Job Seeker Protest: মাঝপথে যাত্রী নামিয়ে বাস-ট্যাক্সিতে আন্দোলনকারীদের নিয়ে গেল পুলিশ
Kolkata: জানা গিয়েছে, কালীঘাটে আজ অবস্থান-বিক্ষোভ করছিলেন চাকরিপ্রার্থীরা। দ্রুত নিয়োগের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছিলেন তাঁরা। সেই সময় শুরু হয় পুলিশি ধরপাকড়।
কলকাতা: দাবি একটাই। ‘চাকরি চাই…চাকরি চাই…চাকরি চাই’। আর এই দাবিতে পথে নেমেছেন আপার প্রাইমারি চাকরি প্রার্থীরা। পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ, টেনে হিঁচড়ে বিক্ষোভকারীদের হটিয়ে দিয়েছে তাঁরা। এমনকী চিমটি ও আঁচড় কাটার অভিযোগ উঠেছে তাঁদের বিরুদ্ধে। এরপর বুধবার আরও একটি ছবি সামনে এসেছে। অভিযোগ, একটি বেসরকারি বাসকে খালি করে, যাত্রী নামিয়ে সেই বাসে চাকরি প্রার্থীদের তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। যা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
জানা গিয়েছে, কালীঘাটে আজ অবস্থান-বিক্ষোভ করছিলেন চাকরিপ্রার্থীরা। দ্রুত নিয়োগের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছিলেন তাঁরা। সেই সময় শুরু হয় পুলিশি ধরপাকড়। টেনে হিঁচড়ে তোলা হয় পুলিশের ভ্যানে। আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, ট্যাক্সি-অ্যাম্বুলেন্সে তুলে করে নিয়ে যায় পুলিশ। পুলিশের বুটের চাপে অসুস্থ হয়ে পড়েন একজন আন্দোলনকারী। এমনকী, একটি বেসরাকরি বাসের যাত্রীদের নামিয়ে, বাস খালি করে সেই বাসে চাকরি প্রার্থীদের তুলে নিয়ে যায় পুলিশ।
এক বিক্ষোভকারী বলেন, ‘২০১৪ থেকে আমরা বঞ্চিত। আমাদের নিয়োগ করতে হবে। এটা কমিশনের নির্দেশ। আমরা তো সন্ত্রাসবাদী নই। পুলিশ মেয়েদের আঁচড়ে দিয়েছে।’
আজ চাকরি প্রার্থীরা মূলত দেখা করতে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। তবে বর্তমানে ঝাড়গ্রাম সফরে গিয়েছেন তিনি। তবে চাকরি প্রার্থীরা এই হাই-সিকিউরিটি এলাকাকেই বেছে নিয়েছেন বিক্ষোভ দেখানোর জন্য। তবে প্রতিবারের মতো এইবারও পুলিশ আন্দোলন এক প্রকার হটিয়ে দিল।
এদিন মহিলা বিক্ষোভকারীদের টানতে-টানতে গাড়িতে তোলে মহিলা পুলিশ কর্মীরা। তাঁদের নিগ্রহ করার অভিযোগ তোলেন এক মহিলা আন্দোলনকারী। এমনকী তাঁদের অভিযোগ, পুলিশ চিমটি কেটেছে। রীতিমত পুলিশের সঙ্গে খন্ডযুদ্ধ বেধে যায় তাঁদের। ইতিমধ্যে পুলিশের সঙ্গে ধস্তা-ধস্তিতে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন প্রচুর চাকরি প্রার্থী। এক মহিলা বিক্ষোভকারী বলেন, ‘আমার জামা ছিঁড়ে দিয়েছে। চিমটি কেটেছে। আঁচড়ে দিয়েছে। দেখুন কী অবস্থা করেছে। আমাকে চুলের মুঠি ধরে সরিয়ে দিয়েছে। ওরা আমাদের উপর অত্যাচার করছে।’
এই বিষয়ে বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘এর শেষ কোথায়? একদিকে মামলা চলছে। অপরদিকে ওরা আন্দোলন করছে। এই মুহূর্তে স্কুলে সাড়ে তিন লক্ষ শূন্যপদ আছে। বিভিন্ন জায়গায় স্কুল বন্ধ হচ্ছে। বাঘমুন্ডিতে শিক্ষকের দাবিতে আন্দোলন চলেছে। এই পরিস্থিতি থেকে বের করে আনতে একমাত্র পারেন মুখ্যমন্ত্রী।’ অপরদিকে, সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘পুলিশের একমাত্র কাজ হচ্ছে লুঠেরাদের পিছনে দাঁড়ানো। দুষ্কৃতীদের পিছনে দাঁড়ানো। যারা লেখাপড়া করছে তাঁদের পাশে কেন দাঁড়াবে পুলিশ?’