ভোট মিটতেই পাহাড় সমস্যা সমাধানে উদ্যোগী বিমল গুরুঙ, দূত পাঠালেন অভিষেকের কাছে
Abhishek Banerjee: অভিষেক মারফৎ বিমল গুরুঙের বার্তা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে পৌঁছে দিতেই এই সাক্ষাৎ জিজেএম নেতার।
কলকাতা: পাহাড় সমস্যার স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধান খুঁজতে ফের উদ্যোগী গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। বিধানসভা ভোটের মাসকয়েক আগে তৃণমূলের সঙ্গে নতুন ইনিংস শুরু করার পর এই প্রথম বিষয়টি নিয়ে ফের সক্রিয় হতে দেখা গেল বিমল গুরুঙের দলকে। এই মর্মে বৃহস্পতিবার তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেন বিমলপন্থী নেতা রোশন গিরি। অভিষেক মারফৎ বিমল গুরুঙের বার্তা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে পৌঁছে দিতেই এই সাক্ষাৎ জিজেএম নেতার।
দার্জিলিঙে অশান্তির ঘটনায় রাজ্য পুলিশের এসআই অমিতাভ মালিকের মৃত্যুর পরই রাজ্যের শাসকদল ও বিমল গুরুঙের দূরত্ব বৃদ্ধি পায়। তারপর কয়েক বছর তিস্তা দিয়ে বহু জল বয়ে গিয়েছে। এরপর দীর্ঘ সময় অঘোষিতভাবে বিজেপির সান্নিধ্য লাভ করেন ‘পলাতক’ বিমল গুরুঙ। তিনি নিজেও সে কথা স্বীকার করেন। কিন্তু, তাঁদের দাবি-দাওয়া পূরণ হয়নি। যে কারণে গত বিধানসভা ভোটের মাসকয়েক আগেই নতুন করে বিমল গুরুঙের আবির্ভাব হয়। তৃণমূলের সঙ্গে জোট করে পাহাড়ে ভোটেও লড়ে তাঁর দল। গুরুঙের বিরুদ্ধে থাকা একাধিক মামলা প্রত্যাহারও করে নেয় রাজ্য সরকার।
কিন্তু এতদিন পর্যন্ত পাহাড়ের রাজনৈতিক সমস্যা নিয়ে মুখ খুলতে শোনা যায়নি বিমল গুরুং বা তাঁর দলকে। অবশেষে ভোট মিটে যাওয়ার প্রায় দু’মাস পর এ দিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেন রোশন। সূত্রের খবর, জনমুক্তি মোর্চা নেতৃত্ব চাইছেন, বিষয়টি নিয়ে ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ দলনেত্রীর সঙ্গে কথা বলুন। মোর্চার তরফে দাবি করা হয়েছে, অভিষেক তাঁদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে যত সত্ত্বর সম্ভব তিনি মুখ্যমন্ত্রীর সামনে বিষয়টি উত্থাপন করবেন।
আরও পড়ুন: ‘জোকার’ সৌমিত্রর ‘পাগলামি’ না থামলে কড়ায়-গণ্ডায় বুঝে নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিলীপের
তাৎপর্যপূর্ণভাবে, রোশন গিরি বৃহস্পতিবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করার সময় তাঁর সঙ্গে রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটকও উপস্থিত ছিলেন। ফলে পাহাড়ের স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধানের আইনি দিকগুলি সম্পর্কেও আজকের বৈঠকে আলোচনা হয়ে থাকতে পারে বলে মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ। গুরুঙের দল একটি বিবৃতি জারি করে জানিয়েছে, মমতা নিজেও পাহাড়, তরাই, ডুর্য়াসের স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধানের পক্ষে। নির্বাচনী ইস্তেহারের পাশাপাশি গত বছর ১৫ ডিসেম্বর জলপাইগুড়িতে উপস্থিত হয়েও এই কথা উল্লেখ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: ‘জ্যোতিবাবুর ছবিতে যখন মালা দিচ্ছিলাম…’ নস্ট্যালজিক মদনের মুখে হাসি, চোখ ‘ঝাপসা’