Suvendu Adhikari: ‘রাম নবমী ৬ তারিখে, এখন থেকে প্র্যাকটিস করতে হবে তো!’, কী প্র্যাকটিস করার কথা বলছেন শুভেন্দু?

Suvendu Adhikari: কিছুদিন আগেই রাম নবমীতে ১ কোটি বাঙালিকে পথে নামার ডাক দিয়েছিলেন শুভেন্দু। সাফ বলেছিলেন, “গতবার ৫০ লক্ষ হিন্দু নেমেছিল, একহাজার মিছিল হয়েছিল। এবার ২ হাজার মিছিল হবে, ১ কোটি হিন্দু রাস্তায় থাকবে।” এমনকী পুলিশের ভূমিকা নিয়েও পরবর্তীতে দফায় দফায় তোপ দেগেছিলেন তিনি।

Suvendu Adhikari: ‘রাম নবমী ৬ তারিখে, এখন থেকে প্র্যাকটিস করতে হবে তো!’, কী প্র্যাকটিস করার কথা বলছেন শুভেন্দু?
শুভেন্দু অধিকারী (ফাইল ছবি)Image Credit source: TV 9 Bangla

| Edited By: জয়দীপ দাস

Mar 27, 2025 | 7:33 PM

বারুইপুর: বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী-সহ দলের বিধায়ক ও কর্মীদের উপর আক্রমণের প্রতিবাদে বারুইপুরে পুলিশ সুপারের অফিসের সামনেই বড় কর্মসূচির ডাক দিয়েছিল বিজেপি। অনুমতি পেতে ছুটতে হয়েছিল হাইকোর্টে। অনুমতি পেতেই সেই সভা থেকে এদিন দফায় দফায় পুলিশের বিরুদ্ধে গর্জে উঠলেন শুভেন্দু। উঠে এল রাম নবমীর প্রসঙ্গও। মঞ্চে উঠেই দিলেন ‘জয় শ্রী রাম’, ‘ভারত মাতা কী জয়ের’ মতো স্লোগান। স্লোগানকে হাতিয়ার করেই কর্মীদের দিলেন নতুন অক্সিজেন। 

শুভেন্দু যখন জয় শ্রী রাম স্লোগান দিচ্ছেন তখন বেশ কিছু কর্মী তাঁর সঙ্গে গলা মেলান। কিন্তু, স্লোগানের ঝাঁঝ কম দেখে সঙ্গে সঙ্গেই শুভেন্দু বলে ওঠেন, “আরও জোরে, আরও জোরে বলুন। ৬ তারিখে তো রাম নবমী। এথন থেকে প্র্যাকটিস করতে হবে তো!” ফের কিছুটা থেমে ফের রণ হুঙ্কারের সুরেই দেন জয় শ্রী রাম। পাল্টা গর্জে ওঠেন সমবেত কর্মীরা। সুর এক্কেবারে সপ্তমে। পিছনে তখন বসে  অগ্নিমিত্রা পাল, তাপস রায়ের মতো নেতারা। তাঁদেরও গলা মেলাতে দেখা যায় শুভেন্দুর সঙ্গেই।

প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই রাম নবমীতে ১ কোটি বাঙালিকে পথে নামার ডাক দিয়েছিলেন শুভেন্দু। সাফ বলেছিলেন, “গতবার ৫০ লক্ষ হিন্দু নেমেছিল, একহাজার মিছিল হয়েছিল। এবার ২ হাজার মিছিল হবে, ১ কোটি হিন্দু রাস্তায় থাকবে।” এমনকী পুলিশের ভূমিকা নিয়েও পরবর্তীতে দফায় দফায় তোপ দেগেছিলেন তিনি। সাফ বলেছেন, রাম নবমীর মিছিলের জন্য কোনও অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন নেই। পুলিশের প্রোফর্মা নিয়ে বলতে গিয়ে বলেন, “আমরা সব জায়গায় বলে দিচ্ছি এই প্রোফর্মা কেউ ফিলাপ করবেন না। প্রোফর্মাতে কমিটির নাম, পুজোর স্থান, সেক্রেটারি ও প্রেসিডেন্টের নাম ও মোবাইল নম্বর, শোভাযাত্রা হবে কিনা, হলে যাত্রাপথ জানতে চাইছে। একইসঙ্গে বলছে ওই রুটে অন্য ধর্মের  কোনও প্রতিষ্ঠান আছে কিনা, মুসলিম মহল্লার নাম, পুলিশ চাইছে।” এখানেই কপালে চিন্তার ভাঁজ চাওড়া হয়েছে বিজেপি নেতাদের। এদিন ফের বারুইপুর থেকে সেই পুলিশকেই চাঁচাছোলা ভাষায় তোপ দাগতে দেখা গেল শুভেন্দুকে।