TET Agitation: হকের চাকরির দাবিতে বিক্ষোভ দেখিয়ে পুলিশের কামড়! জামিন অযোগ্য একাধিক ধারায় মামলা অরুণিমা-সহ ২৯ জনের বিরুদ্ধে

TET Agitation: তাঁদের বিরুদ্ধে হিংসা ছড়ানো, অস্ত্র নিয়ে হিংসা ছড়ানো, অবৈধ জমায়েত, সরকারি কর্মীদের বাধা ও মারধরের অভিযোগ দায়ের হয়েছে।

TET Agitation: হকের চাকরির দাবিতে বিক্ষোভ দেখিয়ে পুলিশের কামড়! জামিন অযোগ্য একাধিক ধারায় মামলা অরুণিমা-সহ ২৯ জনের বিরুদ্ধে
চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভ
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 10, 2022 | 10:40 AM

কলকাতা: এক্সাইড মোড়ে চাকরি প্রার্থীদের বিক্ষোভ আন্দোলনের জেরে গ্রেফতার করা হয়েছে ২৯ জনকে। তাঁদের বিরুদ্ধে  ভারতীয় দণ্ডবিধির  ১৪৭ হিংসা ছড়ানো, ১৪৮ ধারা, অস্ত্র নিয়ে হিংসা ছড়ানো, অবৈধ জমায়েত, ১৪৯ সরকারি কর্মীদের বাধা ও ৩৫৩ ধারায় মারধরের অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ৩০ জনকে গ্রেফতার করা হলেও, গভীর রাতে এক জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

হকের চাকরির দাবিতে তাঁরা বিক্ষোভ দেখিয়ে যাচ্ছেন। আর এই আন্দোলনে যেন যুযুধান প্রতিপক্ষ হয়ে উঠেছেন আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থী ও পুলিশ। এই দৃশ্য বেশ কয়েকবার দেখল রাজ্য। সপ্তাহ তিনেক আগেই ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণ নন ইনক্লুডেড চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে করুণাময়ী চত্বর। এবার ২০১৪-র টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের জমায়েত-বিক্ষোভ ঘিরে ধুন্ধুমার বাঁধে এক্সাইড মোড়ে।

বৃহস্পতিবার  ২০১৪-র টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ অফিস অভিযান ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায়। প্রথমে সল্টলেকে জমায়েতের ডাক দেন চাকরিপ্রার্থীরা। কিন্তু সেক্টর ফাইভেই বিক্ষোভকারীদের আটকে দেন পুলিশ। সেখানেই বেশ কয়েকজন চাকরিপ্রার্থী পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন। এরপরই ধীরে ধীরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা।

ক্যামাক স্ট্রিটের দিকে দৌড়ে যান চাকরিপ্রার্থীরা। সেখানেও একই চিত্র। প্রিজন ভ্যানের নীচে শুয়ে পড়েন চাকরিপ্রার্থীরা। চ্যাঙদোলা করে সরানো হয় তাঁদের। চাকরির দাবিতে তাঁরা যে আন্দোলনে নেমেছেন, তাতে প্রধান প্রতিপক্ষ যেন হয়ে উঠেছে পুলিশ। এরই মধ্যে বৃহস্পতিবারের আন্দোলনের লাইমলাইনে চলে আসেন অরুণিমা নামে এক চাকরিপ্রার্থী। বিক্ষোভের মাঝেই ওই চাকরিপ্রার্থীর হাতে কামড়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে এক পুলিশ কর্মীর বিরুদ্ধে। যদিও ওই পুলিশ কর্মী অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। যা নিয়ে রাজ্য রাজনীতি এখন তোলপাড়। পুলিশ যাঁর হাতে কামড়াল, সেই অরুণিমার বিরুদ্ধেই জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ।   অরুণিমা ছাড়াও আরও ৩০ জনকে গ্রেফতার করা হয়। হিংসা ছড়ানো, পুলিশের উপর হামলা-সহ একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে।