
কলকাতা: ছাব্বিশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে শেষ বিজয়া সম্মিলনী। পুজোর মাধ্যমে জনসংযোগের এটা শেষ সুযোগ। তাই এবারের বিজয়ায় বাড়তি গুরুত্ব দিতে চায় রাজ্যের শাসক শিবির। বছর ঘুরলেই ভোটপর্ব। তার আগে ‘শেষ মুহুর্তের’ প্রস্তুতি সেরে নিতে বিজয়াকে আবারও ‘হাতিয়ার’ করল তৃণমূল। আর সেই জনসংযোগের কাজ ঠিক মতো করাতে তৎপর হয়েছেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
আগামী ১৩ অক্টোবর ডায়মণ্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রে আয়োজিত হতে চলেছে বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠান। জানা গিয়েছে, আমতলায় আয়োজিত এই সম্মিলনীতে যোগ দেবেন খোদ অভিষেকও। কথা বলবেন দলের ব্লক ও জেলা নেতৃত্বদের সঙ্গে।
তৃণমূলের এই উদ্যোগ নতুন কিছু নয়। প্রতি বছরের ন্যায় এই বছরও জনসংযোগের কথা মাথায় রেখেই আয়োজিত হতে চলেছে বিজয়া সম্মিলনী। তবে আগেরবার গুলির তুলনায় একটু অন্যরকম ভাবেই হতে চলেছে এবারের বিজয়া। নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে চলতি বছর দেওয়া হয়েছে বাড়তি গুরুত্ব। জেলায় জেলায় চিহ্নিত করা হয়েছে ৫০ জনের বেশি বক্তাকে।
সূত্রের খবর, আগামী ৫ তারিখের পর থেকে শুরু হবে তৃণমূলের বিজয়া সম্মিলনী। তার আগেই মোট ৫০ জনের অধিক বক্তার তালিকা রাজ্যের একাধিক জেলায় পাঠানো হয়েছে। এই তালিকায় তুলে ধরা নামগুলিকে অনুমোদন দিয়েছেন খোদ অভিষেকই।
অভিষেক অনুমোদিত তালিকায় ঠিক কাদের নাম রয়েছে, তা এখনও জানা সম্ভব হয়নি। তবে এই তালিকা জুড়ে যে গুরুত্বপূর্ণ বা শীর্ষ নেতা-নেত্রীরা স্থান পেয়েছেন বলেই অনুমান একাংশের। এছাড়া জেলাস্তরের বিধায়ক, যুবনেতা ও ছাত্রনেতাদের জায়গা দেওয়া হয়েছে বলেই খবর। দলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ডের সাফ নির্দেশ, আগামী ১৮ অক্টোবরের মধ্যে রাজ্যের সব ব্লকে বিজয়া সম্মিলনী শেষ করতে হবে। অর্থাৎ ডেডলাইন কালী পুজো অবধি।