RG Kar Case: ‘বিরলের মধ্যে বিরলতম’ পরিস্থিতি আদালতে, আরজি কর মামলায় ইন-ক্যামেরা শুনানি চায় CBI

তদন্ত প্রসঙ্গে আইনজীবী বলেন, "আমাদের কোনও ম্যাজিক জানা নেই। আমাদের সিসিটিভি, ফোনের ডেটা এবং সিএফএসএল রিপোর্টের অপেক্ষা করতে হচ্ছে।" তাই ৩০ সেপ্টেম্বর অবধি অভিযুক্তদের জেল হেফাজতে পাঠানোর আবেদন জানানো হয়েছে।

RG Kar Case: 'বিরলের মধ্যে বিরলতম' পরিস্থিতি আদালতে, আরজি কর মামলায় ইন-ক্যামেরা শুনানি চায় CBI
শিয়ালদহ কোর্টImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 25, 2024 | 5:29 PM

কলকাতা: আরজি কর মামলায় আজও উত্তাল হল শিয়ালদহ আদালত। বিশেষ সিবিআই আদালতে বুধবার পেশ করা হয় মামলার অন্যতম অভিযুক্ত সন্দীপ ঘোষ ও টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে। তাঁদের পক্ষে আইনজীবীরা এদিন জামিনের আবেদন জানান। কিন্তু শুনানির মাঝেই আইনজীবীদের বিক্ষোভে উত্তাল হয় আদালত কক্ষ। সিবিআই-এর তরফে ইন ক্যামেরা শুনানির আবেদন জানানো হয়েছে এদিন।

অভিজিৎ মণ্ডলের আইনজীবী এদিন জামিনের আবেদন জানান। আজ জেল হেফাজতের আবেদন করা হয়েছে সিবিআই-এর তরফে। টালা থানার প্রাক্তন ওসি-র দাবি, ঘটনার দিন সকাল সাড়ে ৯টায় খবর পান তিনি, সকাল সাড়ে ১০টায় যান। তাঁর দাবি, তাঁর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে, সেই ধারা যোগ করা হয়নি। ষড়যন্ত্রের অভিযোগ হলেও সেটাও জামিনযোগ্য বলে দাবি করেন তিনি।

প্রাক্তন ওসি সওয়াল করেছেন, পুলিশের ক্ষেত্রে নিয়ম মেনে গ্রেফতারের আগে অনুমতি চাওয়া হয়নি। সাতবার নোটিস পেয়েই হাজিরা দিয়েছেন তিনি, দুবার মৌখিকভাবে ডাকা হয়েছে, তখনও গিয়েছেন। কোন গ্রাউন্ডে গ্রেফতার, তা এখনও জানানো হয়নি।

এদিকে, আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের আইনজীবী দাবি করেন, কলেজে কিছু ঘটনা ঘটলে, সেটা এফআইআর করার দায়িত্ব অধ্যক্ষের, আর হাসপাতালে কিছু হলে এফআইআর করার দায়িত্ব এসএসভিপি-র।

এই সওয়াল-জবাবের মাঝেই শুরু হয় তুমুল বিক্ষোভ। বার অ্যাসোসিয়েশনের তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, অভিযুক্তদের তরফে কেউ মামলা লড়বেন না। সেই ইস্যুতেই এদিন বিক্ষোভ দেখান আইনজীবীদের একাংশ।

এরপর সিবিআই-এর আইনজীবী ‘ইন ক্যামেরা’ শুনানির আবেদন জানায়। সিবিআই-এর আইনজীবী এদিন বলেন, “আদালতের ভিতরে যেভাবে বিক্ষোভ হচ্ছে, এটা বিরলের মধ্যে বিরলতম ঘটনা।” তদন্ত প্রসঙ্গে আইনজীবী বলেন, “আমাদের কোনও ম্যাজিক জানা নেই। আমাদের সিসিটিভি, ফোনের ডেটা এবং সিএফএসএল রিপোর্টের অপেক্ষা করতে হচ্ছে।” তাই ৩০ সেপ্টেম্বর অবধি অভিযুক্তদের জেল হেফাজতে পাঠানোর আবেদন জানানো হয়েছে। তবে ইন ক্যামেরা শুনানির আবেদনের বিরোধিতা করেছে অভিযুক্তদের আইনজীবীরা।