AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

উড়ে আসছে সিলিন্ডার, বিস্ফোরণে ভাঙছে কাচ! মধ্য রাত থেকে কাঁকুড়গাছিতে বিধ্বংসী আগুনের সঙ্গে লড়াই দমকলের

Kankurgachi Fire: স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন যে বিস্ফোরণের শব্দ এতটাই জোরাল ছিল যে প্রায় দুই কিলোমিটার দূর থেকেও আওয়াজ শোনা যায়। বিস্ফোরণের কম্পনে আশেপাশের বাড়ির সমস্ত কাচ ভেঙে চুরমার হয়ে যায়। এক স্থানীয় বাসিন্দা জানান, ২০-২৫ মিনিট ধরে প্রায় ১০০টিরও বেশি সিলিন্ডার ফাটার শব্দ শোনা গিয়েছে।

উড়ে আসছে সিলিন্ডার, বিস্ফোরণে ভাঙছে কাচ! মধ্য রাত থেকে কাঁকুড়গাছিতে বিধ্বংসী আগুনের সঙ্গে লড়াই দমকলের
কাঁকুড়গাছিতে আগুন।Image Credit: TV9 বাংলা
| Edited By: | Updated on: Dec 18, 2025 | 6:35 AM
Share

কলকাতা: কাঁকুড়গাছির লোহাপট্টিতে বিধ্বংসী আগুন। অক্সিজেন সিলিন্ডারের গোডাউনে  বিস্ফোরণ থেকে আগুন লাগে। একের পর এক সিলিন্ডার উড়ে আসে। ২ কিলোমিটার দূর থেকেও বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যাচ্ছিল। রাত আড়াইটে থেকে টানা বিস্ফোরণের শব্দ আসতে থাকে কাঁকুড়গাছির লোহাপট্টি থেকে। শেষে দমকলের ১৫টি ইঞ্জিন গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। অগ্নিকাণ্ডে এখনও হতাহতের কোনও খবর মেলেনি।

বুধবার রাতে নিউটাউনের ইকো পার্কের পাশে ঘুনি বস্তিতে আগুনের পর এবার কাঁকুড়গাছিতেও বিধ্বংসী আগুন।জানা গিয়েছে, কাঁকুড়গাছির লোহাপট্টির ১৫০ ঘোষবাগান লেন রয়েছে একটি মেডিক্যাল অক্সিডজেন সিলিন্ডারের গোডাউন। স্থানীয় বাসিন্দারা রাত আড়াইটে নাগাদ বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পান। তারা বেরিয়ে দেখেন, এলাকার অক্সিজেন সিলিন্ডারের গোডাউনে বিধ্বংসী আগুন লেগেছে। একের পর এক সিলিন্ডার ফাটার আওয়াজ আসছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন যে বিস্ফোরণের শব্দ এতটাই জোরাল ছিল যে প্রায় দুই কিলোমিটার দূর থেকেও আওয়াজ শোনা যায়। বিস্ফোরণের কম্পনে আশেপাশের বাড়ির সমস্ত কাচ ভেঙে চুরমার হয়ে যায়। এক স্থানীয় বাসিন্দা জানান, ২০-২৫ মিনিট ধরে প্রায় ১০০টিরও বেশি সিলিন্ডার ফাটার শব্দ শোনা গিয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে কয়েকশো মিটার দূরে একটি বাড়িতে উড়ে গিয়ে পড়ে সিলিন্ডার।

টানা বিস্ফোরণের জেরে একের পর এক সিলিন্ডার উড়ে গিয়ে পড়ে রাস্তায়।  সিলিন্ডারের গোডাউনের পাশেই রয়েছে প্লাস্টিক এবং লোহার গোডাউন। সেখানেও আগুন ছড়িয়ে পড়ে। একটি জ্বলন্ত সিলিন্ডার উড়ে গিয়ে পাশের একটি সুতোর কারখানায়। সেখানেও ভয়াবহ আগুন লেগে যায়।

দীর্ঘক্ষণ ধরে দমকলের ১৫টি ইঞ্জিন ও বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর চেষ্টায় বর্তমানে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। ভোর হতেই দেখা যাচ্ছে, দোকানের চাল উড়ে গিয়েছে। দ্বগ্ধ টিন গুলি সরিয়ে ফেলা হচ্ছে যাতে আগুন ছড়িয়ে না পড়ে। স্থানীয় বিধায়ক সুপ্তি পাণ্ডেও ঘটনাস্থলে এসেছেন। ওই গোডাউনে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।