
রিপোর্ট সৌরভ গুহ ও কণিষ্ক মাইতি
কলকাতা: ছুটির দিনে ব্রিগেডের ডাক। ‘বুদ্ধহীন’ ময়দানে রবিবারের তপ্ত গরমে সমাবেশ করল সিপিএম। মূল সারির নেতা নয়, সম্মুখ সমরে দেখা গেল শ্রমিক, কৃষক, ক্ষেতমজুর ও বস্তি সংগঠনের বামনেতাদের। এদিনের সমাবেশ ঘিরে গতরাত থেকে লাল শিবিরের অন্দরে বেড়েছে ‘নড়ন-চড়ন’। ৫০০ কর্মী-সমর্থকদের থাকার ব্যবস্থাও করা হয়েছিল আগের দিন থেকে। তবে রবির এই বাম-সমাবেশ দিনশেষে কতটা সাফল্য পেল, সেই প্রশ্নে উত্তর এখনও খুঁজে পাওয়া না গেলেও, আজকের বাম-সমাবেশ যে তৃণমূল-বিজেপি দুই বিপরীতমুখী শিবিরের সুর মিলিয়ে দিয়েছে, সেই নিয়ে কোনও সন্দেহই নেই।
এদিন বামেদের ব্রিগেড সমাবেশকে ‘ফ্লপ শো’ বলে কটাক্ষ করেন তৃণমূল নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার। তাঁর কথায়, ‘বৈশাখের দুপুরে সমাবেশ তো ডেকেছে। কিন্তু গোটাটাই ফ্লপ শো। ওরা যে একেবারে নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে, সেটা বোঝাই যাচ্ছে। নিজেদের মাইক, নিজেদের মঞ্চ, বেশ কিছু কোথাও বলেছে। ওদের প্রধান লক্ষ্য তৃণমূল। কারণ, আমরা বিজেপিকে আটকেছি।’ এরপর সিপিএম-বিজেপি আঁতাতের তত্ত্ব টেনে তৃণমূল নেতার দাবি, ‘বিজেপির টাকায় এখন সিপিএম চলছে। তাই তাদের সুরেই ওরা কথা বলে। বিমান বোস এই বয়সে এসে আরএসএস, বিজেপির বিরোধিতা না করে, তৃণমূলের বিরোধিতা করছে।’
রবির সমাবেশে বামেদের মূল অ্য়াজেন্ডাই ছিল শ্রমিক কোড। যার বিরুদ্ধে তারা পথে নামারও কথা বলে। জয়প্রকাশের দাবি, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তো আগেই বলেছেন, শ্রমিক কোড এই রাজ্যে চালু হবে না। তারপরেও ওরা এটা নিয়ে হাওয়া গরম করার চেষ্টা করছে।’
বামেদের সমাবেশ নিয়ে তৃণমূলের জয়প্রকাশ মজুমদারের মতো একই সুর শোনা যায় রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারির মুখেও। এদিন কাঁথির একটি জনসভা থেকে তিনি বলেন, ‘আজ নাকি কীসব ব্রিগেড ছিল। গোটাটা ফ্লপ শো। হিন্দুরা সরে যাচ্ছে সিপিএম-এর দিক থেকে। আনিশের জন্য ইনসাফ যাত্রা হয়। কিন্তু হরগোবিন্দ দাস কিংবা চন্দন দাসের জন্য হয় না।’