AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Theft Case in Kolkata: ভাঙা হয়েছে ৬ খানা তালা, উধাও গয়না-টাকা, দুঃসাহসিক ঘটনা কলকাতায়

Theft Case: গড়িয়ার বাঁশদ্রোণীতে বাড়ি ফাঁকা পেয়েই দুষ্কৃতীরা ঢুকে পড়ে বলে মনে করছে পুলিশ। ফিরে এসে মাথায় হাত দম্পতির।

Theft Case in Kolkata: ভাঙা হয়েছে ৬ খানা তালা, উধাও গয়না-টাকা, দুঃসাহসিক ঘটনা কলকাতায়
গড়িয়ায় চুরি
| Edited By: | Updated on: Oct 29, 2022 | 9:01 AM
Share

কলকাতা : খাস কলকাতায় দুঃসাহসিক চুরির ঘটনা। গড়িয়ার একটি তিন তলা বাড়ি ফাঁকা থাকার সুযোগে তালা ভেঙে ঢুকে চুরি করল দুষ্কৃতীরা। সোনার গয়না ও নগদ টাকা নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। বাঁশদ্রোণী থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই বাড়ির বাসিন্দারা। তাঁদের দাবি, গত কয়েক বছরে ওই বাড়িতে থাকলেও এমন ঘটনা কখনও ঘটেনি। তবে এভাবে চুরি হয়ে যাওয়া এবার রীতিমতো নিরাপত্তার অভাবে ভুগছেন তাঁরা।

গড়িয়ার বাঁশদ্রোণী থানা এলাকার ৩৮/১ কামডহরি পূর্বপাড়ার ঘটনা। তিন তলা ওই বাড়িতে মোট ৬ টি তালা দেওয়া ছিল। সেই চালা ভেঙে চুরি করা হয়েছে বলে অভিযোগ। বাড়ির মালিক ছন্দা চৌধুরী দিন কয়েক আগে বিদেশে ছেলের কাছে গিয়েছেন। বাড়িতে তিনি ছাড়া ভাড়ায় থাকতেন এক দম্পতি। তাঁরা ভাইফোঁটা উপলক্ষে আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়েছিলেন। সেই সুযোগেই চুরি হয়েছে। ফিরে এসে ওই দম্পতি দেখেন, তাঁদের ঘর পুরো তছনছ করে দেওয়া হয়েছে। দীর্ঘক্ষণ ধরে চুরি চালানো হয়েছে বলে মনে করছেন তাঁরা।

বাড়িটিতে ভাড়ায় থাকতেন অধ্যাপক ডক্টর শান্তনু বিষোয়ী ও তাঁর স্ত্রী মৌসুমী বিষোয়ী। ভাইফোঁটায় শ্বশুরবাড়িতে গিয়েছিলেন শান্তনুবাবু। শুক্রবার সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরে তিনি দেখেন সদর দরজার তালা লাগানোই রয়েছে। কিন্তু বাড়ির কোলাপসেবল গেটের তালা সহ মোট ৬টি তালা ভাঙা। ঘরের প্রতিটি দরজার তালা ভাঙা, ভাঙা হয়েছে প্রতিটি ঘরের আলমারির দরজা। একতলা থেকে তিনতলা সর্বত্রই যে দুষ্কৃতীরা দাপিয়েছেন, সেই চিহ্নও স্পষ্ট। এই অবস্থা দেখেই থানায় খবর দেন শান্তনু বাবু। ঘটনার খবর পেয়ে এলাকায় আসেন বাশদ্রোঁণী থানার পুলিশ।

শান্তনু বাবু ও তাঁর স্ত্রী জানিয়েছেন, ৫ থেকে ৬ ভরি সোনার গয়না চুরি গিয়েছে। আলমারিতে ছিল হার, সোনার আংটি সহ বেশ কয়েকটি গয়না। তবে নগদ টাকা খুব বেশি ছিল না। হাজার দশের টাকা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তাঁরা। ২০১৭ থেকে ওই বাড়িতে থাকেন শান্তনুবাবু। তাঁর দাবি, কোনও দিনই এমন কোনও ঘটনা ঘটেনি আগে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।