Durga Puja 2022: পুজো অনুদানের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের নির্দেশ দিক আদালত, দায়ের দ্বিতীয় জনস্বার্থ মামলা

Durga Puja 2022: আদালতের নির্দেশ মেনে সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা না দিয়ে কেন পুজোয় অনুদান? এই প্রশ্নও তোলা হয়েছে জনস্বার্থ মামলায়।

Durga Puja 2022: পুজো অনুদানের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের নির্দেশ দিক আদালত, দায়ের দ্বিতীয় জনস্বার্থ মামলা
ছবি - পুজো অনুদান নিয়ে দায়ের জনস্বার্থ মামলা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 08, 2022 | 11:27 PM

কলকাতা: গত বছর অনুদানের পরিমাণ ছিল ৫০ হাজার। এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (CM Mamata Banerjee) ঘোষণায় তা এক ধাক্কায় বেড়ে হয়েছে ৬০ হাজার। তারপর থেকেই তা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। এদিকে এরইমধ্যে অনুদানের বিরোধিতা করে আইনজীবীদের সংগঠন কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) এ নিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের অনুমতি চাওয়া হয়েছিল। অনুপতি দিয়েছিলেন বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব। তারপরেই বুধবার দায়ের হয়েছিল জনস্বার্থ মামলা। এবার একই ইস্যুতে ফের আরও একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়ে গেল কলকাতা হাইকোর্টে। সূত্রের খবর, মামলা করেছেন সুবীর কুমার ঘোষ নামে এক ব্যক্তি। 

সূত্রের খবর, আদালতের নির্দেশ মেনে সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা না দিয়ে কেন পুজোয় অনুদান? যেখানে অনেক মানুষ এখনও খাবার, পরিষ্কার জল, বিদ্যুৎ, ওষুধ পাচ্ছেন না, সেখানে কেন এই অনুদান? অনেকের স্কুলে যাওয়ার সঙ্গতি নেই, তারপরেও কেন রাজ্য অনুদান দিচ্ছে পুজোয়? এই অনুদান কোন বৃহত্তর জনস্বার্থে লাগবে? এই সমস্ত প্রশ্ন তোলা হয়েছে জনস্বার্থ মামলায়। অবিলম্বে রাজ্যেকে এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের নির্দেশ দিক আদালত, মামলা করার সময় এই আবেদনও করা হয়েছে সুবীর কুমার ঘোষের তরফে। এদিকে পুজো অনুদান নিয়ে দফায় দফায় মামলা হওয়া নিয়ে চাপানউতর বেড়েছে নাগরিক মহলে।

প্রসঙ্গত, রাজ্যের ৪০ হাজারের বেশি ক্লাব পুজোয় রাজ্য সরকারের এই অনুদান পেয়ে থাকে। মোট অনুদানের জন্য খরচ হচ্ছে প্রায় ২৪০ কোটিরও বেশি। অন্যদিকে দুর্গাপুজোর জন্য গত বছর ক্লাব প্রতি ৫০ শতাংশ ছাড় দেওয়া হয়েছিল বিদ্যুতের বিলে। এবার মমতার ঘোষণায় তা বেড়ে হয়েছে গিয়েচে ৬০ শতাংশ।  সোমবার দুর্গাপুজো সংক্রান্ত প্রশাসনিক বৈঠক থেকে মুখ্যমন্ত্রীকে বলতে শোনা যায়, “আগের বার দিয়েছিলাম কত? আমার কাছে কিন্তু নেই, ভাঁড়ার শূন্য। মা দুর্গা ভাঁড়ার ভর্তি করে দেবেন, আমি আশা করি। তাই এবার আমরা আমাদের কষ্ট থাকা সত্ত্বেও ৫০ হাজার টাকাটা ৬০ হাজার টাকা করে দিলাম। খুশি তো?” এখন এই ইস্যুতে আদালতের তরফে কী নির্দেশ দেওয়া হয় সেদিকেই তাকিয়য়ে সকলে।