল্প অনেক কিছু ভাবাবে।”