Suvendu Adhikari: শুভেন্দুর নিশানায় ‘গর্ভে লালিত দুর্নীতি’, কটাক্ষে ‘শান্তিনিকেতন’, ‘নারুলা’ ও ‘গম্ভীর’
Suvendu Adhikari: ঘুরিয়ে যে এ ক্ষেত্রে রাজ্যকেই শুভেন্দু নিশানায় নিতে চেয়েছেন, তা বুঝতে বাকি নেই রাজনৈতিক মহলের।
কলকাতা: বালি দুর্নীতি নিয়ে ঘুরপথে ফের একবার রাজ্য প্রশাসনকে একহাত নিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এই নিয়ে মঙ্গলবার একটি বিজ্ঞপ্তির কাটআউট তুলে ধরে একটি বিস্ফোরক টুইট করেছেন তিনি। যেই টুইটে শুভেন্দুর দাবি, ‘আরও একটি দুর্নীতি গর্ভে লালিত হচ্ছে।’ যদিও এই দুর্নীতি কার গর্ভে লালিত হচ্ছে সে কথা তিনি উল্লেখ করেননি। তবে টুইটে বেশ কয়েকজনের পদবী উল্লেখ করেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। ঘটনাচক্রে যে পদবীগুলি রাজ্যের শাসকদলের সঙ্গেই যুক্ত। ফলে ঘুরিয়ে যে এ ক্ষেত্রে রাজ্যকেই শুভেন্দু নিশানায় নিতে চেয়েছেন, তা বুঝতে বাকি নেই রাজনৈতিক মহলের।
আগে দেখে নেওয়া যাক মঙ্গলবারের টুইটে ঠিক কী অভিযোগ করেছেন শুভেন্দু। বিরোধী দলনেতা এ দিন লেখেন, “গর্ভে আরেকটি বড় কেলেঙ্কারি লালিত হচ্ছে। বালি তোলার এই কেন্দ্রীয় ব্যবস্থা কার নিয়ন্ত্রণে? গম্ভীর ভাবছেন অরোরার কথা, অরোরা ভাবছেন নারুলাকে, নারুলা ভাবছেন মণ্ডলের কথা— আরও অনেকে…. শান্তিনিকেতনে শান্তি এখন বালুকাময়।”
গর্ভে লালিত হচ্ছে আরও একটি বড় কেলেঙ্কারি। বালি তোলার এই কেন্দ্রীয় ব্যবস্থা কার নিয়ন্ত্রণে? গম্ভীর ভাবছেন অরোরার কথা, অরোরা ভাবছেন নারুলাকে, নারুলা ভাবছেন মণ্ডলের কথা— আরও অনেকে…. শান্তিনিকেতনে শান্তি এখন বালুকাময়।? pic.twitter.com/AzKPxA5HLI
— Suvendu Adhikari • শুভেন্দু অধিকারী (@SuvenduWB) September 14, 2021
শুভেন্দুর টুইটের শেষ লাইনটি বিশেষভাবে রাজনৈতিক মহলের নজর টেনেছে। কারণ সেখানে তিনি ‘শান্তিনিকেতন’ কথাটি উল্লেখ করেছেন। তবে এ শান্তিনিকেতন যে বীরভূমের শান্তিনিকেতন নয় তা আলাদা করে বুঝিয়ে দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। এই শান্তিনিকেতন বলতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাসভবনের দিকে তিনি ইঙ্গিত করেছেন বলে মত রাজনৈতিক মহলের একটা বড় অংশের। টুইটে আবার নারুলা, গম্ভীর, ইত্যাদি পদবীর ব্যবহার করেছেন তিনি। এই পদবীগুলি আবার অভিষেকের স্ত্রী রুজিরা এবং তাঁর শ্যালিকা মেনকার। কয়লা মামলায় এঁদের দু’জনকেই অতীতে একবার জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই।
ঘটনা হচ্ছে, সম্প্রতি রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে সংবাদ মাধ্যমে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের মাধ্যমে টেন্ডার ডাকা হয়। যেখানে বালি খাদানের বালি সংগ্রহ করে তা ডিপো পর্যন্ত পরিবহণের জন্য সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে নাম নথিভুক্ত করার আহ্বান জানানো হয়েছে। এই ক্ষেত্রেই নতুন করে দুর্নীতি হতে পারে বলে আশঙ্কা করেছেন শুভেন্দু।
বালি খাদানের ক্ষেত্রে যে একাধিক দুর্নীতির ঘটনা ঘটছে, তা বকলমে স্বীকার করে নিয়েই বালি তোলার পদ্ধতি আমূল পরিবর্তন করা হবে বলে জানিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বালি তুলে তা অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার জন্য পরিবহণ সংস্থা আলাদাভাবে টেন্ডারের জন্য আবেদনও করতে পারবেন বলে জানান মমতা। সেই মতো রাজ্যের পক্ষ থেকে এই টেন্ডার ডাকা হয়েছিল। কিন্তু সেই টেন্ডারের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হতেই রাজ্য রাজনীতিতে কার্যত আরেকটি বোমা ফাটালেন শুভেন্দু।
আরও পড়ুন: Delhi Terror Module: হামলার ছক ছিল উৎসবেই, ৩ রাজ্যে গ্রেফতার ৬ জঙ্গি! উঠে এল বাংলা-যোগও