কলকাতা: এসএসসি নিয়োগ মামলায় রায় ঘোষণা করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। পুরো প্যানেল বাতিল করে দিয়েছে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। অতীতে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় যখন বিচারপতি ছিলেন, তখন নিয়োগ সংক্রান্ত বিভিন্ন মামলার শুনানি চলেছিল তাঁর এজলাসে। অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এখন বিজেপির প্রার্থী। লড়ছেন তমলুক থেকে। আজ আদালতের রায় ভোটে কতটা সুবিধা দেবে অভিজিৎবাবুকে? টিভি নাইন বাংলার ম্যানেজিং এডিটর অমৃতাংশু ভট্টাচার্যের প্রশ্নে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি জানালেন, তিনি যন্ত্রণাকাতর হয়ে রয়েছেন এবং বর্তমানে এই সব নিয়ে ভাবছেন না।
তমলুকের বিজেপি প্রার্থীর কথায়, ‘সেই গণনা আমি করছি না। আজ এটা গণনা করার দিন নয়। আমি যন্ত্রণাকাতর হয়ে আছি। ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ হতে হয়ত দুই বছর সময় লাগত। সেক্ষেত্রে যদি ২০১৮ সালও ধরে নিই, তাহলে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ৬ বছর… যে ছেলেগুলোর অনেকদিন আগে সৎ পথে চাকরি পেয়ে যাওয়ার কথা ছিল, ৬ বছর ধরে তাঁরা বঞ্চিত হয়ে বসে আছেন। রাস্তায় ঘুরছেন। তাঁরা নিজেদের বেকার বলে ধরে নিয়েছেন, অথচ এমনটা ধরে নেওয়ার কোনও কারণ ছিল না।’
রাজ্যের শিক্ষা ক্ষেত্রে এই পরিস্থিতির জন্য একপ্রকার বাংলার শাসক শিবিরের দিকেই আঙুল তুললেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বললেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী বলছেন, তিনি বেকার সমস্যা সমাধান করতে চেয়েছেন। তিনি মিথ্যাচারী। তিনি মানুষের মন ভেঙে দিয়েছেন।’
উল্লেখ্য, অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় যখন হাইকোর্টের এজলাসে বসতেন, সেই সময় তিনি একটি মন্তব্য করেছিলেন। নিয়োগ মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে তিনি মন্তব্য করেছিলেন, ‘ঢাকি সমেত বিসর্জন দিয়ে দেব।’ সেই মন্তব্য নিয়ে পরবর্তীতে অনেক চর্চাও হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।