Recruitment Scam: দু’বছর জেলে ঠেকে শিখেছেন…নেত্রীকে এবার কয়েকজনের নাম জানানোর চেষ্টায় কালীঘাটের ‘কাকু’ ঘনিষ্ঠ শান্তনু
Recruitment Scam: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ২০২৩ সালের ১০ মার্চ ইডির হাতে গ্রেফতার হন তৎকালীন হুগলি জেলা পরিষদের স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়। পরে তাঁকে হেফাজতে নেয় আরেক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই ।

ফুলের মালা শঙ্খধ্বনি তে বরণ করলো গ্রামের মহিলারা।দু বছর ১১ দিন পর বলাগড়ের গ্রামের বাড়িতে ফিরলেন বহিষ্কৃত তৃণমূল যুব নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়। বাড়িতে ফিরেই বললেন, তিনি জেলে দু’বছর থেকে বেশ কিছু শিখেছেন। কয়েকজনের নাম নেত্রীর কানে তোলার চেষ্টা করবেন তিনি।
হুগলি: ২০২৩ সালে গ্রেফতার হন। বৃহস্পতিবার তাঁকে জামিন দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। দু’বছর ১১ দিন পর বলাগড়ের গ্রামের বাড়িতে ফিরলেন বহিষ্কৃত তৃণমূল যুব নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়। ফুলের মালা শঙ্খধ্বনিতে বরণ করলেন গ্রামের মহিলারা।
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ২০২৩ সালের ১০ মার্চ ইডির হাতে গ্রেফতার হন তৎকালীন হুগলি জেলা পরিষদের স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়। পরে তাঁকে হেফাজতে নেয় আরেক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই । গ্রেফতারের পর ১৪ মার্চ সাংবাদিক বৈঠক করে তৃণমূল কংগ্রেস তাঁকে বহিষ্কার করে। টানা দু’বছর জেলবন্দি থাকার পর অবশেষে বৃহস্পতিবার তাঁকে জামিন দেয় আদালত। সন্ধ্যা ৫টা নাগাদ তিনি বলাগড়ের বারুইপাড়ার নিজের গ্রামের বাড়িতে ফেরেন। গ্রামে ফেরার আগে কালিঘাট মন্দিরে পুজো দেন। বাড়ির বাইরে কারপেট পাতা হয়। বেলুন দিয়ে সাজিয়ে তোলা হয় বাড়ির সামনে।
তিনি জেল থেকে মুক্তি পাওয়ার পরেই কালীঘাট মন্দিরে পুজো দেন। সেখানে তাঁর সঙ্গে ছিলেন তাঁর পরিবারের লোকজন ও বেশ কিছু স্থানীয় তৃণমূল কর্মী। শান্তনুর কাকা স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ভালোই লাগছে, এতদিন পর শান্তনু বাড়ি ফিরেছে, ওকে ছেলের মতোই ভালোবাসি। ওকে অভ্যর্থনা জানানোর জন্য বাড়িতেই ছোট আয়োজন করা হয়েছে। আজ সব থেকে বেশি আনন্দ লাগছে, ছেলে তাঁর বাবাকে দেখতে পাবে। আবার এসে রাজনীতি করবে কিনা সেটা তাঁর ব্যক্তিগত ব্যাপার।”
তিনি বলেন, “শান্তনুর বিরুদ্ধে দুর্নীতি যে অভিযোগ উঠেছিল, তাতে আমার খুব দুঃখ লাগে। বিষয়টি বিচারাধীন তাই বেশি কিছু বলতে চাই না।”
শান্তনুর প্রতিবেশী রুমা মালিক বলেন, “আমাদের আনন্দই হচ্ছে, দাদাভাই এতদিন পর আজ বাড়ি ফিরছে। আমরা শাঁখ বাজিয়ে তাঁকে বরণ করে নিলাম। দাদা ভাইয়ের কোন কিছু খারাপ আমাদের চোখে পড়েনি। ওকে ভালো কাজ করতেই দেখেছি। আমরা চাই যেভাবেই রাজনীতি করছিল, সে সেভাবেই করুক।”
শান্তনু বলেন, “আমি দলের অনুগত সৈনিক ছিলাম। এখন বহিষ্কৃত। তাই দলের সমর্থক হিসাবে থাকব।” অভিমানের সুরে বলেন, “দল আমাকে সাসপেন্ড করতে পারত। আমার অভিযোগ প্রমাণ হয়নি।”
শান্তনু বলেন, “আমি দু’বছর জেলে থেকে অনেক কিছু শিখেছি। বিচারাধীন বিষয় নিয়ে কিছু বলব না। তবে দলের অনেকের কথা নেত্রীর কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করব।যাঁরা দলে থেকে বিরোধীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন।”
স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য সুরোই টুডু বলেন, “শান্তনু ফিরে আসায় আমি খুশি। দল নিজে থেকেই টেনে নেবে, উনি তো খারাপ কিছু করেননি। দলের কাছে আবেদন করব, ওনাকে নিয়ে নেওয়ার জন্য।”
উল্লেখ্য, থমিক মামলার তদন্ত করতে গিয়ে ‘কালীঘাটের কাকু’ ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের যে অডিয়ো হাতে পেয়েছে সিবিআই, তাতে শান্তনুর কণ্ঠস্বরও শোনা গিয়েছে বলে দাবি। সেই বিষয়টি সিবিআই চার্জশিটে উল্লেখও করেছে।





