AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Sacked Teacher: ‘সরকার আশ্বস্ত করতে পারেনি’, এবার আন্দোলন হবে দিল্লিমুখী, শিক্ষা দফতরের সঙ্গে বৈঠক সেরে জানিয়ে দিলেন চাকরিহারারা

Sacked Teacher: সোমবার শিক্ষাসচিবের সঙ্গে বৈঠক করেন চাকরিহারাদের ৬ প্রতিনিধি। বেরিয়েই তাঁরা সাংবাদিকদের মুুখোমুখি হন। কিন্তু বাকি আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা না বলে তাঁরা আলোচনার বিষয়ে কথা বলবেন না বলে জানিয়ে দেন। বিকাল সাড়ে চারটেয় বসেন সাংবাদিক বৈঠকে। তখনই স্পষ্ট করে দেন, আন্দোলনের রূপরেখা।

Sacked Teacher: 'সরকার আশ্বস্ত করতে পারেনি', এবার আন্দোলন হবে দিল্লিমুখী, শিক্ষা দফতরের সঙ্গে বৈঠক সেরে জানিয়ে দিলেন চাকরিহারারা
সাংবাদিক বৈঠকে চাকরিহারা শিক্ষকরাImage Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: May 26, 2025 | 5:14 PM
Share

কলকাতা: চাকরিহারাদের আন্দোলন এবার হবে দিল্লিমুখী। শিক্ষা দফতরের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিক বৈঠকে বললেন চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীরা। আন্দোলনকারীদের তরফে প্রতিনিধি হাবিবুল্লা বলেন, “আমরা একাধিক দাবি নিয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু কিছুটা আশ্বস্ত হলেও, আমরা সব প্রশ্নের উত্তর পাইনি। তাই এবার আন্দোলন হবে দিল্লিমুখী।”

প্রসঙ্গত, সোমবার শিক্ষাসচিবের সঙ্গে বৈঠক করেন চাকরিহারাদের ৬ প্রতিনিধি। বেরিয়েই তাঁরা সাংবাদিকদের মুুখোমুখি হন। কিন্তু বাকি আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা না বলে তাঁরা আলোচনার বিষয়ে কথা বলবেন না বলে জানিয়ে দেন। বিকাল সাড়ে চারটেয় বসেন সাংবাদিক বৈঠকে। তখনই স্পষ্ট করে দেন, আন্দোলনের রূপরেখা।

চাকরিহারা শিক্ষকদের প্রতিনিধি হাবিবুল্লার বক্তব্য, “এরপর থেকে আন্দোলনের অভিমুখ হবে দিল্লিমুখী। আর বাংলার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না। আমাদের আধিকারিকদের দুর্নীতি দায়ী, কিন্তু আদালত আমাদের দিকটা দেখেনি, আমাদের সঙ্গে ন্যায় হয়নি। আমরা কীভাবে আন্দোলন দিল্লিমুখী করব, তা পরবর্তীকালে স্পষ্টভাবে জানানো হবে। পুনর্বিবেচনার যে আর্জি জানানো হয়েছে, সেটা যেন পুনর্বিবেচিত হয়।” তাঁদের কথায়, “যে রায় একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকল। ফলে পরবর্তীকালে কোনও প্যানেলে যদি ২-৩ শতাংশও দুর্নীতি হয়ে থাকে, পুরো প্যানেলটাই বাতিল হবে।”

কোথায় সন্তুষ্ট হতে পারলেন না চাকরিহারা?  চাকরিহারা শিক্ষক রাকেশ আলম বলেন, “আমরা চেয়েছিলাম, শিক্ষামন্ত্রী-মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে। সেটা হয়নি। আমরা প্রথমেই তো সন্তুষ্ট হলাম না। কারণ সচিব তো আমাদের সব প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবেন না। আমাদের সব প্রশ্নের উত্তর আমরা পাইনি। যাঁরা দিতে পারবেন, তাঁদেরই সাক্ষাৎ চাইছি।”

সম্মিলিতভাবে চাকরিহারারা স্পষ্ট করেছেন, তাঁরা কোনওভাবেই পরীক্ষায় বসবেন না। এটাই তাঁদের আলোচনার মূল বক্তব্য ছিল। সে বিষয়ে কী সরকার কোনও আশ্বাস দিল? প্রশ্নের উত্তরে চাকরিহারা রাকেশ আলম বলেন, “ওনারা আমাদের কথা দিয়েছেন, যে এবিষয়ে আইনি পরামর্শ নেবেন। কিন্তু আশ্বস্ত করতে পারেননি। আমাদের দাবি একটাই পরীক্ষা দেব না। হয় আমাদের নামে দুর্নীতি প্রমাণ করতে হবে, তারপর এই পরীক্ষায় বসব, অথবা আমরা যোগ্যতামানের পরীক্ষা নতুন করে দেব না।”

বঞ্চনার কথা জানিয়ে বাংলার সমস্ত বিধায়ক সাংসদ, বাকি রাজ্যের সাংসদদেরও চিঠি দেবেন চাকরিহারারা। পার্লামেন্টে যাতে তাঁদের বিষয়টি তুলে ধরা হয়, সেটার আবেদন জানাবেন বলেও জানিয়েছেন।