
কলকাতা: একদিকে তৃণমূলকে কটাক্ষ, অন্যদিকে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর বেঞ্চের দেওয়া নির্দেশের বিরুদ্ধে পাল্টা চ্যালেঞ্জের ইঙ্গিত। সজল ঘোষের মন্তব্য়ে দেখা গেল দুই ক্ষেত্রই। শুক্রবার আদালতে বড় অস্বস্তির সম্মুখীন হয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। গত বছর চারেক ধরে থাকা ‘কবচকুণ্ডল’ হাতছাড়া হয়ে গিয়েছে তাঁর। ফলত আর কোনও রকম আইনত রক্ষা পাচ্ছেন না তিনি। শাসকশিবিরের সামনেও খুলে গেল শুভেন্দুর বিরুদ্ধে আসরে নামার পথ।
২০২১ সালে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার নির্দেশে ‘রক্ষাকবচ’ পেয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। যার জেরে তাঁর বিরুদ্ধে কোনও এফআইআর করার আগে আদালতের অনুমোদন নিতে হত অভিযোগকারীদের। কিন্তু এবার বিচারপতি মান্থার দেওয়া সেই ‘রক্ষাকবচ’ সরিয়ে নিলেন বিচারপতি সেনগুপ্ত। শুক্রবার একটি মামলার শুনানিপর্বে বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশ, প্রত্য়াহার করা হল শুভেন্দু অধিকারীর ‘রক্ষাকবচ’। পাশাপাশি, তাঁর বিরুদ্ধে মানিকতলা-সহ চারটি মামলায় সিবিআই ও রাজ্য় পুলিশের যুগ্ম সিট গঠনের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
শুভেন্দু রক্ষাকবচ প্রত্যাহারের নির্দেশের পরেই চড়েছে রাজনীতি। আদালতের নির্দেশ ঘিরে তৃণমূলের দিকেই তির ছুড়ে দিচ্ছে গেরুয়া শিবির। এদিন বিজেপি নেতা সজল ঘোষ বলেন, ‘তৃণমূল সুযোগ পেল। আজ ২৯৪টা বিধানসভা, ৪২টা লোকসভা কেন্দ্র ও ৮০ হাজার বুথ, সব জায়গা থেকে শুভেন্দু বাবুর বিরুদ্ধে এফআইআর করে দিন। আগামিকাল থেকে আবার করতে পারবেন কিনা সন্দেহ রয়েছে।’
অন্যদিকে এসব ঘটনায় বিজেপি ভয় পায় না বলেই দাবি কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারের। তিনি বললেন, ‘এসব ধাক্কা-টাক্কা কোনও ব্যাপার নয়। এফআইআর করবে, করুক। এসব আমরা অনেক সহ্য করেছি। জেলে যেতে হলে সবাই যাব, শুভেন্দুদা একা যাবেন কেন?’ এই ‘রক্ষাকবচ’ ইস্য়ুতে শুভেন্দু অধিকারীর আইনজীবী বিল্বদল ভট্টাচার্য বলেন, ‘রাজ্যে বিরোধী দলনেতার যে বক্তব্য, তা কিন্তু মান্যতা পেয়েছে। একাধিক মামলা খারিজ হয়েছে। আর যে মামলাগুলির তদন্তে রাজ্য পুলিশের উপর হাইকোর্ট ভরসা রাখতে পারেনি, সেখানে সিবিআইকে যুক্ত করেছে।’