কলকাতা: একদিকে উদযাপন, একদিকে বিদ্রোহের আগুন। একদিকে ধনুচি নাচ, অন্যদিকে রণংদেহি মেজাজ জনতার, একদিকে উৎসব, অন্যদিকে প্রতিবাদ, একদিকে কাসর-ঘণ্টা-ঢাকের বোল, অন্যদিকে তপ্ত সোগ্লানে উত্তপ্ত রাজপথ! হ্যাঁ, উৎসবের কার্নিভালের দিনই দ্রোহের কার্নিভাল দেখল তিলোত্তমা। পুজোর কার্নিভালে যখন মাতোয়ারা রেড রোড, ঠিকই সেই সময়ই ক্ষোভের আগুন আছড়ে পড়ল ধর্মতলায়। অবরুদ্ধ হল ড্রোরিনা ক্রসিং। মানববন্ধন এগোল রাজপথ বেয়ে। ডিসি সেন্ট্রালকে দেখে উঠল গো ব্য়াক স্লোগান। শুধু কলকাতা নয় দ্রোহের কার্নিভাল ঢেউ তুলল জেলায় জেলায়।
অন্যদিকে এদিনই আবার রাজ্য সরকারের পুজো কার্নিভাল বয়কটের আহ্বান জানিয়ে মিছিলের ডাক দেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেখানে থেকেই লাগাতার উঠল সরকার বিরোধী স্লোগান। এদিকে এখনও ধর্মতলার অনশন মঞ্চে অনশনে অনড় জুনিয়র ডাক্তাররা। পুজোতেও সেখানে নেমেছিল মানুষের ঢল। এবার লক্ষ্মী পুজোর আগের রাতেও সেখানে একই ছবি। নতুন করে অনশনে যোগ দিয়েছেন রুমেলিকা কুমার, স্পন্দন চৌধুরীরা। শুধু জল খেয়ে চলছে অনশন।
প্রসঙ্গত, দ্রোহের কার্নিভাল নিয়ে এদিন দুপুর পর্যন্ত কলকাতা হাইকোর্টে চলেছে চাপানউতোর। অনুমতি মিলবে কী মিলবে না তা নিয়ে বাড়ছিল ধোঁয়াশা। এদিকে জমায়েত রুখতে পুলিশের তরফে আগেই জারি করা হয়েছিল ১৬৩ ধারা। ব্যারিকেড বসে রাস্তায়। যদিও শেষ পর্যন্ত কোর্টের হস্তক্ষেপে অনুমতি মেলে। পুলিশের জারি করা ১৬৩ ধারা খারিজ করে দেন বিচারপতি রবিকিষাণ কাপুর। পুলিশই শেষ পর্যন্ত তাঁদের বাঁধা ব্যারিকেড খুলে ফেলে। বেজে ওঠে জনতার প্রতিবাদের শঙ্খ।