Recruitment Scam: নিয়োগ দুর্নীতিতে মানিকের ছেলের নামে লুক আউট নোটিস জারি
Recruitment Scam: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এই প্রথম লুক আউট সার্কুলার নোটিশ জারি হল।

কলকাতা: প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যর (Manik Bhattacharya) ছেলে সৌভিক ভট্টাচার্যর নামে লুক আউট নোটিস জারি করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এই প্রথম লুক আউট সার্কুলার নোটিশ জারি হল। যাতে মানিক ভট্টাচার্যের ছেলে কোনওভাবেই দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে না পারেন, তার জন্য এই লুক আউট নোটিস জারি করা হয়েছে। সেই লুক আউট নোটিসের প্রতিলিপি কেবল এয়ারপোর্ট অথরিটিকে নয়, স্থল ও জলবন্দরের কর্তাদের কাছে দেওয়া হয়েছে। সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতেও দিয়ে দেওয়া হয়েছে সেই নোটিসের প্রতিলিপি। নিয়োগ দুর্নীতিতে প্রথমেই নাম উঠে আসে মানিক ভট্টাচার্যের ছেলের। তাঁকে আদালত তলবও করেছিল। তিনি আদালতে হাজিরা দেন। কিন্তু তারপরও এই নোটিস। তদন্তকারীদের কাছে তথ্য আছে, দুর্নীতির টাকা মানিকের ছেলের অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে। তদন্তকারীরা বলছেন, মানিকের ছত্রছায়ায় যে দুর্নীতি হয়েছিল, তা সৌভিক ভট্টাচার্যের সংস্থাতেও ঢোকে। এই মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত হিসাবে নাম রয়েছে মানিক ভট্টাচার্যের। তাঁর ছেলেও এই মামলায় অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা। নিয়োগ দুর্নীতিতে ইডি যে চার্জশিট জমা দিয়েছে, তাতে নাম রয়েছে সৌভিকের। তাঁকে সেক্ষেত্রে জিজ্ঞাসাবাদ করা অত্য়ন্ত প্রয়োজন। এদিকে আবার আগাম জামিনের আবেদন জানিয়ে রেখেছেন সৌভিকও। আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি সেই মামলার শুনানি। মানিকপুত্র যাতে কোনওভাবেই দেশ ছেড়ে না যেতে পারেন, তার জন্য আগে থেকেই লুকআউট নোটিস জারি করা হয়েছে। অভিজ্ঞ মহলের ধারণা, এবার সৌভিক ভট্টাচার্যকে আইনি লড়াইয়ের ক্ষেত্রেও বেশ কিছু সমস্যার মুখে পড়তে হবে।
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে ইতিমধ্যেই তথ্য এসেছে, রাজ্য জুড়ে বেসরকারি ডিএলএড কলেজ রয়েছে ৫৯৬টি। রাজ্যের সমস্ত ডিএলএড কলেজ থেকে আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য। তদন্তকারীদের জেরার মুখে পড়ার আগেই মানিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন তাঁর এককালীন ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডলও। তদন্তে জানা গিয়েছে, মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছেলের একটি কনসালটেন্সি সংস্থা ছিল। বেসরকারি বিএড কলেজগুলিকে ২০১৮ সালের অক্টোবর থেকে ২০১৯ সালের এপ্রিল মাস তথা ৭ মাসের মধ্যে ওই সংস্থা ২ কোটি ৬৪ হাজার টাকা তুলেছিল। কিন্তু অভিযোগ, কোনও রকমের পরিষেবা দেওয়া হয়নি কলেজগুলিকে। সেক্ষেত্রেও টাকার হিসাব নিকেশ নিয়ে বেশ কিছু প্রশ্ন রয়েছে। এই সব বিষয়গুলিই তদন্তকারীরা জানতে চান।
