বাংলায় আবার বড় করে আসছে TATA গোষ্ঠী? মমতার সঙ্গে নবান্নে বৈঠকে রতন টাটার উত্তরসূরী

TATA Group: আজ টাটা গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান এন চন্দ্রশেখরন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে আসেন। দীর্ঘক্ষণ তাদের মধ্যে আলোচনা হয়।

বাংলায় আবার বড় করে আসছে TATA গোষ্ঠী? মমতার সঙ্গে নবান্নে বৈঠকে রতন টাটার উত্তরসূরী
ফাইল চিত্র।Image Credit source: PTI

| Edited By: ঈপ্সা চ্যাটার্জী

Jul 10, 2025 | 12:05 PM

কলকাতা: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করলেন টাটা গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান নটরাজন চন্দ্রশেখরন। আজ, বুধবার নবান্নেই হয় এই বৈঠক। এরপরই জোর জল্পনা, তাহলে কি বাংলায় ফের বিনিয়োগ করতে চলেছে টাটা গোষ্ঠী?

আজ টাটা গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান এন চন্দ্রশেখরন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে আসেন। দীর্ঘক্ষণ তাদের মধ্যে আলোচনা হয়। তবে কী বিষয় নিয়ে বৈঠক হয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। হঠাৎ এই সাক্ষাতে জল্পনা তৈরি হচ্ছে, বাংলায় ফিরবে টাটা গোষ্ঠী?

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেও এক্স হ্য়ান্ডেলে টাটা গ্রুপের চেয়ারম্যান এন চন্দ্রশেখরনের সঙ্গে সাক্ষাতের ভিডিয়ো পোস্ট করেন। রাজ্যে টাটা গ্রুপের উপস্থিতি এবং আগামী দিনে বাণিজ্য-বিনিয়োগের গন্তব্য হয়ে ওঠা নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলেই জানানো হয়েছে।

প্রসঙ্গত,  ২০০৬ সালে টাটা গোষ্ঠী বিপুল বিনিয়োগ নিয়ে রাজ্যে এসেছিল। হুগলির সিঙ্গুরে তৈরি হচ্ছিল টাটা ন্যানোর কারখানা। এটি ছিল রতন টাটার স্বপ্নের প্রকল্প। কিন্তু সেই স্বপ্নে বাধ সাধে জমি আন্দোলন। সিঙ্গুরের ৯৯৭ একরের মধ্যে ৪০০ একর জমি কৃষিজমি বলেই দাবি করা হয়। অনিচ্ছুক চাষিদের জমি জোর করে নেওয়া হচ্ছে অভিযোগ তোলা হয়।

তৎকালীন বিরোধী নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বেই সেই জমি আন্দোলন বিরাট আকার ধারণ করেছিল। ৩৪ বছরের বাম আমলের  পতন হয়েছিল ওই আন্দোলনের হাত ধরে। শেষে ২০০৮ সালেরঅক্টোবর সিঙ্গুর থেকে প্রকল্প সরানোর ঘোষণা করেন টাটা গোষ্ঠীর কর্ণধার রতন টাটা। গুজরাটের সানন্দে খোলে টাটা ন্যানোর কারখানা। বাংলায় কারখানা না খোলা নিয়ে আক্ষেপ ছিল রতন টাটার। 

টাটার ন্যানো প্রকল্পের বিরুদ্ধে আন্দোলন চলাকালীন রতন টাটা বলেছিলেন, “আমার মাথায় বন্দুক ঠেকালেও আমি মাথা সরাব না।’ তবে, এই প্রকল্পের বিদায় বেলায় রতন টাটা সেই উক্তির পরিপ্রেক্ষিতে বলেন, ‘দু’বছর আগে আমি বলেছিলাম, কেউ যদি আমার মাথায় বন্দুক ঠেকায়, তাহলেও আমি মাথা সরাব না। আমি মনে করি ট্রিগারেই চাপটা দিয়েছেন মিস ব্যানার্জি।”