Shahjahan Sheikh: শাহজাহানের বাহুবলেই বসিরহাটে জয় নুসরতের?
Shahjahan Sheikh: জেলার রাজনৈতিক মহলের অন্দরে চলছে ফিসফাস। ভোটের সময় নাকি এলাকা নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব থাকে শাহজাহানের উপরেই। একদা সিপিএমের ছত্রছায়ায় থাকা শাহজাহানই এখন বসিরহাটে তৃণমূলের ‘সম্পদ’।
কলকাতা: বাম আমলেই উত্থান শাহজাহানের। রাজ্যে পালাবদলের পরও তার প্রভাব এতটুকু কমেনি। পালাবদলের বছরেই ২০১১ সালে তৈরি হয় শাহজাহান মার্কেট। নানা রাজনৈতিক অশান্তির ঘটনায় নাটের গুরু হিসাবে উঠে এসেছে এই শাহজাহানের নাম। মানব পাচার থেকে গরু পাচার, কাঠ পাচার, হেরোইনের ব্যবসা, স্থানীয় মানুষদের একাধিক অভিযোগ রয়েছে এই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। তবে শাহজাহানের (Seikh Sahjahan) অবশ্য তাতে কিছুই যায় আসেনি। উল্টে তাঁর দাপট আরও বেড়েছে এলাকায়।
জেলার রাজনৈতিক মহলের অন্দরে চলছে ফিসফাস। ভোটের সময় নাকি এলাকা নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব থাকে শাহজাহানের উপরেই। একদা সিপিএমের ছত্রছায়ায় থাকা শাহজাহানই এখন বসিরহাটে তৃণমূলের ‘সম্পদ’। ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে বসিরহাট থেকে নুসরত জাহানকে (Nurshrat Jahan) জেতানোর ক্ষেত্রে এই নেতাই বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন বলে মত সংশ্লিষ্ট মহলের। সে সময় সন্দেশখালির ভাঙ্গিপাড়া এলাকার তিনজন বিজেপি কর্মী নিখোঁজ হন। বিজেপির অভিযোগ ছিল, তাঁদের কর্মীদের খুন করেছে শাহজাহানের বাহিনী।
যদিও সেই সময় একটি টিভি চ্যানেলে শাহজাহানকে সার্টিফিকেট দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেছিলেন, “সিপিএমের সব লোক খারাপ আমি মনে করি না। শাহজাহান কিন্তু লক্ষ্মণ শেঠ নয়। ও এলাকায় পপুলার।” শোনা যায়, শাহজাহানের এতই দাপট যে দলের শীর্ষ নেতৃত্বকেও অনেক সময় তোয়াক্কা করেন না। যদিও তারপরও দলে তাঁর কদর কমে না। একের পর এক পদ পেয়ে যান তিনি। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে জয়ী হয়ে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ হন তিনি। এর আগে তিনি ছিলেন পুরসভার চেয়ারম্যান।