Kaustav Bagchi: ‘একটা বায়ো টয়লেট পর্যন্ত নেই’, চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলন মঞ্চে গিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়লেন কৌস্তভ
Kaustav Bagchi: সরকারের বিরুদ্ধে খড়গহস্ত হয়েছেন বিজেপি বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায়ও। তিনি বলেন, “সাতজন আত্মহত্যা করেছেন। যে আন্দোলনকারীদের কান্না যে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পৌঁছায় না, আমার মনে হয় না সেই মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন-নিবেদন করে কোনও কাজ হবে।”
কলকাতা: ৫২৬ দিনে পড়েছে আপার প্রাইমারির ইন্টারভিউ বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীদের অবস্থান বিক্ষোভ। শীতেও রাস্তার পাশে খোলা আকাশের নিচে চলছে আন্দোলন। এদিন সেখানে যেতে দেখা যায় কংগ্রেস নেতা তথা আইনজীবী কৌস্তভ বাগচি, বিজেপি বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায়কে। আন্দোলনের মঞ্চ থেকেই সরকারের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দেন দু’জনেই। পাশাপাশি মঞ্চে বায়ো টয়লেট না থাকায় বেজায় চটেছেন কৌস্তভ। বলেন, “অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে আন্দোলন হচ্ছে। এখানে আলো নেই। মশার কামড় খেতে হচ্ছে। একটা বায়ো টয়লেটের ব্যবস্থা পর্যন্ত নেই। সামনে একটা পে অ্যান্ড ইউজ টয়লেট রয়েছে সেটাও ব্যবহার করতে দেওয়া হচ্ছে না। আমরা বায়ো টয়লেটের ডিমান্ড করেছি। পুলিশের তরফে বলা হয়েছে তাঁদের কাছে পর্যাপ্ত পরিমাণে বায়ো টয়লেট নেই। আমরা চেষ্টা করছি বায়ো টয়লেট আনার। না হলে ২৪ ঘণ্টা যাতে পে অ্য়ান্ড ইউজ টয়লেটটা ব্যবহার করা যায় সেই চেষ্টাও করছি।”
এখানেই না থেমে তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে কৌস্তভ আরও বলেন, “একটা সরকার কতটা অমানবিক হয় তা এই রাজ্য সরকারকে না দেখলে বোঝা যায় না। চেষ্টা করব যতটা ওদের পাশে থাকা যায়। তবে কতদিনে এদের সমস্যার সুরাহা হবে জানি না। কিন্তু, আন্দোলন আরও তীব্র হবে।”
সরকারের বিরুদ্ধে খড়গহস্ত হয়েছেন বিজেপি বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায়ও। তিনি বলেন, “সাতজন আত্মহত্যা করেছেন। যে আন্দোলনকারীদের কান্না যে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পৌঁছায় না, আমার মনে হয় না সেই মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন-নিবেদন করে কোনও কাজ হবে। আমাদের আদালতকে এগিয়ে আসতে হবে। আদালতকে কড়া নির্দেশ দিতে হবে। কেন্দ্রীয় সরকারকে এগিয়ে এসে এদের জীবন বাঁচাতে হবে।”