Sujay Krishna Bhadra: সাধারণ রোগীদের মাঝেই পর্দা ঘেরা ‘VIP’ কাকুর কেবিন, কী লুকোচ্ছে SSKM?
Sujay Krishna Bhadra: ছায়া মাঝি। বছর পঞ্চান্নর মহিলা বজবজের বাসিন্দা। ২২তারিখ বুকের ব্যথা নিয়ে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। ১ তারিখ তাঁর অস্ত্রোপচার হয়। তারপর তাঁর বর্তমান স্টেটাস, তিনি এখন 'কাকু'র পাশের বেডের সঙ্গী।

কলকাতা: এসএসকেএম হাসপাতালের কার্ডিওলজি আইসিইউ-এর ১৮ নম্বর বেডে ভর্তি রয়েছেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের ‘কাকু’। আর ঠিক তাঁর পাশের বেডেই ভর্তি রয়েছেন ছায়া মাজি। তাঁকে দেখতে আসেন স্বামী। কাকু ঠিক কী করছেন বেডে শুয়ে? কার সঙ্গে কথা বলছেন? কারাই বা দেখা করতে আসছেন? কী বলছেন ‘কাকু’র পাশের বেডের রোগী?
ছায়া মাঝি। বছর পঞ্চান্নর মহিলা বজবজের বাসিন্দা। ২২তারিখ বুকের ব্যথা নিয়ে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। ১ তারিখ তাঁর অস্ত্রোপচার হয়। তারপর তাঁর বর্তমান স্টেটাস, তিনি এখন ‘কাকু’র পাশের বেডের সঙ্গী। ভিজিটিং আওয়ার্সে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে আসেন স্বামী স্বপন মাঝি। তিনি বললেন হাসপাতালে ‘কাকু’ কী করেন? তাঁর বক্তব্য, “কাকুর বিছানা নীল রঙের পর্দা দিয়ে ঘিরে রাখা রয়েছে। আর কোনও রোগীর ক্ষেত্রে এরকম ব্যবস্থা নেই। পর্দার আড়ালে তিনি কী করছেন বোঝার উপায় নেই।”
অর্থাৎ ‘কাকু’র ১৭ নম্বর বেড এখন পুরোই নীল রঙের পর্দার আচ্ছাদনে। সব রোগীদের ক্ষেত্রে থাকে না। কাকুকে তো দেখা যাচ্ছেই না। বাইরে গার্ড রয়েছে। তিনি আদৌ ভিতরে কী করছেন, ফোনে কথা বলছেন নাকি ঘুমোচ্ছেন, তা কিছুই বোঝার উপায় নেই কারোর পক্ষে। মাঝেমধ্যে চিকিৎসকরা এসে দেখা করে যান তাঁর সঙ্গে। এসএসকেএম সূত্রে খবর, সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের সিটি অ্যাঞ্জিওগ্রাফি করার পরিকল্পনা রয়েছে। শুক্রবার কয়েকটি রক্তপরীক্ষাও করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। জোকা ESI হাসপাতালেই হবে কাকুর কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করতে এখন মরিয়া ইডি। হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতে পারেন তদন্তকারীরা।
