Job Candidates: ‘মেয়ের দুধ আনার কথা ছিল… ফিরলই না’, বড়দিনে চোখের জল চাকরিপ্রার্থীর পরিবারে
Job Candidates: গত শুক্রবার কালীঘাটে চাকরির দাবিতে আন্দোলন চলার সময় ৫৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়। পরে ৫৫ জনকে জামিন দেওয়া হয়েছে। চারজন রয়েছেন জেল হেফাজতেই। চাকরি চেয়ে কেন জেলে যেতে হল? প্রশ্ন তুলছে পরিবার।
কলকাতা: বছরের পর বছর চাকরি চেয়ে রাস্তায় বসে আন্দোলন করছেন চাকরি প্রার্থীদের একটা বড় অংশ। এমনিতেই বেড়েছে হতাশা। প্রভাব পড়েছে পরিবারেও। আন্দোলনের পাশাপাশি জীবনের লড়াই লড়ে চলেছেন তাঁরা। এরই মধ্যে জেলে যেতে হত সেই প্রার্থীদের! গত শুক্রবার কালীঘাটে আন্দোলনের পর যে চাকরি প্রার্থীদের গ্রেফতার করা হয়েছিল, তাঁদের ৫৫ জন মহিলা মুক্তি পেলেও চারজন রয়েছেন জেল হেফাজতে। ঘটনার প্রায় ২৪ ঘণ্টা পরও তাঁদের পরিবারের সদস্যরা কোনও খবর পাননি বলে অভিযোগ। হকের চাকরি চাইতে গিয়ে জেলে যেতে হল কেন? এই প্রশ্নই তুলছে পরিবার।
ব্যারাকপুরের দেবব্রত সিংহ মহাপাত্র বরাবরই মেধাবী ছাত্র ছিলেন। বেকারত্বের সঙ্গে লড়তে লড়তে হতাশায় ভোগেন তিনি। চাকরি চেয়ে জেল হেফাজতে রয়েছেন দেবব্রত। বড়দিনে চোখের জল ফেলে তাঁর বলছেন, আন্দোলনে ছিল না আমার ছেলে। তাও গ্রেফতার করা হয়েছে। দেবব্রতর মায়ের দাবি, সদ্য নাতি হয়েছে তাই তিনিই ছেলেকে কালীঘাটে পুজো দিতে পাঠিয়েছিলেন। তিনি বলেন, কোনও মতেই আমার ছেলে পুলিশের গায়ে হাত দিতে পারে না। মিথ্যা অভিযোগ আনা হচ্ছে। বাড়িতে রয়েছেন দেবব্রতর অসুস্থ বাবা। বাবার ওষুধ নিয়ে সে দিন ঘরে ফেরার কথা ছিল ছেলের। তিনি ফেরেননি। এমনকী রাত পর্যন্ত কোনও খবর দেওয়া হয়নি বলেও অভিযোগ।
একই ছবি মৃত্যুঞ্জয় আহমেদের পরিবারেও। দেবব্রতর মতো তিনিও রয়েছেন জেলে। তাঁর স্ত্রী ঝুমা পারভিন জানিয়েছেন, মঞ্চে যাওয়ার কথা বলে গিয়েছিলেন মৃত্যুঞ্জয়। মেয়ের দুধ নিয়ে বাড়ি ফেরার কথা ছিল তাঁর। মৃত্যুঞ্জয়ের বাবা, মা দুজনেই অসুস্থ ও শয্যাশায়ী বলে জানিয়েছেন ঝুমা। ঘটনার দিন তিনি বারবার ফোন করেও স্বামীর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি। পরের দিন গ্রেফতার করার খবর যায় বাড়িতে। বড়দিনে তাঁর একটাই আর্জি, “আমার স্বামীকে মুক্তি দিন।”
গত শুক্রবার কালীঘাটে চাকরির দাবিতে আন্দোলন চলার সময় ৫৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়। পরে ৫৫ জনকে জামিন দেওয়া হয়েছে। চারজন রয়েছেন জেল হেফাজতেই। আজ, সোমবার তাঁদের আদালতে পেশ করা হবে।