AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Salt Lake TET Agitation: সল্টলেকে সংঘাতের ৪ দিন, সাদা কাপড় গায়ে ফেলে আজ ‘জীবন্ত লাশ’ চাকরিপ্রার্থীরা

Salt Lake TET Agitation: দাবিতে নাছোড় চাকরিপ্রার্থীরা। চতুর্থ দিন দেখা গেল অন্য দৃশ্য। রাস্তায় শুয়ে রয়েছেন একের পর এক চাকরিপ্রার্থী। সাদা কাপড় গায়ে দিয়ে শুয়ে রয়েছেন।

Salt Lake TET Agitation: সল্টলেকে সংঘাতের ৪ দিন, সাদা কাপড় গায়ে ফেলে আজ 'জীবন্ত লাশ' চাকরিপ্রার্থীরা
আন্দোলনের চতুর্থ দিন
| Edited By: | Updated on: Oct 20, 2022 | 12:26 PM
Share

কলকাতা: সংঘাতের চার দিন। এখনও সল্টলেকে সেই একই অবস্থায় রয়ে গিয়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা। ভুখা পেটেই চলছে আন্দোলন। জল নামেনি গলা থেকে। অসুস্থ হয়েছেন আরও অনেকে। কিন্তু আন্দোলনে অনড় তাঁরা। গলা ভেঙে স্বর বেরোচ্ছে না, তার মধ্যেও চলছে স্লোগান। চাকরির দাবিতে সল্টলেকের করুণাময়ীতে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের কার্যালয় আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র (এপিসি) ভবনের সামনে টেট পাশ ও প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের আমরণ অনশন চলছেই। বৃহস্পতিবার চতুর্থ দিনে পড়েছে এই আন্দোলন। ইতিমধ্যেই পর্ষদ সভাপতি জানিয়ে দিয়েছেন, দাবি অন্যায্য, তা মানা হবে না। একই কথা বলেছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুও। তাঁর কথায়, “ভূভারতে এমন কোনও দিন হয়েছে? যে একটা প্যানেল বেরিয়েছে, আর প্যানেলের সবাইকে চাকরি দিয়ে দিতে হবে।” কিন্তু দাবিতে নাছোড় চাকরিপ্রার্থীরা। চতুর্থ দিন দেখা গেল অন্য দৃশ্য। রাস্তায় শুয়ে রয়েছেন একের পর এক চাকরিপ্রার্থী। সাদা কাপড় গায়ে দিয়ে শুয়ে রয়েছেন। নিজেরাই বলছেন, তাঁরা জীবন্ত লাশ!

করুণাময়ীতে অনশন মঞ্চে বায়োটয়লেট বসানোর কথা বলেছিলেন বিজেপি নেত্রী তনুজা চক্রবর্ত্তী। সেই বায়োটয়লেট বসাতে দেয়নি পুলিশ। তা নিয়ে বুধবারই এক প্রকার ঝামেলা হয়। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে বিএমসি-র অনুমতি নিয়ে হবে। সেই নিয়েই পুলিশ ও রুদ্রনীল ঘোষের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়।

রাজনৈতিক দল মিশছে আন্দোলনে। কিন্তু এখনও পথেই বসে ওঁরা। আগেই স্পষ্ট করেছিলেন, তাঁরা কোনও রাজনৈতিক দলের সদস্য নন। তাঁদের একটাই দল বেকারত্ব। আর তাই হকের চাকরির দাবিতে ধনুক ভাঙা পন নিয়েছেন তাঁরা।

চাকরি, চাকরিপ্রার্থী আর চাকরিদাতা, তিন শব্দেও আন্দোলন হচ্ছে জোরদার। এক আন্দোলনকারী বললেন, “কিছু ক্ষেত্রে তো দেখেছি সরকার ব্যতিক্রমী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, এক্ষেত্রে কেন হচ্ছে না?” এক আন্দোলনকারী বলেই ফেললেন, “মরেই তো প্রায় গেছি। শেষ লড়াইটা লড়ছি। মরতে হলে এখানেই মরব।”