‘পাশে রয়েছেন শুভেন্দু, বহু বার ফোনে কথাও হয়েছে’, অকপট শিক্ষক নেতা মইদুল
SSK Teacher Moidul Islam: মইদুলের দাবি, বিকাশ ভবনের সামনে শিক্ষিকাদের আত্মহত্যার চেষ্টার ঘটনায় তাঁর বিরুদ্ধে প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ এনেছে পুলিশ।
কলকাতা: পাশে দাঁড়িয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শনিবার এমনই দাবি করলেন শিক্ষক ঐক্য মঞ্চের নেতা মইদুল ইসলাম। মইদুল জানান, বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন তাঁর সঙ্গে। তাঁকে সবরকম সহযোগিতারও আশ্বাস দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা। যদিও এ বিষয়ে এখনও কোনও মন্তব্য করেননি শুভেন্দু অধিকারী।
আপাতত বেলেঘাটার চালপট্টি এলাকায় শ্বশুরবাড়িতেই রয়েছেন শিক্ষক নেতা মইদুল ইসলাম। মইদুলের দাবি, বিকাশ ভবনের সামনে শিক্ষিকাদের আত্মহত্যার চেষ্টার ঘটনায় তাঁর বিরুদ্ধে প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ এনেছে পুলিশ। সেই অভিযোগে বৃহস্পতিবার রাতে চালপট্টি এলাকার বাড়িতে গ্রেফতার করতে যায় পুলিশ। পুলিশের বিরুদ্ধে অতি সক্রিয়তার অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টে যান মইদুল। কিন্তু হাইকোর্ট এখনই তাঁকে কোনও আইনি রক্ষাকবচ দেয়নি। কারণ, রাজ্যের তরফে আদালতে দাবি করা হয়েছে, গ্রেফতার নয়, নিছক জিজ্ঞাসাবাদের জন্যই পুলিশ গিয়েছিল সেদিন রাতে।
সূত্রের খবর, বিষপান কাণ্ডের পর থেকেই মইদুল ইসলামের সঙ্গে একাধিক বার যোগাযোগ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। শিক্ষক দিবসে বিষপান করে অসুস্থ শিক্ষিকা পুতুল মণ্ডলকে হাসপাতালে দেখতেও গিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা। অন্যদিকে মইদুলে শ্বশুরবাড়িতে বৃহস্পতিবার রাতের ঘটনার পর আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি, সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী এই শিক্ষক নেতা পাশে দাঁড়িয়েছেন। তেমনই বিজেপির তরফ থেকেও যোগাযোগ রাখা হচ্ছে বলেও খবর। স্বয়ং বিরোধী দলনেতা ফোন করেছেন বলে প্রকাশ্যে দাবি করেছেন মইদুল। নিঃসন্দেহে শুভেন্দুর এ ভাবে মইদুলের পাশে দাঁড়ানো রাজনৈতিক ভাবে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। আবার মইদুল ইসলাম হাইকোর্টে যে মামলা করেছেন, সেখানে তাঁর হয়ে সওয়াল করেছেন বামনেতা আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য এবং ফিরদৌস শামিম। অর্থাৎ মইদুলকে ঘিরে একদিকে আইএসএফ, অন্যদিকে সিপিএম। রয়েছে বিজেপিও।
মইদুল ইসলামের কথায়, “যে রাতে এই ঘটনা ঘটে সেই দিন প্রায় সারা রাত আমার সঙ্গে যোগাযোগে ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। সকাল থেকে হাইকোর্টে যাওয়া পর্যন্ত সমস্ত বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়েছেন। পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন।” একইসঙ্গে মইদুল জানান, প্রতিটি ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ রাজভবনেও জানানো হচ্ছে। শিক্ষক নেতা এ প্রসঙ্গে বলেন, “প্রথম থেকেই যা যা ঘটছে তা রাজভবনে জানানো হচ্ছে। আমরা শনিবার জাতীয় মানবাধিকার কমিশনে ইমেল করব। শুক্রবার ফোনে কমিশনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা হয়েছে।”
রাজ্যের বিরোধী দলের ভূমিকা নিয়েও সন্তোষের সুর মইদুল ইসলামের গলায়। “বিরোধী দলের যা কাজ, যে কোনও গণতান্ত্রিক আন্দোলনে পাশে থেকে সাহস জোগানো, সমর্থন দেওয়া সেই কাজটা তারা করছে। শুধুমাত্র বিজেপি নয়, সিপিএম, কংগ্রেস, আইএসএফ সকলেই সঙ্গে রয়েছে। আইএসএফ বিধায়ক আমার বাড়িতেও এসেছিলেন। গণতন্ত্র প্রিয় সমস্ত নাগরিক রয়েছেন পাশে। তবে দুঃখ একটাই, এত বড় ঘটনা, অথচ মুখ্যমন্ত্রী কোনও পদক্ষেপ করছেন না।”
আরও পড়ুন: Weather Update: আবারও শক্তিশালী নিম্নচাপের ভ্রুকুটি! কবে থেকে শুরু বৃষ্টি, জানাল আবহাওয়া দফতর