AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Kalyan Banerjee: ‘থরোলি পলিটিক্যাল ইনটেনশন’! অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের রায় খারিজের পর হাসি মুখে খোঁচা কল্যাণের

Kalyan Banerjee On TET Verdict: কল্যাণ বারবার আদালতে সওয়াল করেছিলেন,  সব পক্ষকে সাক্ষ্যপ্রমাণ যাচাই করতে না দিয়েই একতরফা রায় দিয়েছিলেন একক বেঞ্চের বিচারপতি। তিনি ডিভিশন বেঞ্চে সওয়াল করেছিলেন, আদালতের সিবিআই তদন্ত করে কী রিপোর্ট দিয়েছে, সেই ব্যাপারেও কিছু জানানো হয়নি। এদিকে কোনও শিক্ষকের বিরুদ্ধে ফৌজদারি অপরাধেরও উল্লেখ করেনি সিবিআই।

Kalyan Banerjee:  'থরোলি পলিটিক্যাল ইনটেনশন'! অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের রায় খারিজের পর হাসি মুখে খোঁচা কল্যাণের
কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় Image Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Dec 03, 2025 | 3:24 PM
Share

কলকাতা: ২০২৩ কাট টু ২০২৫! প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের রায় বাতিল করে দিল কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। বুধবার রায়ে জানানো হল, ৩২ হাজার চাকরিপ্রার্থীর কাজ থাকছে। বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি ঋতব্রতকুমার মিত্রের পর্যবেক্ষণ, ‘‘এত দিন চাকরি করেছেন ৩২ হাজার শিক্ষক। তাঁদের পরিবারের কথা ভেবে আদালত চাকরি বাতিল করছে না।’’ আর এই রায়ে কী বলছেন আইনজীবী তথা তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।

TV9 বাংলাকে আইনজীবী কল্যাণ বলেন, “খুবই ভাল লাগছে, এতদিন যে লড়াই হয়েছে, সেই ২০২৩ সালের এপ্রিল মে মাস থেকে ২০২৬ সালে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত, যখন চাকরি বাতিল হয়, তখন ওদের আবেদন নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিলাম। সুপ্রিম কোর্ট আমাকে ডিভিশন বেঞ্চে পাঠায়। আজ সত্যের জয় হল।”

কল্যাণ বারবার আদালতে সওয়াল করেছিলেন,  সব পক্ষকে সাক্ষ্যপ্রমাণ যাচাই করতে না দিয়েই একতরফা রায় দিয়েছিলেন একক বেঞ্চের বিচারপতি। তিনি ডিভিশন বেঞ্চে সওয়াল করেছিলেন, আদালতের সিবিআই তদন্ত করে কী রিপোর্ট দিয়েছে, সেই ব্যাপারেও কিছু জানানো হয়নি। এদিকে কোনও শিক্ষকের বিরুদ্ধে ফৌজদারি অপরাধেরও উল্লেখ করেনি সিবিআই। সন্দেহের ভিত্তিতে এতগুলি শিক্ষকের চাকরি বাতিল করার নির্দেশ দেয় একক বেঞ্চ।

কল্যাণ এদিনও তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় রায় ও তাঁর উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। সরাসরি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে বিঁধে কল্যাণ বলেন, “একটা বিচারপতি যখন রাজনৈতিক চিন্তাভাবনা নিয়ে চলেন, তখন এই ধরনের রায় অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের মতো বিচারপতি দিতে পারেন। থরোলি পলিটিক্যাল ইনটেনশন ছিল। সেটাও পরবর্তীকালে প্রমাণিত হয়েছে। আমরা এই কথাটাই বারবার বলে এসেছিলাম, এবার প্রমাণিত হয়ে গেল। উনি তো বলেছিলেন চাকরি খেয়ে নেব। আজ আমরা চাকরি রেখে দেখিয়ে দিলাম, অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় আসলে বিচারব্যবস্থার কলঙ্ক, বিশ্বের কলঙ্ক।”

অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বিচারপতি পদ থেকে পদত্যাগের পর রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার পর থেকেই চাকরিহারা শিক্ষকরা তাঁর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। একটা সময়ে চাকরিপ্রার্থীরা তাঁকে ‘ভগবানের’ আসনে বসিয়েছিলেন, আজ শিক্ষকদেরই একাংশ তাঁর ভূমিকা নিয়েই প্রশ্ন তুলছিলেন। সেই একই কথা বলছেন কল্যাণও। কল্যাণ বলেন, “বিচারপতি কখন রাজনৈতিক ভাবে প্রভাবিত হতে পারেন না। তাঁকে অনেক উপরে উঠতে হয়। কলকাতা হাইকোর্টে কয়েকজন সিপিএমের আইনজীবীরা মিলে একটা প্যানেল করে কয়েকজন বিচারপতির কাছ থেকে এমন রায় নিচ্ছেন, সেটাই দুর্ভাগ্যজনক। তাঁদের ব্যাকগ্রাউন্ডেও সিপিএম ভিত্তি রয়েছে।” তাঁর অভিযোগ, সিপিএম ও বিজেপি চাকরি খাওয়ার ষড়যন্ত্র করছে।

অন্যদিকে, আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, “আপাতত ৩৩ হাজার লোকের চাকরি বাঁচল। কিন্তু এই রায়ে প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতিটা প্রশ্রয় পেল। ভবিষ্যতের পক্ষে খারাপ।”