Kolkata Police: হাসপাতালের গেটের বাইরেই আক্রান্তকে ‘ফেলে গেল’ পুলিশ! চটলেন তৃণমূল নেতা
TMC: তৃণমূল কাউন্সিলর বিশ্বরূপ দে'র বক্তব্য, "পুলিশ ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করেছে। এসব ক্ষেত্রে তো পুলিশের উচিত তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো। কিন্তু, কেন জানি না, পুলিশ তাঁকে মেডিক্যালের সামনে ট্রাম লাইনের ধারে এক জায়গায় ফেলে রেখে চলে যায়।"
কলকাতা: আমহার্স্ট স্ট্রিট থানায় রহস্য-মৃত্যুর ঘটনায় ইতিমধ্যে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। আদালতে মামলা গড়িয়েছে। এরই মধ্যে ফের প্রশ্নের মুখে মুচিপাড়া থানার ভূমিকা। কৃষ্ণমোহন পোদ্দার নামে আক্রান্ত এক ব্যক্তিকে হাসপাতালে ভর্তি না করিয়ে, হাসপাতালের বাইরে ফেলে রেখেই পুলিশ চলে যায় বলে অভিযোগ। আক্রান্ত ওই ব্যক্তি তৃণমূল সমর্থক বলে জানা যাচ্ছে। আর পুলিশের বিরুদ্ধে এই চূড়ান্ত গাফিলতির অভিযোগ তুলছেন খোদ শাসক দলেরই কাউন্সিলর। আক্রান্ত ব্যক্তিকে কলকাতা মেডিক্যালের গেটের কাছে ফেলে রেখে পুলিশ চলে গিয়েছে বলে অভিযোগ তুলছেন কলকাতা পুরনিগমের তৃণমূল কাউন্সিলর বিশ্বরূপ দে।
তৃণমূল কাউন্সিলর বিশ্বরূপ দে’র বক্তব্য, “পুলিশ ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করেছে। এসব ক্ষেত্রে তো পুলিশের উচিত তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো। কিন্তু, কেন জানি না, পুলিশ তাঁকে মেডিক্যালের সামনে ট্রাম লাইনের ধারে এক জায়গায় ফেলে রেখে চলে যায়। পুলিশকে তো ভাবতে হবে, ওই আক্রান্ত ব্যক্তির প্রাণ বাঁচানোর জন্য তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করাতে হবে। এটা তো অমানবিক।” কাউন্সিলরের দাবি, এই অমানবিক কাজে যাঁরা দোষী, তাঁদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপ করতে হবে। তিনি বলেন, পুলিশ যদি পুলিশের ভূমিকা পালন না করে, তাহলে মানুষের আস্থা কমে যাবে।
মুচিপাড়ার ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে কার্যত বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছেন তৃণমূল কাউন্সিলর। কিন্তু পুলিশের তরফে এই নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। যদিও লালবাজার সূত্রে খবর, মুচিপাড়া থানার এই ঘটনার বেশ ক্ষুব্ধ লালবাজারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ। তবে সরকারিভাবে কোও প্রতিক্রিয়া বা বিবৃতি এখনও আসেনি লালবাজার থেকে।
সূত্রের খবর, যে ব্যক্তি আক্রান্ত হয়েছেন, তিনি কাউন্সিলরের ঘনিষ্ঠ। অভিযোগ উঠে আসছে, সুনীল সাউ নামে এক ব্যক্তির হাতে তিনি আক্রান্ত হয়েছেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, এই সুনীল সাউ আবার অপর এক শাসক নেতার ঘনিষ্ঠ। সেই কারণেই কি আক্রান্তকে উদ্ধার করে নিয়ে গেলেও রাজনৈতিক কোন্দল এড়াতে হাসপাতালে ভর্তি করল না পুলিশ? এমন প্রশ্ন ইতিমধ্যেই উঠে আসতে শুরু করেছে বিভিন্ন মহলে।