Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Humayun Kabir: হুমায়ুন কবীরকে শোকজ নোটিস, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জবাব তলব, বার্তা সিদ্দিকুল্লাকেও

Humayun Kabir: বুধবার শুভেন্দু অধিকারীকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছিলেন ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন। বলেছিলেন, 'মুর্শিদাবাদে গেলে দেখে নেব।'

Humayun Kabir: হুমায়ুন কবীরকে শোকজ নোটিস, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জবাব তলব, বার্তা সিদ্দিকুল্লাকেও
হুমায়ুন কবীর, ভরতপুরের বিধায়কImage Credit source: Tv9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 13, 2025 | 6:51 PM

কলকাতা: আক্রমণ, পাল্টা আক্রমণে বিধানসভা উত্তপ্ত হওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই তৃণমূল বিধায়ককে শোকজ করার সিদ্ধান্ত। বিধানসভার শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির তরফে ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীরকে নোটিস ধরানো হচ্ছে। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে হুমায়ুনকে শোকজ করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার বিধানসভার বাইরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে হুমায়ুন যে মন্তব্য করেছেন, তার প্রেক্ষিতেই এই শোকজ করা হচ্ছে বলে সূত্রের খবর।

বুধবার সকাল থেকেই উত্তাল হয় বিধানসভা। সংখ্যালঘু বিধায়কদের চ্যাংদোলা করে বের দেওয়া হবে, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর এমন মন্তব্যকে ঘিরেই তুমুল হট্টগোল হয় বিধানসভায়। এরপরই শুভেন্দু অধিকারীকে বার্তা দিয়ে হুমায়ুন কবীর বলেন, “৭২ ঘণ্টার মধ্যে ওই কথা প্রত্যাহার না করলে ৪২ জন বিধায়ক আপনার ঘরের বাইরে আপনাকে বুঝে নেবে। আপনি পারলে ৬৬ জনকে নিয়ে আমার সঙ্গে মোকাবিলা করুন। আমার জাতিকে অপমান করা হলে, আমি ছেড়ে দেব না।” বিধায়ক আরও বলেছিলেন, “মুর্শিদাবাদে যান, দেখে নেব আপনাকে।”

এই মন্তব্যের পর আজ বৃহস্পতিবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে মমতা কার্যত ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বলেই সূত্রের খবর। হুমায়ুনকে শোকজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাঁকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কারণ দর্শিয়ে জবাব দিতে হবে। এই নির্দেশের কথা শুনেও নিজের অবস্থানে অবিচল হুমায়ুন কবীর। তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এখনও পর্যন্ত কোনও নোটিস পাননি তিনি। তিনি আবারও বলেন, ‘আগে জাতি, তারপর দল।’

হুমায়ুন কবীরের মন্তব্যের জন্য আগেই তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান বিজেপি বিধায়করা। আর এরপরেই তাঁকে শোকজের চিঠি ধরানো হচ্ছে। শুধু হুমায়ুন কবীরই নয়, আর এক বিধায়ক তথা মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীকেও মমতা সতর্ক করেছেন বলে সূত্রের খবর। তাঁকে মুখ খুলতে বারণ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সূত্রের খবর, মমতা সিদ্দিকুল্লাকে বলেছেন, “আপনি কথা বলবেন না।”

এই প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ বলেন, “তৃণমূল এভাবেই নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়। বিজেপিকে কখনও এমন ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি।”