CPIM State Conference: ‘নেতৃত্বের সক্রিয়তা অভাব ঢাকার চেষ্টা করছেন দলীয় কর্মীরাই’, রাজ্য সম্মেলনে সোজাসাপ্টা সূর্যকান্ত
Surjya Kanta Mishra: রাজ্য সম্মেলনে সূর্যকান্ত মিশ্র জানিয়েছেন, বহু জায়গায় নেতৃত্বের যে সক্রিয়তা দেখানো উচিত ছিল। কিন্তু তা হয়নি। বরং, দলের কর্মীরা নেতৃত্বের সক্রিয়তা অভাব ঢাকার চেষ্টা করেছেন। সূত্রের খবর, রাজ্য সম্মেলনের প্রথম ভাগে এমনটাই বলেছেন তিনি।
কলকাতা : বিধানসভায় যে বড় শূন্য ছিল বামেদের, সেখান থেকে খুব শ্লথগতিতে হলেও ঘুরে দাঁড়ানোর এক সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে বামেদের। আর এরই মধ্যে মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে সিপিআইএমের রাজ্য সম্মেলন (CPIM State Conference)। দলের আগামী দিনের গতি প্রকৃতি কী হবে, তা নিয়ে চলছে কাঁটাছেড়া। তৈরি হচ্ছে আন্দোলনের নীল নকশা। তিন দিনের রাজ্য সম্মেলনের প্রথম দিনেই রাজ্যে বামেদের (আরও নির্দিষ্টভাবে সিপিআইএমের) সক্রিয়তা বাড়ানো নিয়ে মুখ খুলেছেন সূর্যকান্ত মিশ্র। দলীয় সূত্র মারফত এমনটাই জানা গিয়েছে। রাজ্য সম্মেলনে সূর্যকান্ত মিশ্র জানিয়েছেন, বহু জায়গায় নেতৃত্বের যে সক্রিয়তা দেখানো উচিত ছিল। কিন্তু তা হয়নি। বরং, দলের কর্মীরা নেতৃত্বের সক্রিয়তা অভাব ঢাকার চেষ্টা করেছেন। সূত্রের খবর, রাজ্য সম্মেলনের প্রথম ভাগে এমনটাই বলেছেন তিনি।
এর পাশাপাশি, ওই সূত্র মারফত আরও জানা গিয়েছে, লেভি ঠিকমতো দেওয়া হয় না বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সূর্যকান্ত মিশ্র। তাঁর মতে, দলে যে সাংগঠনিক দুর্বলতা রয়েছে, তা এখনও কাটিয়ে ওঠা যায়নি। শুদ্ধিকরণ করা হয়েছে, কিন্তু তাতেও সম্পূর্ণ ভাবে দুর্বলতা কাটানো যায়নি। সেই সঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনের আগে সংযুক্ত মোর্চার জোট প্রসঙ্গেও রাজ্য সম্মেলনে তিনি মুখ খোলেন বলে খবর। সূর্যকান্ত মিশ্রের মতে, “জোটের ক্ষেত্রে মানুষকে সবটা বোঝানো যায়নি। রাজ্য সম্পাদক মণ্ডলীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল, তাঁরা বিষয়টি দেখছিলেন। তবে বিজেপি ও তৃণমুল বিরোধী লড়াইকে ঐক্যবদ্ধ করার যে কাজ করা হয়েছিল, তা সঠিক ছিল বলেই মত তাঁর।
এদিকে মঙ্গলবার বিকেলে সাংবাদিক বৈঠকে সূর্যকান্ত মিশ্র জানিয়েছেন, “তৃণমূল ও বিজেপি বিরোধী শক্তিকে এক করার বিষয়ে আমাদের দল সাধ্যমতো চেষ্টা করবে। এটা নির্বাচনী লড়াই। নির্বাচনের সময় কৌশল করতে হয়। পার্টি কংগ্রেসের পরে আমাদের কৌশল ঠিক হবে। দলের সমর্থন বাড়ানোর যে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, তা অব্যাহত থাকবে।” সেই সঙ্গে রাজ্যের বর্তমান আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়েও বিকেলের সাংবাদিক বৈঠকে সরব হন তিনি। বলেন, “খুনের ঘটনা ঘটেছে। পানিহাটিতে একই দলের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। ঝালদায় কংগ্রেস কাউন্সিলর খুন হয়েছেন। নিজেরা মারামারি খুনোখুনি করছে। আইনশৃঙ্খলা নিয়ে কী করছেন? মুখ্যমন্ত্রী আগে নিজের ঘর সামলান। সিবিআই অনেক কেস ঠিক করতে পারেননি। আমরা আদালতের তত্ত্বাবধানে সিবিআই চাইছি।”