কলকাতা : তাণ্ডব চলল এসএসকেএম (SSKM Medical College and Hospital) চত্বর। হাসাপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্কে (Blood Bank)ঢুকে ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল রোগীর পরিজনদের বিরুদ্ধে। এসএসকেএমের ব্লাড ব্যাঙ্ক থেকে রক্ত না পেয়ে কার্যত তাণ্ডব চালান রোগীর পরিজনরা। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, দুই দিনের এক শিশুর বি নেগেটিভ গ্রুপের রক্তের প্রয়োজন ছিল। রোগীর পরিজনরা রক্তদাতাকেও সঙ্গে করে নিয়ে এসেছিলেন। কিন্তু তারপরেও রক্ত পান না তাঁরা। ব্লাড ব্যাঙ্কের মেডিকেল অফিসার করোনায় আক্রান্ত। সেই কারণে, রক্তদাতার শরীর থেকে রক্ত নিয়ে শিশুকে দেওয়া যাবে না বলে জানানো হয়। আর এই কথা শোনার পরেই উত্তেজিত পরিজনরা ভাঙচুর শুরু করেন এসএসকেএম হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্কে। রাজ্যের অন্যতম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্কে রক্ত না পেয়ে এই অশান্তির ঘটনার রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
সূত্রের খবর, দুই দিনের এক শিশুর বি নেগেটিভ গ্রুপের রক্তের প্রয়োজন ছিল। সদ্যোজাতের পরিজনরা সঙ্গে করে রক্তদাতাকে নিয়েও এসেছিলেন। কিন্তু তারপরেও শেষ পর্যন্ত শিশুটিকে রক্ত দেওয়া সম্ভব হয়নি। কারণ, ব্লাড ব্যাঙ্কের মেডিকেল অফিসার করোনা আক্রান্ত। ব্লাড ব্যাঙ্কের এই বক্তব্য শোনার পরই উত্তেজিত পরিজনর ভাঙচুর শুরু করেন। ঘটনার একটি ভিডিয়ো ফুটেজ প্রকাশ্যে এসেছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, ব্লাড ব্যাঙ্কের এক কর্মী রোগীর পরিজনদের পরিস্থিতি কথা জানাচ্ছেন। তাদের অন্যত্র গিয়ে রক্ত দেওয়ার ব্যবস্থা করার কথা বলেন। এরপরই উত্তেজিত রোগীর পরিজনের সঙ্গে বাদানুবাদ শুরু হয়। কটূক্তিও করতে শোনা যায়। তারপরেই উত্তেজিত পরিজনরা ব্লাড ব্যাঙ্কের একটি টেবিল উল্টে দিতে দেখা গিয়েছে।
যদিও এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত এসএসকেএম কর্তৃপক্ষের তরফে কিছু জানা যায়নি। কেন এই ঘটনা ঘটল, তা নিয়ে এখনও পর্যন্ত বিশদে কিছু জানা যায়নি। এদিকে ঘটনায় ইতিমধ্যেই ভবানীপুর থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে এবং ইতিমধ্যেই ভাঙচুরের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দুই জনকে আটক করেছে। তবে রাজ্যের সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে এমন ঘটনায় একাধিক প্রশ্নও উঠতে শুরু করেছে। বিশেষ করে যে আশঙ্কার কথা বার বার বিশেষজ্ঞরা বলছিলেন, সেটিই আবারও প্রমাণ পাওয়া গেল। শুধু এসএসকেএম হাসপাতালই নয়, রাজ্যের বহু হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে নিযুক্ত কর্মী ও আধিকারিকরা করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। আর তার প্রভাব সরাসরি গিয়ে পড়ছে রাজ্যের জন স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর উপর, আর ভুক্তভোগী হচ্ছে আম জনতা।
আরও পড়ুন : Kolkata Metro: করোনার কড়াকড়ির পর থেকেই মেট্রোর যাত্রী সংখ্যা অর্ধেকে নেমেছে কলকাতায়