Roopa Ganguly: ‘ভাটের বৈঠকে ডাকবেন না’, বিজেপির ভার্চুয়াল বৈঠকের মাঝেই আচমকা বেরিয়ে গেলেন রূপা
Roopa Ganguly: সুকান্ত মজুমদার ও দিলীপ ঘোষের উপস্থিতিতেই আচমকা ভার্চুয়াল বৈঠক থেকে বেরিয়ে যান। তাঁর আচরণে অবাক বিজেপি নেতৃত্ব।
কলকাতা : বিধানসভা নির্বাচনের পর এবার পুর নির্বাচনের দামামা বাজতেই ফের একবার ভোটের আবহ রাজ্য রাজনীতিতে। ইতিমধ্যে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে সব দলই। তারপরই বিভিন্ন দলের অন্দরে বদলে যাচ্ছে রাজনৈতিক সমীকরণ। ক্ষোভের আবহও তৈরি হচ্ছে কোনও কোনও ক্ষেত্রে। তবে মঙ্গলবার বিজেপির ভার্চুয়াল বৈঠকে যে ঘটনা ঘটেছে, তাতে রীতিমতো অবার রাজ্য নেতৃত্ব। বৈঠক চলাকালীন আচমকা ক্ষোভ প্রকাশ করলেন বিজেপি নেত্রী রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বলে ওঠেন ‘এই সব ভাটের বৈঠকে আমাকে ডাকবেন না’। রূপার এই আচরণ নিয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের দ্বারস্থ হবে বঙ্গ বিজেপি।
জানা গিয়েছে, পুরভোট নিয়েই ছিল এ দিনের বৈঠক। রূপা ছাড়াও সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি তথা দলের সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। ভার্চুয়াল এই বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন বিজেপির আরও অনেক নেতা। সেই বৈঠক চলাকালীন আচমকা আচমকা বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে যান রূপা। তাঁর এই ব্যবহার মোটেই ভালো চোখে দেখছে না বঙ্গ বিজেপি। আজই তাঁরা এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে জানাবে বলে সূত্রের খবর।
ঠিক কী কারণে রূপার ওই ক্ষোভ তা এখনও স্পষ্ট নয়, তবে তাঁর একটি ফেসবুক পোস্ট থেকে অনুমান করা যাচ্ছে, পুরভোটের প্রার্থী নিয়েই আপত্তি রয়েছে তাঁর।
সেই পোস্টে দুর্ঘটনায় বিজেপি কাউন্সিলর তিস্তার মৃত্যুর ঘটনায় অন্তর্ঘাতের অভিযোগ তুলেছেন রূপা। তিনি দাবি করেছেন, ‘তিস্তার মৃত্যু যে নিছক দুর্ঘটনা নয়, তা বেশ বুঝতে পারছি। আমি গৌরবের পাশে থাকব।’ তিস্তার স্বামীর নাম গৌরব। সূত্রের খবর, তিনি পুরভোটে টিকিট পাননি বলেই ক্ষুদ্ধ হয়েছেন রূপা।
সড়ক দুর্ঘটনায় বিজেপি কাউন্সিলর তিস্তার মৃত্যুর পর রাহুল সিনহা মৃতদেহের সামনে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন তদন্ত হওয়া উচিত। এর পিছনে অন্য কিছু থাকতে পারে। রূপা এবার সরাসরি দলের অন্তর্ঘাতের অভিযোগ তুললেন। দলেরই সাংসদ রূপার তোলা এমন অভিযোগ বিজেপিকে বিড়ম্বনায় ফেলার পক্ষে যথেষ্ট।
আরও পড়ুন: Molestation: মা ও দুই মেয়েকে রড দিয়ে মারধর, শ্লীলতাহানি! অভিযোগ উঠল স্থানীয় তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে
সম্প্রতি সুব্রত মুখোপাধ্যায়ে মৃত্যুর পর সোশ্যাল মিডিয়ায় রূপার একটি পোস্টও দলকে অস্বস্তিতে ফেলেছিল। তিনি লিখেছিলেন, ‘তিস্তাকে নিয়েছ বস্। কিছু তো ফেরত নেবে মা কালী।’ এই মন্তব্যে বিতর্ক চরমে ওঠে। তিনি আরও দাবি করেছিলেন, ‘২০২১ সালের নির্বাচনের আগে বিজেপিতে যোগদান করার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু ডিল পছন্দ হয়নি ওঁর।’ রূপা লেখেন এ সব কথা আমি বলি না। নীরবই থাকি। তাঁর মন্তব্যের সঙ্গে সহমত হয়নি বিজেপি নেতৃত্ব।