RG Kar: DC সেন্ট্রাল ইন্দিরা মুখোপাধ্যায় মিথ্যে বলছেন, সাদা কাপড় দিয়ে ঘেরা ছিল না, সাজিয়ে গুছিয়ে রাখা হয়েছে দেখেই বোঝা যাচ্ছে: তিলোত্তমার বাবা

RG Kar Case: ডিসি সেন্ট্রাল ইন্দিরা মুখোপাধ্যায় সাংবাদিক বৈঠক করে পরিষ্কার জানিয়ে দেন তিনি সেমিনার হলে যেখানে বডি পাওয়া গিয়েছিল তার থেকে চল্লিশ ফিটের মধ্যে বহিরাগত কেউ আসেনি। সেই অংশ পুলিশ সাদা কাপড় দিয়ে কর্ডন (ঘেরা) করে রেখেছিল।

RG Kar: DC সেন্ট্রাল ইন্দিরা মুখোপাধ্যায় মিথ্যে বলছেন, সাদা কাপড় দিয়ে ঘেরা ছিল না, সাজিয়ে গুছিয়ে রাখা হয়েছে দেখেই বোঝা যাচ্ছে: তিলোত্তমার বাবা
DC সেন্ট্রাল ইন্দিরা মুখোপাধ্যায় Image Credit source: Tv9 Bangla
Follow Us:
| Updated on: Aug 27, 2024 | 12:10 AM

কলকাতা: সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া আরজি করের ভিডিয়ো নতুন করে ফের জন্ম দিয়েছে বিতর্কের। বহিরাগত লোকজন কীভাবে ক্রাইম স্পটে ঢুকে পড়লেন এই নিয়ে যখন জলঘোলা হচ্ছে সেই সময় ডিসি সেন্ট্রাল ইন্দিরা মুখোপাধ্যায় সাংবাদিক বৈঠক করে পরিষ্কার জানিয়ে দেন, সেমিনার হলে যেখানে বডি পাওয়া গিয়েছিল তার থেকে চল্লিশ ফিটের মধ্যে বহিরাগত কেউ আসেনি। যেখানে নির্যাতিতার মৃতদেহ উদ্ধার হয়, সেই অংশ পুলিশ সাদা কাপড় দিয়ে কর্ডন (ঘেরা) করে রেখেছিল। তবে পুলিশের এই দাবি খন্ডালেন তিলোত্তমার পরিবার। তাঁদের আবার দাবি, যেই সময় তাঁরা সেমিনার রুমের ভিতরে গিয়েছিলেন তখন সাদা কাপড় দিয়ে কোনও কর্ডন করা ছিল না। দেখেই বোঝা যাচ্ছিল সব সাজিয়ে রাখা হয়েছে। তিলোত্তমার বাবা টিভি ৯ বাংলায় স্পষ্ট জানিয়েছেন, ডিসি সেন্ট্রাল ইন্দিরা মুখোপাধ্যায় একেবারে মিথ্যে কথা বলছেন। তাঁদের পরিবারকে সাড়ে তিনটের আগে সেমিনার হলে ঢুকতেই দেওয়া হয়নি।

আজ টিভি ৯ বাংলাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিলোত্তমার বাবা বলেন, “ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়ের এত মিথ্যা বলার প্রয়োজনীয়তা কী ছিল? উনি সব মিথ্যা কথা বলছেন। আমাদের পরিবারের কাউকে সাড়ে তিনটের আগে ভিতরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলানো হয়েছে সিপির ফোন থেকে। আর আমরা যখন ঢুকি সেখানে সিপি ছাড়া আর কেউ ছিল না। সিপি ছাড়া কেউ আমাদের ওইখানে নিয়ে যাননি।”

এরপরই ঘটনার অকুস্থল অর্থাৎ যেখানে তিলোত্তমার দেহ পড়েছিল সেটি ঘিরে রাখা ছিল কি না প্রশ্ন করলে তিলোত্তমার বাবা পরিষ্কার বলেন, “কোনও ঘেরা ছিল না। একদম ফাঁকা ছিল। যেই রকম আমার মেয়েটাকে মানে সাজিয়ে গুছিয়ে রাখা হয়েছে দেখেই বোঝা যাচ্ছে।”

আজ কী বলেছে লালবাজার?

“আরজি কর হাসপাতালের সেমিনার রুম ‘প্লেস অফ অকারেন্স’। এটি ৫১/৩২ ফিট। এরই একটা অংশে মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। এই ঘরের চল্লিশ ফিট পর্যন্ত পুলিশ সাদা কাপড় দিয়ে কর্ডন (ঘিরে) করে রেখেছিল। ভাইরাল ভিডিয়োতে যা দেখা গিয়েছে তা এই চল্লিশের ফিটের বাইরের যে এগারো ফিটের ভিডিয়ো। এখানে অনেকে উপস্থিত ছিলেন। ওইখানে বহিরাগত কেউ ছিল না।”

চিকিৎসক কুণাল সরকার বলেন, “বেসিক ফ্যাক্টস নিয়ে কনফিউশান হচ্ছে। সারা দেশ বসে আছে সত্য উদঘাটনের জন্য। আমরা বুঝি কলকাতা পুলিশ অনেকদিক থেকে ভয়ঙ্কর চাপে আছে। এই চাপের মধ্যেও আমরা চাই তারা লজিক্যাল কমিউনিকেশন করুক।”