Sheikh Shajahan: ‘বুঝতেই তো পারছেন, কে…’, এতদিনে কার দিকে ইঙ্গিত শেখ শাহজাহানের?
Sheikh Shajahan: ইএসআই হাসপাতাল থেকে শারীরিক পরীক্ষার পর বেরিয়ে আসার সময়ে ফের শেখ শাহজাহানকে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা। তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, 'জেলিয়াখালির শরিফুল মোল্লাকে চিনতেন? কেনো শরিফুলের অ্যাকাউন্টে টাকা দিয়েছিলেন?"

কলকাতা: শেখ শাহজাহান- সন্দেশখালির এই ব্যক্তির ভূমিকা নিয়ে ক্রমেই জোরাল হচ্ছে রহস্য। সূত্রের খবর, গ্রেফতারির পর এই শাহজাহানের পেট থেকে কথা বার করতে বেশ এক প্রকার বেগ পেতে হচ্ছিল তদন্তকারীদের। এবার ধীরে ধীরে শেখ শাহজাহান মুখ খুলছেন। বুধবার আদালতে পেশের আগের জোকা ইএসআই হাসপাতালে তাঁকে নিয়ে গিয়েছিল ইডি। হাসপাতালে ঢোকার আগে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন শাহজাহান।
শাহজাহানকে প্রশ্ন করা হলে, তিনি বললেন, ”সব মিথ্যা রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র হচ্ছে।” ফের তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, “কারা করছে ষড়যন্ত্র?” শাহজাহানের ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য, ‘বুঝতেই পারছেন…’ এদিন বারবার একটি কথাই বলতে শোনা যাচ্ছিল শেখ শাহজাহানকে। তিনি বারবার দাবি করছিলেন, “সব মিথ্যা।”
ইএসআই হাসপাতাল থেকে শারীরিক পরীক্ষার পর বেরিয়ে আসার সময়ে ফের শেখ শাহজাহানকে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা। তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, ‘জেলিয়াখালির শরিফুল মোল্লাকে চিনতেন? কেনো শরিফুলের অ্যাকাউন্টে টাকা দিয়েছিলেন?” আবারও শাহজাহান বললেন, ‘সব মিথ্যা।’
সন্দেশখালিকাণ্ডের পর শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ উঠে এসেছে। জমি দখল, ভেড়ি দখল, চিংড়ি বিক্রির আড়ালে কালো টাকা সাদা করার অভিযোগ উঠেছে। এরই মধ্যে ওঠে মাদক পাচারের অভিযোগও। ২০২২ সালে উত্তর ২৪ পরগনায় ড্রাগ পাচার নিয়ে ভয়ঙ্কর অভিযোগ তোলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়। সেসময়ে সাংবাদিক বৈঠক করে বিজেপি নেতৃত্বের তরফে দাবি করা হয়েছিল, কলকাতা বন্দরে আটক হওয়া ২০০ কোটি টাকার হেরোইন কারবারের সঙ্গে জড়িত তৃণমূলের দুই দাপুটে নেতা। বলা হয়েছিল, প্রায় ৪০ কেজি হেরোইন শরিফুল এন্টারপ্রাইজের নামে কলকাতা বন্দরে এসেছিল। সে সময়েই উঠে এসেছিল সন্দেশখালি ১ নম্বর ব্লকের সভাপতি শেখ শাহজাহান ও সন্দেশখালি ২ নম্বর ব্লক সভাপতি শিবু হাজরার নাম। সে সময়ে অবশ্য বিষয়টি নিয়ে খুব বেশি জলঘোলা হয়নি। এবার শাহজাহান গ্রেফতার হওয়ার পর নতুন করে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে এই মামলা।
