AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

SFI: এসএফআই ছাড়ার পথে সৃজনরা, এরপর কারা সামলাবেন সিপিএমের ছাত্র সংগঠন

SFI: সৃজন-প্রতিকুরদের পরবর্তী সময়ে কাদের হাতে যাবে এসএফআই-এর অন্দরে? নতুন কোন ইতিহাস তৈরি করবেন শ্বেত পতাকার ধারক-বাহকরা? সোমবার থেকে মালদায় শুরু হয়েছে এসএফআই-এর ৩৮তম রাজ্য সম্মেলন। তা শেষ হবে, আগামিকাল প্রকাশ্য সমাবেশের মধ্য দিয়ে। বাম ছাত্র সংগঠনের ব্যাটন এবার কাদের হাতে উঠতে চলেছে? চর্চায় রয়েছে চার পাঁচ জনের নাম।

SFI: এসএফআই ছাড়ার পথে সৃজনরা, এরপর কারা সামলাবেন সিপিএমের ছাত্র সংগঠন
সৃজন ভট্টাচার্যImage Credit: Facebook
| Edited By: | Updated on: Jan 23, 2024 | 5:50 PM
Share

কলকাতা: ২০১৭ সাল থেকে দায়িত্বে। দু’টি টার্ম শেষ হয়েছে। ছ’বছর ধরে বাম ছাত্র সংগঠন এসএফআই-এর ব্যাটন ছিল সৃজন ভট্টাচার্য ও প্রতিকুর রহমানের হাতেই। যথেষ্ট সফল জু’টি। গত ছ’বছর ধরে বিভিন্ন চড়াই- উতরাইকে সঙ্গী করে পরিবর্তনের পরে ভঙ্গুর সংগঠনকে কিছুটা শক্ত জমিতে দাঁড় করানোর চেষ্টায় সফল হয়েছেন সৃজন -প্রতিকুর, সে কথা মানেন আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের ‘ম্যানেজাররাও’। তাই আলিমুদ্দিন চেয়েছিল, আরও একটি টার্ম যাতে সৃজন-প্রতিকুর জুটির হাতেই থাকে দলের সংগঠনের ভার। তবে সৃজন-প্রতিকুররা দলীয় নেতৃত্বকে বোঝাতে পেরেছেন, এবার ছাত্র সংগঠনের দায়িত্ব থেকে তাঁদের অব্যাহতি দেওয়া হোক। দলীয় নেতৃত্বও এ বিষয়ে সম্মতি দিয়েছে বলেই খবর।

এবার সৃজন-প্রতিকুরদের পরবর্তী সময়ে কাদের হাতে যাবে এসএফআই-এর অন্দরে? নতুন কোন ইতিহাস তৈরি করবেন শ্বেত পতাকার ধারক-বাহকরা? সোমবার থেকে মালদায় শুরু হয়েছে এসএফআই-এর ৩৮তম রাজ্য সম্মেলন। তা শেষ হবে, আগামিকাল প্রকাশ্য সমাবেশের মধ্য দিয়ে। বাম ছাত্র সংগঠনের ব্যাটন এবার কাদের হাতে উঠতে চলেছে? চর্চায় রয়েছে চার পাঁচ জনের নাম।

যেমন কলকাতা জেলা সংগঠনের সভাপতির দায়িত্ব সামলানো দেবাঞ্জন দে। সুবক্তা, পরিশ্রমী ও লড়াকু হিসাবে ইতিমধ্যেই সংগঠনে নিজের পরিচয় দিয়েছেন দেবাঞ্জন। সম্প্রতি কলকাতা জেলা সংগঠনে বদল হয়েছে। এসএফআই-এর কলকাতা জেলা সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছেন বর্ণনা মুখোপাধ্যায়। সম্পাদক হয়েছেন দিধীতি রায়। একদিকে যখন জেলা কমিটিতে দুই মহিলা মুখকে তুলে আনা হয়েছে, তখন দীর্ঘদিন কলকাতা জেলা সংগঠনের দায়িত্ব সামলানো দেবাঞ্জনকে কি এবার দেখা যেতে পারে নতুন ভূমিকায়? জোর জল্পনা বাম ছাত্র সংগঠনের অন্দরে। দলীয় সংগঠনের ছাত্র ছাত্রীদের মধ্যে থেকে সৃজনের প্রতি আরও একবার থেকে যাওয়ার আর্জি ছিল। সেটা আর সম্ভব নয়, বুঝিয়েছেন সৃজন। সেক্ষেত্রে নতুন নেতৃত্ব হিসাবে দেবাঞ্জনের প্রতি সমর্থন রয়েছে ছাত্র ছাত্রীদের বেশিরভাগের।

