Abhishek Attacks Hiran : ‘এক মিনিটেই হিরণের দাবি নসাৎ করতে পারি…’, নিশানা অভিষেকের
Abhishek Attacks Hiran : সম্প্রতি মেদিনীপুর জেলা তৃণমূলের কোঅর্ডিনেটর অজিত মাইতির সঙ্গে হিরণের (Hiran Chatterjee) একটি ছবিও ভাইরাল হয়। তারপর থেকেই তীব্র হয়েছিল তাঁর ঘাসফুল ঘরে ফেরার জল্পনা।
কলকাতা : ‘আমি হিরণ চট্টোপাধ্যায়ের জায়গায় থাকলে কেস করতাম।’ নোদাখালি থেকে হাসিমুখে এদিন এ কথাই বলতে শোনা গেল তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee)। পাশাপাশি হিরণকে নিশানা করে তিনি আরও বলেন, “আম এক মিনিটেই এই দাবি নসাৎ করে দিতে পারি। কিন্তু, আমি সেটা করব না।” এদিকে তৃণমূল যোগের জল্পনায় জল ঢেলে শনিবার সকালেই হিরণ চট্টোপাধ্যায় (Hiran Chatterjee) সাফ জানিয়ে দিয়েছেন তিনি অন্য কোথাও যাবে না, যাবেন না ‘চোরেদের’ দলে, তিনি থাকছেন বিজেপিতেই (BJP)। যা নিয়েই বর্তমানে জোর জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে বাংলার রাজনৈতিক মহলে। এদিকে এই হিরণের সঙ্গেই বৈঠক করেছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শোনা গিয়েছিল এমনটাও।
সম্প্রতি মেদিনীপুর জেলা তৃণমূলের কোঅর্ডিনেটর অজিত মাইতির সঙ্গে হিরণের একটি ছবিও ভাইরাল হয়। তারপর থেকেই তীব্র হয়েছিল তাঁর ঘাসফুল ঘরে ফেরার জল্পনা। সূত্রের খবর, শুক্রবার রাতে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে দেখা করেছিলেন হিরণ। সেখানেই তিনি দাবি করেছিলেন তাঁর ভাইরাল হওয়া ছবিটি তৈরি হয়েছে সফটওয়্যারের কারসাজিতেই। এ প্রসঙ্গেই এদিন পাল্টা কটাক্ষ করলেন অভিষেক।
অভিষেক বলেন, “আমি যদি হিরণ চট্টোপাধ্যায়ের জায়গায় থাকতাম, আমার যদি কেউ ফেক ছবি রিলিজ করত, আমার যদি কোনও ছবি বিকৃত করে কোথায় বের করা হত তাহলে আমি কেস করতাম। মানহানির মামলাও করা যায় এ ক্ষেত্রে। ক্রিমিনাল কেসও করা যায়। আমি হিরণকে অনুরোধ করব এই দুটো করার জন্য। ছবি বিকৃত করা হয়েছে এই অভিযোগে ক্রিমিনাল কেস করা যায়।” ছবি কি সত্যিই বিকৃত করা হয়েছে? এ প্রশ্নের উত্তরে এদিন হরিণ বলেন, “কত ছবি রয়েছে যেখানে আমি আর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বসে রয়েছি। অভিষেক আর আমি সোফাতে একসঙ্গে বসে আছি এরকমও কত ছবি আছে। ২০১৪ সাল থেকে ২০২১ সালের আগে পর্যন্ত প্রতিটা জেলায় জেলায় আমরা ঘুরেছি। কত হোটেলে থেকেছি। একইগাড়িতে বসে গিয়েছি। উনি বাঁদিকে বসতেন, আমি ডানদিকে বসতাম। সামনে ওনার সেক্রেটারি সুমিত বসতেন। এখন যদি কোনও একটা ছবি ডিজিটালি বিকৃত করে কিছু করেন, তাহলে কিছু করার নেই।” সত্যি কী তাহলে হিরণ-অভিষেক কোনও বৈঠক হয়নি?
অভিষেকের উত্তর, “বিজেপির তো অনেক এজেন্সি আছে। দেখে নেওয়ায় যায় আসলে হিরণ কোথায় ছিল। আমি এখন অনেক কিছু করতে পারি, অনেক কিছু রিলিজ করতে পারি সেটা অনৈতিক হবে। আমরা এটা করি না। এখানেই আমাদের আর বিজেপির পার্থক্য। আমি এক মিনিটেই এই দাবি নসাৎ করে দিতে পারি। কিন্তু, আমি সেটা করব না। আমি হিরণের জায়গায় থাকলে হাইকোর্টে মানহানির মামলা দায়ের করতাম। আর পুলিশের কাছে গিয়েও ক্রিমিনাল কেস করতাম। যাঁরা এই ছবি প্রকাশ করেছে বা যে খবরের চ্যানেলগুলি এই ছবি সামনে এনেছে তাঁদের বিরুদ্ধে করতাম এই কেস।”