Suvendu-Kunal: কুণাল-পার্থর বক্তব্য মিলল কীভাবে? জেল সুপারের ঘরেই কি ‘চিত্রনাট্যের প্লট’? নতুন তত্ত্ব শুভেন্দুর
Suvendu Adhikari: বিরোধী দলনেতার বক্তব্য, 'খুব দুর্বল চিত্রনাট্য। এই নাটক জেলে থাকা সুদীপ্ত সেনকে দিয়েও লেখানো হয়েছিল। সেখানে বিমানবাবু থেকে শুরু করে আমার নামও ছিল।'
কলকাতা: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে (Recruitment Scam) বিরোধীদের একের পর এক আক্রমণের মুখে নতুন স্টান্স নিয়েছে শাসক শিবির। পাল্টা অভিযোগে নিশানা করা হচ্ছে বিরোধী দলের নেতাদের। সেখানে সুজন চক্রবর্তীর নাম যেমন রয়েছে, তেমনই উঠে আসছে দিলীপ ঘোষ, শুভেন্দু অধিকারীদের নাম। এই নিয়ে টুইটও করেছেন কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। আর কুণাল ঘোষের টুইটের পর প্রায় সেই একই লাইনে কার্যত বোমা ফাটালেন নিয়োগ দুর্নীতি গ্রেফতার পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। কীভাবে জেল হেফাজতে থাকা পার্থবাবু প্রায় একইসুরে একই নামগুলি তুলে আধ ঘণ্টারও কম ব্যবধানে আক্রমণ শানালেন বিরোধীদের? সেই নিয়ে গুঞ্জনও শুরু হয়েছিল বিভিন্ন মহলে। এবার সেই নিয়ে মুখ খুললেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বিরোধী দলনেতার বক্তব্য, ‘খুব দুর্বল চিত্রনাট্য। এই নাটক জেলে থাকা সুদীপ্ত সেনকে দিয়েও লেখানো হয়েছিল। সেখানে বিমানবাবু থেকে শুরু করে আমার নামও ছিল।’
শুভেন্দু অধিকারী এই নিয়ে সরাসরি নিশানা করেছেন প্রেসিডেন্সি কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের সুপার দেবাশিস চক্রবর্তীকে। উল্লেখ্য, এই প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারেই বর্তমানে রয়েছেন পার্থ। শুভেন্দুর দাবি, এই চিত্রনাট্যর প্লট তৈরি হয়েছিল গতকাল। প্রেসিডেন্সির সুপারের দুটি ফোন নম্বরের হোয়াটসঅ্যাপ ও ফেসটাইমে কার কার সঙ্গে কথা হয়েছে, তা খুঁজে বের করার দাবি তুলেছেন তিনি। শুভেন্দুর আরও দাবি, ‘গতকাল বিকেলে দেবাশিস চক্রবর্তীর কেবিনে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর আইনজীবী ছিলেন। সেই সময়ের সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষণ করা হোক।’ বিরোধী দলনেতার দাবি, এগুলি মিলিয়ে দেখলেই স্পষ্ট হবে কীভাবে জেলের ভিতরে থাকা একজনের বক্তব্যের সঙ্গে জেলের বাইরে থাকা একজনের বক্তব্য মিলে যায়। বললেন, ‘এগুলি খুব দুর্বল চিত্রনাট্য। এসব করে কিছু হবে না।’
শুভেন্দুর দাবি, চাকরি-বাকরি তো দূরের কথা, তাঁর এলাকায় কোন স্কুলে ব্ল্যাক বোর্ড, চক, ডাস্টারও চাননি। বিরোধী দলনেতা চ্যালেঞ্জের সুরে বলেন, ‘একটি ফাটা কাগজের টুকরো দেখান, যেখানে আমার সই নেই, কিন্তু হাতের লেখা রয়েছে। হোয়াটসঅ্যাপ চালুর আগে ২০১১-১২ সালে এসএমএস হত। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের এসএমএস খুলুক, ইমেল খুলুক।’ বিরোধী দলনেতা বললেন, ‘নারদা স্টিং অপারেশন ছাড়া আমার বিরুদ্ধে প্রমাণিত কোনও অভিযোগ নেই।’
শুভেন্দু অধিকারীর এই আক্রমণের পাল্টা দিয়েছেন কুণাল ঘোষও। বললেন, যাঁর মন বাঁকা, যাঁর মনে কালি, সে সব কিছুতে চক্রান্ত দেখেন। যখন শুভেন্দু বলেন এরপর সিবিআই এর বাড়ি যাবে, এরপর ইডি ওখানে যাবে… তখন কি সিবিআই আর ইডির ডিরেক্টরের বাড়িতে বসে শুভেন্দু মিটিং করেন? কোনও চক্রান্তের বিষয়ই নেই এখানে। জেল ব্য়াপারটি মামাবাড়ি নয়। সেখানে সিসি ক্যামেরা রয়েছে। উনি প্রমাণ করে দেখাক, কাল সন্ধেয় এমন কিছু হয়েছে। আমি গতকাল প্রেস কনফারেন্স করেছি। সেটাই আজ টুইট করেছি।’ শুভেন্দুকে কুণালের চ্যালেঞ্জ, তিনি যেন ক্ষমতা থাকলে এই বিষয় নিয়ে আদালতে যান। শুভেন্দুর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন কুণাল।