এছাড়াও চর্চা রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সম্পাদক আকাশ করের নামও। দক্ষ সংগঠক, ভাল বক্তা। একদা সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। প্রাক্তন বিধায়ক সত্যসেবী করের পুত্র। এই লড়াইয়ে আকাশ কিছুটা পিছিয়ে পড়েছেন বলে চর্চা আলিমুদ্দিনের অন্দরে। চর্চায় আছেন পূর্ব বর্ধমান জেলা সম্পাদক অনির্বাণ রায় চৌধুরীও। বর্ধমানের সিপিআইএমের কর্মসূচিতে অশান্তি এবং তার জেরে জেলেও যেতে হয়েছিল প্রতিশ্রুতিমান ছাত্র নেতাকে। ওই সময়ে জেলে থাকতে হয়েছিল সিপিআইএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আভাস রায় চৌধুরীকেও। সেই সঙ্গে ঋজুরেখ দাশগুপ্তের নাম ঘিরও কানাঘুষো রয়েছে দলীয় সংগঠনের অন্দরে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ছাত্রনেতা ঋজুরেখ। তিনি দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য, প্রাক্তন এক সাংসদের ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত। নিজের তাক লাগানো বক্তৃতায় নজর কেড়েছেন ঋজুও।

সংগঠনের সম্পাদক ও সভাপতির পাশাপাশি এসএফআই মুখপত্র ‘ছাত্র সংগ্রাম’ পত্রিকার সম্পাদক পদও গুরুত্বপূর্ণ। সেই পদে এখন রয়েছেন দীপ্তজিৎ দাস। যিনি এসএফআইয়ের উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সভাপতির পদে আবার দায়িত্ব এসেছেন। দীপ্তজিৎ আবার চিকিৎসকও। ওই পদে থেকে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে দীপ্তজিতের। বদল হলে উপরের চার-পাঁচ জনের মধ্যেই কেউ দায়িত্ব পেতে পারেন, তেমন আলোচনাও রয়েছে দলের অন্দরে।

পাশাপাশি কোচবিহারের ছাত্র নেতা প্রণয় কার্য্যির নামও রয়েছে চর্চায়। আর প্রণয়ের হাতে এসএফআইয়ের রাজ্যের সভাপতি বা সম্পাদকের দায়িত্ব গেলে তা সিপিআইএমের ছাত্র সংগঠনের ইতিহাসে নব অধ্যায়ের সূচনা করবে। কারণ, অতীতে কোনও উত্তরবঙ্গের ছাত্রনেতার কাঁধে এই দায়িত্ব যায়নি।

ইতিমধ্যে কলকাতা জেলা কমিটিতে সভাপতি এবং সম্পাদক হিসাবে দুই ছাত্রীর হাতে দায়িত্ব দিয়েই ছক ভাঙার বার্তা স্পষ্ট করেছে আলিমুদ্দিন স্ট্রিট। শেষ মুহূর্তে আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের অন্দরের দাবার পাশা খেলার বদল না হলে, সৃজন ও প্রতিকুরের দায়িত্ব ছাড়া এক প্রকার নিশ্চিত। উপরের চার – পাঁচজনের মধ্যে দায়িত্ব বণ্টন হতে পারে সম্পাদক ও সভাপতির। রাজনীতির কারবারিরা অবশ্য এ কথাও মনে করাচ্ছেন, অতীতে বহু বার আলোচনা, চর্চায় থাকা নাম বাদ দিয়ে নতুন নামে সিলমোহর আলিমুদ্দিন স্ট্রিট।

এদিকে সৃজন ও প্রতিকুর এসএফআই ছাড়লেও, অন্য কোন গণ সংগঠনে তাঁরা যাবেন বা কী কাজ করবেন, তা স্থির করবেন সিপিআইএম নেতৃত্ব।