Kunal Ghosh: স্যালাইনকাণ্ডের পিছনে আরজি করের আন্দোলনকারীরা? বিস্ফোরক কথা কুণালের
Kunal Ghosh: কুণাল ঘোষ বলেন, "ওই হাসপাতালের কোনও গুরুত্বপূর্ণ পদাধিকারিক আরজি করের সময় বিক্ষোভ, সরকার বিরোধী কাজে জড়িত ছিলেন কি না। একটা কুৎসা করে যে চক্রান্ত সফল হয়নি, এখন কেউ কোনও চক্রান্ত করছেন কি না, সেগুলো সামনে আসুক।"
কলকাতা: ‘বিষাক্ত’ স্যালাইনকাণ্ডে তদন্ত করবে সিআইডি। মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ জানিয়েছেন, ওইসময় প্রসূতিদের চিকিৎসা করেছিলেন ট্রেনি চিকিৎসকরা। তখন কোনও সিনিয়র চিকিৎসক ছিলেন না। এরপরই বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ। আরজি কর কাণ্ডে আন্দোলনকারীরা এই কাজে জড়িত কি না, তা নিয়ে তিনি প্রশ্ন তুললেন।
মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে ‘বিষাক্ত’ স্যালাইনকাণ্ডে প্রসূতির মৃত্যু নিয়ে এদিন কুণাল বলেন, “কোনও বিভাগের কোনও ক্ষতি হয়নি। ক্ষতি হয়েছে শুধু গাইনি বিভাগের। আবার সব মহিলা রোগীর ক্ষতি হয়নি। হয়েছে শুধু ১সি ইউনিটের (প্রসূতিদের)। কী করে ক্ষতি হল? সেখানে যিনি সিনিয়র চিকিৎসক ছিলেন, অ্যানাস্থেসিয়ার দায়িত্বে যিনি ছিলেন, সেগুলো খতিয়ে দেখুন তদন্তকারীরা। ওই হাসপাতালের কোনও গুরুত্বপূর্ণ পদাধিকারিক আরজি করের সময় বিক্ষোভ, সরকার বিরোধী কাজে জড়িত ছিলেন কি না, দেখুন তদন্তকারীরা। একটা কুৎসা করে যে চক্রান্ত সফল হয়নি, এখন সরকারের বদনাম করতে কেউ কোনও চক্রান্ত করছেন কি না, সেগুলো সামনে আসুক।” একইসঙ্গে তাঁর প্রশ্ন, “বেছে বেছে একটা ইউনিটের একটা বিভাগে ক্ষতি হল, সেটা কেন হল?”
কুণালের অভিযোগের জবাব দিয়ে আরজি কর কাণ্ডে আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তার অনিকেত মাহাতো বলেন, “কোনও রোগীর মৃত্যু হলে দু’জন দুঃখ পান, এক তাঁর পরিবার, দুই তাঁর চিকিৎসক। দ্ব্যর্থহীনভাবে জানাতে চাই, যেকোনও শাসকই আন্দোলনের জুজু দেখেন। তার কাছে আন্দোলন সবসময়ই ভয়ের। আপনি সেই ভয় দেখুন। কিন্তু, মানুষ হিসেবে মনুষ্যত্ব হারিয়ে ফেলবেন না।” একইসঙ্গে তাঁর প্রশ্ন, ওই স্যালাইন নিষিদ্ধ করার পরও কেন ব্যবহার করা হচ্ছিল?