Sukanta Majumdar: ভেনেজুয়েলা নিয়ে কাঁদে, বাংলাদেশ নিয়ে নয় কেন? জ্যোতি-বুদ্ধের সমালোচনা করে বোঝালেন প্রফেশন সুকান্ত
Sukanta Majumdar: এ দিন, সুকান্ত ধর্মীয় রাজনীতির পক্ষে সওয়াল করতে গিয়ে পদে-পদে কটাক্ষ করেছেন বামেদের। তাঁর মতে এতদিন ধর্মনিরপেক্ষতার আফিম খাওয়ানো হয়েছিল সাধারণ মানুষকে। তাঁরা মুখ খুলতেন না। এগিয়ে আসতেন না। আজ বিজেপি এসে জাগানোর চেষ্টা করছে হিন্দুদের।

কলকাতা: ‘ধর্মনিরপেক্ষতার নামে আফিম খাওয়ানো হয়েছিল…ধর্মনিরপেক্ষতার নামে ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি হয়েছে… বাংলাদেশের হিন্দুদের কথা বলা হয় না…অথচ প্যালেস্তাইনের জন্য মিছিল হয়।’ ঠিক এই ভাষাতেই বামপন্থীদের বিদ্ধ করলেন বিজেপি-র রাজ্যসভাপতি সুকান্ত মজুমদার। আক্রমণ করতে গিয়ে ছাড়লেন না প্রয়াত প্রাক্তন দুই মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু ও বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকেও। বললেন, “বাংলাদেশে ধর্ম নিরপেক্ষতা চলে না। আর ধর্মনিরপেক্ষতার কথা বলার জন্য শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের প্রতিষ্ঠা করা বাংলায় এসে বলতে হয়।”
ধর্মের পক্ষে সওয়াল
আগামী বছর বিধানসভা ভোট। বিজেপি ইতিমধ্যেই ধর্মকে হাতিয়ার করে নেমেছে পথে। হিন্দু ভোটের পক্ষে সওয়াল করে পরপর বক্তব্য রাখতে দেখা গিয়েছে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। তিনি এও বলেছেন, “আমি হিন্দুদের বিধায়ক।” এমনকী, হিসেব কষে বুঝিয়েও দিয়েছেন ঠিক কত শতাংশ ভোট দিলে বাংলায় ফের পরিবর্তন আসবে। আবার দিলীপ ঘোষও শুধু চেয়েছেন হিন্দুদের ভোট।
বাংলাদেশ প্রসঙ্গ
এই আবহে সুকান্ত মজুমদারের দাবি, “বাংলাদেশে ধর্মনিরপেক্ষতা চলে না। তাই জ্যোতি বসু হোক,মাননীয় বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য হোক বা সৌগত রায় হোক তাদের ধর্মনিরপেক্ষতার কথা বলতে হলে পূর্ব পাকিস্তান থেকে পালিয়ে এসে এই ডক্টর শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের প্রতিষ্ঠা করা বাংলায় ধর্মনিরপেক্ষতার কথা বলতে হয়।” উদাহরণ দিতে গিয়ে বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদের দাবি, বাংলাদেশে সিপিএম পাঠিয়েছিল হাসিম আবদুল হালিমকে। কিন্তু তিনিও থাকতে পারেননি। সুকান্ত বলেন, “হালিম সাহেব বহুদিন ছিলেন সেখানে। কিন্তু কমিউনিজম প্রতিষ্ঠা করতে পারেননি।” অর্থাৎ ছাব্বিশের ভোটের আগে বাংলাদেশি হিন্দুদের প্রসঙ্গ টেনে নিজেদের ঘর যে শক্ত করতে চাইছে গেরুয়া শিবির তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
আফিম রাজনীতি
এ দিন, সুকান্ত ধর্মীয় রাজনীতির পক্ষে সওয়াল করতে গিয়ে পদে-পদে কটাক্ষ করেছেন বামেদের। তাঁর মতে এতদিন ধর্মনিরপেক্ষতার আফিম খাওয়ানো হয়েছিল সাধারণ মানুষকে। তাঁরা মুখ খুলতেন না। এগিয়ে আসতেন না। আজ বিজেপি এসে জাগানোর চেষ্টা করছে হিন্দুদের। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের ধারনা, ছাব্বিশের ভোটের আগে হিন্দু ভোট একাট্টা করার অস্ত্রই এদিন কাজে লাগিয়েছেন বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ। সুকান্ত বলেন, “বাঙালিকে সেকুলারিজমের আফিম খাওয়ানো হয়েছিল দিনের পর দিন। সেই খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসছে।”
বিজেপি-র রাজ্য সভাপতির প্রশ্ন, বামেরা প্যালেস্তাইন নিয়ে আন্দোলন করেন অথচ বাংলাদেশের হিন্দুদের কথা বলেন না কেন? তিনি বলেন,” কোথায় প্যালেস্তাইনে কী হচ্ছে, কোথায় ভেনেজুয়েলায় কী হচ্ছে মিছিল হচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশের হিন্দুদের জন্য একবিন্দু চোখের জল ফেলা যাবে না। কারণ সাম্প্রদায়িকতা হবে। বুদ্ধবাবু জীবনে প্যালেস্তাইনে গিয়েছেন কি না আমার জানা নেই। প্যালেস্তাইনের জন্য একটা পার্টি ওদের পোশাক পরে শোক পালন করছে। অথচ বাংলাদেশের হিন্দুদের জন্য শোক পালনের সময় নেই। একটিও মিছিল নেই কমিউনিস্টদের। এটাই চোখে আঙুল দিয়ে দেখাচ্ছি যে এটা সেকুলারিজম নয়। এটা ভোটব্যাঙ্কের পলিটিক্স।”





