AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Government Hospital: রেফারে টানাপোড়েনের বলি? শুভদীপের মৃত্যুতে উঠছে একগুচ্ছ প্রশ্ন

Government Hospital: এদিন শুভদীপের মৃত্যুর পরে দুঃখ প্রকাশ করেছেন মদন মিত্র। বাতিল করে দিয়েছেন এদিন থাকা তাঁর সমস্ত কর্মসূচি। শুভদীপের মৃত্যু নিয়ে উঠে যাচ্ছে একগুচ্ছ প্রশ্ন।

Government Hospital: রেফারে টানাপোড়েনের বলি? শুভদীপের মৃত্যুতে উঠছে একগুচ্ছ প্রশ্ন
শুভদীপের মৃত্যুতে উঠছে একাধিক প্রশ্ন
| Edited By: | Updated on: May 23, 2023 | 8:18 PM
Share

কলকাতা: তাঁকে ভর্তি করতে মাঠে নেমেছিলেন কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র (MLA Madan Mitra)। এসএসকেএমে (SSKM) ভর্তি করতে না পেরে ক্ষোভও উগরে দিয়েছিলেন। শেষে মুখ্যমন্ত্রীর (CM Mamata Banerjee) হস্তক্ষেপে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করানো সম্ভব হয়েছিল শুভদীপ পালকে। তবে শেষরক্ষা হয়নি। এদিন সকালে মৃত্যু হয় শুভদীপের। তাতেই ফের প্রশ্নের মুখে রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিবেষা। তবে কী ভর্তির টানাপোড়েনেই মৃত্যু হল এই যুবকের? উঠছে সেই প্রশ্ন। উঠছে তার কারণ, শুভদীপ ভর্তি ছিল শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। সেই হাসপাতাল থেকে ভেন্টিলেটেড অ্যাম্বুলেন্সে তাঁকে নিয়ে আসা হয় এসএসকেএম-র ট্রমা কেয়ারে। ট্রমা কেয়ারে তিনি দীর্ঘক্ষণ পড়েছিলেন। সেই খবর পেয়ে মধ্যরাতে ছুটে আসেন মদন মিত্র। ভর্তির চেষ্টা করেন। 

যদিও সেখানে ভর্তি করা না গেলে তাঁকে ফের পাঠানো হয় বেসরকারি হাসপাতালে। সেই বেসরকারি হাসপাতাল থেকে তাঁকে রবিবার নিয়ে আসা হয় কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে। ফলে একবার সরকারি হাসপাতাল, তারপর বেসরকারি হাসপাতাল, সেখান থেকে এসএসকেএম, সেখানে থেকে ফের বেসরকারি হাসপাতাল, আবার কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ। এই ছবি দেখেই চিকিৎসকরা বলেছেন, ওই রোগীর চিকিৎসা পরিষেবায় পড়েছে ছেদ। এমনকী কার্যত মৃত্যু শয্যায় থাকা কোনও রোগীর দেহে যাতে নতুন করে সংক্রমণ না ছড়ায় সেদিকে জোর দিতে হয়। এ ক্ষেত্রে বারবার থাকে পড়ে থাকতে হয়েছে খোলা আকাশের নীচে, বেড না পেয়ে ঘুরতে হয়েছে অ্য়াম্বুলেন্সে। সে ক্ষেত্রেই সংক্রমণ আরও দ্রুত গতিতে তাঁর দেহে ছড়িয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। 

এদিকে এদিন শুভদীপের মৃত্যুর পরে দুঃখ প্রকাশ করেছেন মদন মিত্র। বাতিল করে দিয়েছেন এদিন থাকা তাঁর সমস্ত কর্মসূচি। শুভদীপের মৃত্যুর পর মদনকে বলতে শোনা যায়, “খুবই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। ইশ্বরের কাছে তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করি।” প্রসঙ্গত, শুভদীপ পালের বাড়ি চন্দ্রকোণায়। গত ১৮ মে বাঘাযতীন উড়ালপুলে পথ দুর্ঘটনার শিকার হন শুভদীপ।‌ প্রথমে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ। ন্যাশনাল মেডিক্যাল থেকে মল্লিকবাজারের বেসরকারি হাসপাতাল। মল্লিকবাজার থেকে এস‌এসকেএম। এস‌এসকেএমে শয্যার অপেক্ষায় ছ’ঘণ্টা ট্রমা কেয়ারের বাইরে অ্যাম্বুল্যান্সে পড়েছিলেন শুভদীপ। এস‌এসকেএম থেকে মল্লিক বাজারের বেসরকারি হাসপাতাল হয়ে রবিবার কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হন শুভদীপ। ভর্তি নিয়ে দীর্ঘ সময় চলে টানাপোড়েন। শুধু শুভদীপ নয়, সাম্প্রতিককালে লাগাতার রেফারের বলি হতে দেখা গিয়েছে একের পর রোগীকে। মৃত্যুও হয়েছে অনেকের। 

শুভদীপের মৃত্যুতে ক্ষোভে ফেটে পড়েছে তাঁর পরিবারের সদস্যরাও। তাঁর এক নিকটাত্মীয় বলেন, “মদন মিত্র আমাদের পাশে ছিলেন। যতটা করার উনি করেছেন। কিন্তু, পিজিতে অতক্ষণ ও ছিল তারপরেও ওকে ভর্তি করা হয়নি। আমাদের মনে হয় ওকে ফিরিয়ে দেওয়া উচিত হয়নি।” মেডিকেল টেকনোলজিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের রাজ্য সম্পাদক সমিত মণ্ডলও বলছেন, “শুভদীপ‌ যথাসময়ে চিকিৎসা পেলে এই পরিণতি হত না।”