Governor’s Letter: তিনদিনের মধ্যে দেখা করতে হবে, রাজ্যপালের চিঠি পেয়েই স্পিকার জানিয়ে দিলেন ‘সম্ভব নয়’

Governor's Letter: স্পিকার বলেন, 'রাজ্যপাল একটা চিঠি পাঠিয়েছেন। এই চিঠি পেয়ে আমি অবাক।'

Governor's Letter: তিনদিনের মধ্যে দেখা করতে হবে, রাজ্যপালের চিঠি পেয়েই স্পিকার জানিয়ে দিলেন 'সম্ভব নয়'
স্পিকারকে তলব করেছেন রাজ্যপাল
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 09, 2022 | 10:46 AM

কলকাতা: বাজেট অধিবেশনের শুরুতেই উত্তাল হয়ে ওঠে বিধানসভা। রাজ্যপাল ভাষণ পাঠ শেষ করতে পারেননি। কোনও ক্রমে কয়েক লাইন পাঠ করেন তিনি। সেই ঘটনায় শাসক দলের বিধায়কদের বিরুদ্ধে রাজ্যপালকে হেনস্থা করার অভিযোগ তোলেন বিরোধীরা। আর ওই ঘটনার সূত্র ধরেই বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে তিন দিনের মধ্যে দেখা করতে বলেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। সেই চিঠি পেয়েই স্পিকার জানিয়ে দিলেন তাঁর পক্ষে দেখা করা সম্ভব নয়। শুধু তাই নয়, রাজ্যপালের চিঠিকে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত’ বলেও উল্লেখ করেছেন স্পিকার। মঙ্গলবারই তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি দেখা করবেন না।

বিধানসভার অধিবেশনের কাজে তিনি আপাতত ব্যস্ত থাকবেন বলে জানিয়েছেন বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। এ দিকে রাজ্যপালের চিঠি প্রসঙ্গে বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, রাজ্যপালের পাঠানো চিঠি পুরোপুরি পক্ষপাতমূলক।

স্পিকার বলেন, রাজ্যপাল একটা চিঠি পাঠিয়েছেন। এই চিঠি পেয়ে আমি অবাক। ঘটনার প্রসঙ্গ তিনি অন্য দিকে নিয়ে যেতে চাইছেন বলেও দাবি করেছেন বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ে। তিনি আরও বলেন, রাজ্যপাল তিন দিনের মধ্যে দেখা করতে বলেছেন। আমি জানিয়ে দিয়েছি, কোনও মতে দেখা করা সম্ভব নয়।

রাজ্যপাল যে সব বিধায়কের নামে অভিযোগ তুলেছেন, তাঁদের কাউকে রাজ্যপাল নিজেও চেনেন না, এমনটাই মত বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের। নাম না করে তিনি বলেন, ‘সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশে এটা করেছেন তিনি। নামগুলো কে দিয়েছেন, তা বোঝাই যাচ্ছে। আমি চ্যালেঞ্জ করছি, রাজ্যপাল এত বিধায়কের মধ্যে কাউকে চেনেন না।’

নিয়ম মতো সোমবার ভাষণ দেওয়ার কথা ছিল রাজ্যপালের। কিন্তু তুমুল বিশৃঙ্খলার পরিস্থিতি তৈরি হয় বিধানসভা কক্ষে। ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি বিধায়করা। এই অবস্থায় বিরক্ত হন রাজ্যপাল। ভাষণ না দিয়ে কক্ষ ছাড়তে উদ্যত হন তিনি। রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় ওই ঘটনা প্রসঙ্গে টুইটে লেখেন, ‘এই ধরনের ঘটনাকে সংবিধান কখনওই মান্যতা দেয় না। এই ধরনের বিশৃঙ্খলা শালীনতার সীমা লঙ্ঘনের সামিল।’

অন্যদিকে, বিজেপির দাবি, মহিলা বিধায়কেরা শারীরিকভাবে নিগ্রহ করেছেন রাজ্যপালকে। যদিও এই প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, বিধায়কেরা যা করেছেন, তা গণতন্ত্র বাঁচাতেই করেছেন। সোমবারের ঘটনায় রাজ্যের সঙ্গে রাজ্যপালের সংঘাত আরও চরমে উঠেছে।

আরও পড়ুন : Suvendu Adhikari: আর ছাড় নয়! শুভেন্দুর ‘নালিশ’ শুনেই মমতা সরকারকে কড়া হুঁশিয়ারি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর