
কলকাতা: বেজেছে যুদ্ধের দামামা। আর এই পরিস্থিতি যাতে কালোবাজারির কোপ মধ্যবিত্তের মাথায় না পড়ে সে ব্যাপার আগাম সতর্ক রাজ্য সরকার। সাংবাদিক বৈঠক করে কড়া বার্তা দিতে দেখা গেল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। মমতার সাফ কথা, “এখনও আমাদের সবজির দাম মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে কেউ কালোবাজারি করলে তার সব জিনিস সরকার বাজেয়াপ্ত করে নেবে।”
শুধু সরকার নয়, যুদ্ধ পরিস্থিতিতে এদিন ব্যবসায়ী থেকে আম-নাগরিকদের ফের একবার তাঁদের দায়িত্ব মনে করালেন মমতা। বললেন, “কখনও কখনও পরিস্থিতি অনুযায়ী মানুষের স্বার্থে নিজেদের মধ্যে সংযোগ বাড়াতে হয়। একে অপরের সহযোগিতাকে ভাল করে বাড়াতে। এ ব্যাপারে সরকারের যেমন দায়িত্ব আছে, তেমনই বিভিন্ন জায়গায় যাঁরা ব্যবসা করেন, সাপ্লাই করেন তাঁদেরও দায়িত্ব রয়েছে। হিমঘর থেকে ধানকল, চাষবাস, পোলট্রি সর্বত্রই সকলকে একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হয়।”
তিনি নিজে যে গোটা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছেন এদিন সে কথাও বারবার বলেন মমতা। সীমান্তগুলি দিয়ে যাতে কেউ অস্ত্র নিয়ে ঢুকতে না পারে সে দিক বিশেষ নজর রাখতে হবে। রেল স্টেশনগুলিতেও বিশেষ নজরদারির কথাও বলেন মমতা। এরইমধ্যে ঘোলাজলে যাতে কেউ মাঝ ধরতে না নামেন সে বিষয়েও বারবার সতর্ক ককেন তিনি। সাফ বলেন, “এ বছরের মার্কেট প্রাইস দেখি নিয়েছি। যেহেতু পহেলগাঁওয়ের একটা যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তাই সকলেই নিজেদের ভাণ্ডার তৈরি রাখতে বলা হয়েছে। আপনি বললেন কাশ্মীরের উপর দিয়ে যাবে, কিন্তু বাই চান্স যদি আমাদের এখান দিয়ে যায় তখন যেন মানুষকে সমস্যায় পড়তে না হয়। আর এই সময়টা টাকা ইনকামের নয়, এই সময়টা মানুষের পাশে দাঁড়ানোর। সচেতন নাগরিক হিসাবে আমাদের কিছু দায়িত্ব আছে।” অন্যদিকে ময়নার কাছে মাছের জন্য যে হিমঘর হওয়ার কথা ছিল তা কেন হয়নি এদিন মৎস দফতরের কাছে জানতে চান মমতা। তাঁর স্পষ্ট কথা, সরকার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরেও কেন কাজ হচ্ছে না? এরপরই জানিয়ে দেন এবার থেকে সুফল বাংলায় মাছ কিনতে পাওয়া যাবে।