‘হাঁপিয়ে উঠছি, রাজনীতিতে এসে বোধহয় ঠিক করিনি’, বিপুল ভোটে জিতেও কেন বললেন তৃণমূল বিধায়ক?
কলকাতা: জীবনের কঠিন সময় তিনি দেখেছেন। আর্থিক অনটন দেখেছেন। এক সময়ে রিক্সা চালাতেন। তারপর কেনেন টোটো। রাজনীতির ময়দানে এসে মানুষের বিপুল সমর্থনও পেয়েছেন তিনি। তৃণমূলের টিকিটে আজ তিনি বলাগড়ের বিধায়ক। সেই মনোরঞ্জন ব্যাপারীর (Manarajan Bapari) গলাতেও শোনা যাচ্ছে হতাশার সুর। সম্প্রতি নিজের ফেসবুকে একটি পোস্ট করেছেন তৃণমূল বিধায়ক। তাতে লিখেছেন, তিনি হাঁপিয়ে উঠছেন। মানুষের দুঃখকষ্ট […]

কলকাতা: জীবনের কঠিন সময় তিনি দেখেছেন। আর্থিক অনটন দেখেছেন। এক সময়ে রিক্সা চালাতেন। তারপর কেনেন টোটো। রাজনীতির ময়দানে এসে মানুষের বিপুল সমর্থনও পেয়েছেন তিনি। তৃণমূলের টিকিটে আজ তিনি বলাগড়ের বিধায়ক। সেই মনোরঞ্জন ব্যাপারীর (Manarajan Bapari) গলাতেও শোনা যাচ্ছে হতাশার সুর।
সম্প্রতি নিজের ফেসবুকে একটি পোস্ট করেছেন তৃণমূল বিধায়ক। তাতে লিখেছেন, তিনি হাঁপিয়ে উঠছেন। মানুষের দুঃখকষ্ট দেখে, দুর্ভাগ্যের ভাগীদার হয়ে কেঁদে উঠছে তাঁর হৃদয়। তাঁর কথায়, “মনে হচ্ছে রাজনীতিতে এসে আমি বোধহয় ঠিক করিনি। যখন দূরে ছিলাম, যখন তেমন ভাবে কিছু জানতাম না, খানিক সুখে ছিলাম। এখন সব দেখে জেনে – সরাসরি যুক্ত হয়ে আর কোনো রাতেই ভালো মতো ঘুমাতে পারছি না।কী এক কষ্টে মাঝরাতে উঠে পায়চারী করতে বাধ্য হই।”
কিন্তু কেন তৃণমূল বিধায়ক এই ভাবে ভেঙে পড়লেন?
তিনি জানান, সূর্য ওঠার সঙ্গে সঙ্গে বহু মানুষ তাঁর দরজায় দাঁড়িয়ে পড়ছেন। যে ভিড় রাত এগারোটা বারোটার আগে কম হয় না। তাদের কাতর কান্না, হাহাকার আমার বুকে যেন ধারালো চাকুর মতো চিরে চিরে বসে যায়! রক্ত ক্ষরণ ঘটায়!
তাঁর এই কথাতেই স্পষ্ট প্রতীয়মান, বলাগড়ের মানুষের তাঁর কাছ থেকে প্রত্যাশা প্রচুর। আর সেই প্রত্যাশা পূরণে খাঁটিভাবে বদ্ধপরিকর বিধায়ক। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই পরিস্থিতিতে তিনি আটকে যাচ্ছেন। জীবনের একটা সময়ে প্রচুর কঠিন লড়াই করেছেন তিনি। রিক্সার প্যাটেলে পা রেখে, তাঁর পেশী হয়েছে শক্ত। দিন আনা দিন খাওয়া পরিবারের জ্বালা তিনি অন্তর দিয়ে উপলব্ধি করতে পারেন। আজ বিধায়ক! কিন্তু পুরনো সেই লড়াই তাঁর কাছে এখনও অমলিন।
আরও পড়ুন: Rakhal Bera:আদালতের নির্দেশে পুলিশি হেফাজতে শুভেন্দু-ঘনিষ্ঠ রাখাল বেরা, খোঁজ চলছে চঞ্চলের
চাল নুন কেনার গার্হস্থ্য অনুশাসন যাঁদের শরীরে জ্বালা ধরায়, সেই জ্বালা অনুভব করতে পারছেন খোদ বিধায়ক। আর পদে থেকেও সম্পূর্ণভাবে তাঁদের পাশে না দাঁড়ানোর ব্যর্থতা তাঁকে কুড়ে কুড়ে খাচ্ছে। বিশ্লেষকদের মতে, সেই কষ্টই সামাজিক মাধ্যমে তুলে ধরেছেন তিনি।





