Sealdah Station: শিয়ালদহ স্টেশনে গেলেই চমকে যাবেন! পয়লা বৈশাখের আগেই যাত্রীদের জন্য বড় খবর
Railways: প্রতিদিন অসংখ্য মেল, এক্সপ্রেস ট্রেন চলে শিয়ালদহ থেকে। এছাড়াও, শিয়ালদহ বিভাগ ৯৫০টি ইএমইউ/মেমু পরিষেবা চালায়। শিয়ালদহ স্টেশন প্রতিদিন ১৫-১৮ লক্ষ যাত্রীর পরিষেবা দেয়, যা সমগ্র ভারতের যে কোনও একক রেলওয়ে স্টেশনের মধ্যে সর্বোচ্চ।

কলকাতা: শিয়ালদহের যাত্রীদের জন্য বড় খবর। এবার খোলনচে বদলে গেল শিয়ালদহ স্টেশনের। শিয়ালদহ স্টেশন বলতেই চোখের সামনে যে চেনা ছবি ভেসে ওঠে, তার সঙ্গে আকাশ-পাতাল তফাত। শিয়ালদহ স্টেশনে কী এমন বদল এল?
কলকাতার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পরিবহন কেন্দ্র নিঃসন্দেহে শিয়ালদহ স্টেশন, যা কলকাতা শহরকে উত্তর ২৪ পরগণা, দক্ষিণ ২৪ পরগণা, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ এবং হাওড়া ও হুগলির কিছু অংশের শহরতলির সঙ্গে সংযুক্ত করে। শিয়ালদহ স্টেশনের অবস্থানই এমন যা শহর এবং এর আশেপাশের অঞ্চলের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশদ্বার হিসেবে কাজ করে।
প্রতিদিন অসংখ্য মেল, এক্সপ্রেস ট্রেন চলে শিয়ালদহ থেকে। এছাড়াও, শিয়ালদহ বিভাগ ৯৫০টি ইএমইউ/মেমু পরিষেবা চালায়। শিয়ালদহ স্টেশন প্রতিদিন ১৫-১৮ লক্ষ যাত্রীর পরিষেবা দেয়, যা সমগ্র ভারতের যে কোনও একক রেলওয়ে স্টেশনের মধ্যে সর্বোচ্চ। এছাড়া, শিয়ালদহ স্টেশনটি কলকাতা মেট্রো গ্রিন লাইনের সঙ্গেও সংযুক্ত, যার ফলে শহরের বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছতে সাহায্য করে।
বর্তমানে “অমৃত ভারত স্টেশন প্রকল্প”-এর অধীনে রেকর্ড গতিতে পরিকাঠামো উন্নয়নমূলক কাজ হচ্ছে। সদ্য সংস্কার করা শিয়ালদহ স্টেশন কমপ্লেক্সে এখন ১২টি কোচ বিশিষ্ট ইএমইউ রেক ধারণক্ষম একাধিক প্ল্যাটফর্ম রয়েছে। পাশাপাশি অত্য়াধুনিক ওয়েটিং রুম এবং ফুড কোর্ট, দোকান এবং এক্সিকিউটিভ রেস্টরুমের মতো অত্যাধুনিক আধুনিক পরিকাঠামো রয়েছে।
সম্প্রতিই শিয়ালদহ দক্ষিণ স্টেশনে একটি নতুন প্রবেশ/প্রস্থান গেট খোলা হয়েছে এবং পথচারীদের মেট্রো স্টেশনে সহজে পৌঁছানোর জন্য একটি সাবওয়েও খোলা হয়েছে। এক কথায় বলতে গেলে, শিয়ালদহ স্টেশন অগুনতি যাত্রীর চাহিদা মেটাতে ব্যাপক সংযোগ, আধুনিক পরিকাঠামো এবং বিস্তৃত পরিসরের পরিষেবা প্রদান করছে।
শিয়ালদহ বিভাগের সদর দফতর হল ডিআরএম বিল্ডিং, যা শিয়ালদহ স্টেশনের ১ নং প্ল্যাটফর্মের পাশে অবস্থিত। শিয়ালদহ ডিআরএম বিল্ডিংটি ১৮৬৯ সালে নির্মিত হয়েছিল। ৭১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ শিয়ালদহ বিভাগের প্রশাসনিক কেন্দ্র। বাংলা নববর্ষের প্রাক্কালে, শিয়ালদহ ডিআরএম বিল্ডিংটি চোখ ধাঁধানো আলোকসজ্জায় আলোকিত করা হয়েছে।





